পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর মিরপুরের কাফরুল থানাধীন একটি বাসা থেকে বাবা-ছেলে ও মায়ের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতেরা হলেন- মোঃ বায়েজিদ (৪৭), তার স্ত্রী অঞ্জনা আক্তার (৩৮) ও তাদের ছেলে মোঃ ফারহান (১৭)। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে কাফরুল থানা পুলিশ মিরপুর ১৩ নম্বর সেকশনের বি-বøকের ৫ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়ির একটি ফ্ল্যাট থেকে ওই লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা, ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে বাবা স্ত্রী ও সন্তানকে বিষাক্ত কিছু খাইয়ে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করেছেন। তবে প্রকৃত ঘটনা জানতে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে।
প্রতিবেশীরা জানান, ফ্ল্যাটটিতে বায়েজিদ স্বপরিবারে বসবাস করতেন। তারা জানতেন বায়েজিদ বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করতেন। ব্যবসার কারণে তিনি বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক থেকে ঋণও নিয়েছিলেন। কিন্তু সে সব ব্যবসায় লাভ করতে পারেননি। যার কারণে তিনি ঋণ পরিশোধ করতে পারেননি। এটা নিয়ে তার পরিবারের মধ্যে নানা ধরনের হতাশা ছিলো। তারা আরো বলেন, ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় স¤প্রতি একটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বায়েজিদের বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় মামলা করে। এই মামলার পর তাদের হতাশা আরো বেড়ে যায়।
কাফরুল থানার ওসি সেলিমুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে আমরা ওই বাসায় যাই আমরা। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিহত ব্যক্তির নাম বায়েজিদ ও নারীর নাম অঞ্জনা আক্তার আর তাদের ছেলে নাম ফারহান। সে মিরপুর কর্মাস কলেজে একাদশ শ্রেণীতে পড়তো। তিনি বলেন, ওই নারী ও ছেলেটির লাশ বিছানার ওপরে পাওয়া গেছে। আর বায়েজিদের লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। মৃত্যুর কারণ এখনো পরিষ্কার নয়। ধারণা করা হচ্ছে- ঋণের কারণে হতাশায় ভুগছিল বায়েজিদ। যার কারণে রাতে অথবা ভোরের কোন এক সময়ে স্ত্রী ও ছেলেকে বিসাক্ত কিছু খাওয়ায়ে তাদেরকে হত্যা করে তিনি নিজে আত্মহত্যা করেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়াদী হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।