পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যুবলীগের দফতর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমানকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে কার্যত এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সে নেতাকর্মীদের কাছে ‘ক্যাশিয়ার আনিস’ নামে পরিচিত। ক্যাসিনো অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে যুবলীগের অত্যান্ত প্রভাবশালী এই নেতার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ উঠে। তিনি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
যুবলীগের নেতা কাজী আনিসুর রহমানকে খুঁজে বেড়াচ্ছে পুলিশ। দুর্নীতি, মাদক আর চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে র্যাব-পুলিশের অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে আত্মগোপন করেছেন। ক্যাসিনো ও মাদক ব্যবসা করে তিনি কোটিপতি হয়েছেন এমন প্রচারণা চলছে যুগলীগের অভ্যন্তরে। যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, জি কে শামীম গ্রেফতার হওয়ার পর লাপাত্তা কাজী আনিস। তবে সম্রাট গ্রেফতার হওয়ার পর যুবলীগের সর্বত্রই গ্রেফতার ভীতি ছড়িয়ে পড়ায় তাকে আর কোথাও দেখা যাচ্ছে না।
যুবলীগ নেতারা জানান, কাজী আনিস কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্যালয়ে পিয়ন হিসেবে যোগ দেন ২০০৫ সালে। বেতন ছিল মাসে ৫ হাজার টাকা। ৭ বছর পর হয়ে যান যুবলীগের দফতর সম্পাদক। যুবলীগের সবশেষ কমিটিতে তাকে এই গুরুত্বপূর্ণ পদ দেন সংগঠনটির সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী।
পদ পেয়েই কাজী আনিস আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যান। তিনি এখন একাধিক গাড়ি-বাড়ি, ফ্ল্যাট ও জমির মালিক। আনিস এতোই প্রভাবশালী যে যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ছাড়া কাউকে পরোয়া করতেন না। এমনকি সংগঠনের সিনিয়র নেতাদের পাত্তা দিতেন না। তার বেপরোয়া মনোভাবে যুবলীগ নেতাদের অনেকেই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছিলেন কোণঠাসা।
২০০৫ সালে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যখন আনিসুর রহমানের পিয়ন পদে চাকরি হয়, তখন তিনি নেতাদের ফরমায়েশ খাটতেন। পাশাপাশি কম্পিউটার অপারেটরের কাজও করতেন। এই সুবাদে কেন্দ্রীয় নেতা এবং কার্যালয়ে আসা বিভাগ-জেলা পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গেও সখ্য হয় তার।
কেন্দ্রীয় যুবলীগ সারা দেশে যেসব কমিটি গঠন করে, সেগুলো কম্পিউটারে টাইপ করে দিতেন আনিসুর রহমান। টাইপ করতে গিয়ে কোন জেলায় কে সভাপতি কে সম্পাদক তা আগাম জানতে পারে আনিস। জেলাপর্যায়ের নেতাদের আগাম তথ্য দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতেন।
২০১২ সালে যুবলীগের কমিটি হলে আনিসুর রহমান পেয়ে যান উপদফতর সম্পাদকের পদ। শীর্ষ নেতার আশীর্বাদ থাকায় ছয় মাস পর খালি থাকা দফতর সম্পাদক পদে পদোন্নতি পেয়ে আসিন হয়ে যান যুগলীগের অফিসের হর্তাকর্তা। সংগঠনটির যেসব নেতা বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ অফিসে নিয়মিত যান তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আনিসকে সবাই ‘ক্যাশিয়ার’ বলেই চেনে। তবে গত এক যুগে তিনি কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছেন। কিছু যুবলীগ নেতাদের ক্যাসিনো, চাঁদাবাজিরও সঙ্গী এই আনিস।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁদাবাজি, দরপত্র থেকে কমিশন ও যুবলীগের বিভিন্ন কমিটিতে পদবাণিজ্য করেই বিত্তবৈভব গড়ে তুলেছেন কাজী আনিসুর রহমান। নেতাকর্মীরা জানান, জিকে শামীম, খালেদ, সম্রাটসহ কয়েকজনের সঙ্গে সিন্ডিকেট গড়েন আনিস। তার সিন্ডিকেট চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ক্লাবে জুয়ার আসর চালানোসহ সব অপকর্মে জড়িত। যুবলীগে আনিসুর ‘ক্যাশিয়ার’ নামেই পরিচিত। চাঁদার টাকা সংগ্রহ এবং বিভিন্ন মহলে পৌঁছানোর কাজ করতেন তিনি। গতকাল প্রেসিডিয়ামের সভায় চাঁদাবাজিসহ নানান অপকর্মের অভিযোগ তুলে তাকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।