পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিষক্রিয়ার কারণেই বায়োজিদ ও তার স্ত্রী-সন্তানের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. একেএম মঈন উদ্দীন। তিনি বলেন, স্ত্রী ও পুত্রের পাকস্থলীতে এবং বায়েজিদের মুখে বিষের গন্ধ মিলেছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে সকাল ১০টা থেকে ময়নাতদন্ত শুরু হয়ে দুপুর ১টায় শেষ হয়।
ডা. মঈন উদ্দীন জানান, তিনটি লাশ থেকেই ভিসেরা সংগ্রহ করে রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য সিআইডির কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রত্যেকের কিডনি, লিভার, পাকস্থলী থেকে টিস্যু সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো এখন পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। এছাড়া ময়নাতদন্তের সময় বায়েজিদের গলায় একটি দাগ দেখা গেছে। তার মুখে বিষের গন্ধ মিলেছে। এর পাশাপাশি স্ত্রী ও তার ছেলের পাকস্থলীতেও বিষের গন্ধ পাওয়া গেছে। সব রিপোর্ট পাওয়া গেলে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর মিরপুরের কাফরুলের বøক-ডি, রোড-৫ এর ১০/১ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলায় সরকার মোহাম্মদ বায়োজিদ (৪৭), তার স্ত্রী অঞ্জনা আক্তার (৪০) এবং ওই দম্পতির একমাত্র ছেলে মোহাম্মদ ফারহানের (১৭) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, বায়েজিদের ঘরের দেয়ালে সাঁটানো ৫০ থেকে ৬০টির মতো চিরকুট উদ্ধার করা হয়। আর এসব চিরকুট দেখে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে বায়েজিদ হতাশাগ্রস্থ ছিলেন।
পুলিশের মিরপুর জোনের উপকমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহমেদ বলেন, ওই বাসায় গিয়ে আমরা দেখতে পাই ছেলে এবং স্ত্রী বিছানায় শুয়ে আছেন। আর বায়েজিদের দেহ ঝুলে আছে ঘরের সিলিং ফ্যানে। ঘটনাস্থল থেকে আমরা বেশকিছু চিরকুট পেয়েছি। তাতে অনেক কিছুই লেখা ছিল। এর মধ্যে কিছু চিরকুটে লেখা ছিল- ‘আমাদের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।