পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ অধ্যাপক হাফেজ মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন (৬৩) গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টা ৪০মিনিটে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারস্থ নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন। তিনি দীর্ঘদিন ফুসফুসে ক্যান্সারে ভুগছিলেন। ১১ ভাই ও ৫ বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয় ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে নাতী নাতনীসহ রাজনৈতিক সহকর্মী ভক্ত ছাত্র-ছাত্রী রেখে গেছেন। তাঁর ইন্তেকালের খবর দ্রুত দেশ-বিদেশ ছড়িয়ে পড়লে সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে আসে। মরহুমের মৃত্যুর খবর পেয়ে তার লাশ একনজর দেখার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ তার বাসায় ছুঁটে যান।
বাদ আসর জাতীয় সংসদ ভবন সংলগ্ন টিএন্ডটি মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই। নামাজে জানাজায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মরহুমের নামাজে জানাজায় যেসব নেতৃবৃন্দ শরীক হন তারা হচ্ছেন, জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব মাওলানা শাব্বির আহমদ মোমতাজী, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের চেয়ারম্যান ড. ঈসা শাহেদী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, নূরুল হুদা ফয়েজী, মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল শেখ ফজলে বারী মাসউদ , খেলাফত আন্দোলনের নেতা মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, বাংলাদেশ জনসেবা আন্দোলনের চেয়ারম্যান মুফতী ফখরুল ইসলাম, কামরুন্নেসা কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল প্রফেসর ফজলুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আব্দুস সবুর খান, মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, ইসলামী ঐক্যজোটের নেতা মাওলানা জোবায়ের আহমদ।
আজ শনিবার সকাল ১০টায় বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ উপজেলার রাজৈর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে পিতা-মাতার কবরের পাশে তার লাশ দাফন করা হবে।
তিনি ঢাকা মাদরাসা-ই-আলিয়া থেকে কামিল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম এ সম্পন্ন করেন। তিনি পশ্চিম রাজাবাজার জামে মসজিদে ৪২ বছর যাবৎ ইমাম ও খতীবের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি মালিবাগ আবুজর গিফারী কলেজে দীর্ঘদিন অধ্যাপনা করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত রামপুরা কামরুন্নেসা ডিগ্রী কলেজের সহযোগী অধ্যাপকের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন তিনি। তিনি পশ্চিম রাজাবাজার হাফিজিয়া মাদরাসা, মাতুয়াইল আল্লাহ কারীম মাদরাসাসহ বহু মসজিদ-মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। তিনি ইসলামী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে ঢাকা মহানগর সভাপতি, কেন্দ্রীয় সহকারী সমন্বয়কারী দায়িত্ব পালন করে কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
জাতীয় নেতৃবৃন্দ মরহুমের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, মরহুম এটিএম হেমায়েত উদ্দিন ছিলেন একজন উদার ইসলামী রাজনীতিক । মাওলানা হেমায়েত এদেশে ইসলামের তওহিদ, সাম্য, ভ্রাতৃত্ব ও সুবিচারের আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্যে আজীবন কাজ করে গেছেন।দেশ ও ইসলাম বিদ্বেষী শক্তির মোকাবেলায় তিনি অত্যন্ত বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে গেছেন। আধিপত্যবাদী ও সামাজ্যবাদী শক্তির কাছে তিনি কখনো মাথানত করেননি।
মরহুমের ইন্তেকালে পীর সাহেব চরমোনাইসহ বিভিন্ন ইসলামী রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথক বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ ও তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই গভীর শোক প্রকাশ করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। তাৎক্ষণিক শোক বাণীতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, হেমায়েত উদ্দিন রাজনীতির অঙ্গণে একটি পরিচিত নাম। সকল আন্দোলন সংগ্রামে তিনি অত্যন্ত যোগ্যতা, দক্ষতা ও সচেতনতার সাথে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন। মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিন তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে তাঁকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদান দান করুন আমীন।
ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী হাফেজ মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিনের ইন্তেকালে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, তিনি ছিলেন একজন উদার ইসলামী রাজনীতিক । মাওলানা হেমায়েত এদেশে ইসলামের তওহিদ, সাম্য, ভ্রাতৃত্ব ও সুবিচারের আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্যে আজীবন কাজ করে গেছেন। তাঁর মতো একজন নিবেদিত প্রাণ ইসলামী ব্যক্তিত্বের অভাব অনুভূত হবে দীর্ঘদিন। তিনি মরহুমের মাগফেরাত কামনা এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
মরহুমের ইন্তেকালে আরো যেসব নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করে তার রুহের মাগফেরত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন তারা হচ্ছে, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমীর ড. মওলানা মুহাম্মাদ ঈসা শাহেদী ও সেক্রেটারি জেনারেল ড. এনামুল হক আজাদ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীরে শরীয়ত মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াযী, নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী , খাদেমুল ইসলাম পরিষদের আমীর আল্লামা রুহুল আমীন গওহরডাঙ্গা, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিকুল ইসলাম ও মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, ইসলামিক মুভমেন্ট বাংলাদেশ চেয়ারম্যান এডভোকেট খায়রুল আহসান, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমীর মাওলানা মাওলানা সরওয়ার কামাল আজিজী, মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইজহার ও সিনিউর নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারি, খেলাফতে ইসলামী বাংলাদেশ-এর আমীর মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী ও মহাসচিব মাওলানা ফজলুর রহমান,
বাংলাদেশ জনসেবা আন্দোলনের চেয়ারম্যান মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ও মহাসচিব ইামিন হোসেন আজমী, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সভাপতি আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, হাফেজ সিদ্দিকুর রহমান, গণদলের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সেক্রেটারী মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, উত্তর সভাপতি মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, জাতীয় তাফসীর পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম ও মহাসচিব হাফেজ মাওলানা মাকসুদুর রহমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।