পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কাওরান বাজার ও এর আশপাশের সড়কে চতুর্থ দফায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। গত ২৪, ২৬ ও ৩০ সেপ্টেম্বর তিন দফায় উচ্ছেদ অভিযান চালানোর পরও অবৈধ দখলদারদেরকে দমানো যায়নি। সিটি কর্পোরেশনের উচ্ছেদ অভিযান শেষ হওয়ার পরপর আবারও দখল হয়ে যাচ্ছে এই এলাকার সড়কগুলো। একদিকে উচ্ছেদ অন্যদিকে দখল, এইভাবেই চলছে গত প্রায় মাসখানেক সময় ধরে। এর আগে তিন দফায় কাওরান বাজার থেকে সাতরাস্তা পর্যন্ত সড়ক ও এর আশেপাশের এলাকার সড়কগুলোর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এসময় উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম উপস্থিত থেকে এ উচ্ছেদের তদারকি করেছিলেন। উচ্ছেদ শেষে মেয়র সাংবাদিকদের বলেছিলেন, কাওরান বাজার ডিএনসিসি অঞ্চল-৫ অফিসের আশেপাশের সড়কগুলো সর্বোচ্চ প্রাইওরিটি দিয়ে আমরা উচ্ছেদ করেছি। এ সড়কগুলো যেন নতুন করে আর কেউ দখল করতে না পারে সেজন্য এখানে আমরা একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করবো।
মেয়রের এমন হুঁশিয়ারীকে থোড়াই কেয়ার করে অবৈধ দখলদাররা আবারও দখল করে নিয়েছে এই এলাকার সড়কগুলো। সেই আগের মত যে যার দোকান কিংবা স্থাপনা দখল করে আবার ব্যবসা শুরু করেছে। এই অবৈধ দখলদারদেরকে উচ্ছেদের জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার চতুর্থ দফায় এই এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে ডিএনসিসি। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ হোসেন। এ সময় কয়েকজন অবৈধ দখলদার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে উচ্ছেদ করার পর অন্যরা ফুটপাত ও সড়ক খালি করে দ্রæত পালিয়ে যায়।
এর আগে গত ২৪, ২৬ ও ৩০ সেপ্টেম্বর তিন দফায় এ এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন উত্তর সিটি কর্পোরেশন। বিশেষ করে ২৬ সেপ্টেম্বেরের অভিযানে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে একই এলাকা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিল। একই দিন তেজগাঁও রেলক্রসিং সংলগ্ন জায়গায়ও উচ্ছেদ অভিযান চলানো হয়। তবে তার চারদিন না যেতেই আবারও দখল হতে শুরু করে এসব জায়গা। এর পর গত ৩০ সেপ্টেম্বর তৃতীয় দফায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতেও দখলদারদেরকে থামানো যায়নি। ধীরে ধীরে আবারও কাওরান বাজার ও এর আশেপাশের সড়কগুলো দখল হতে থাকে। এই দখলদারদেরকে উচ্ছেদ করার জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার চতুর্থ দফায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচানা করেছে ডিএনসিসি।
এ সময় কাওরান বাজারে সড়ক ও ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করা হয়। ইতোপূর্বে বারবার উচ্ছেদ করার পরও কিছু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আবারও সড়ক ও ফুটপাত দখল করে ব্যবসা শুরু করে। তাই এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কয়েকজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে উচ্ছেদ করার পরে অন্যরা ফুটপাত ও সড়ক খালি করে দ্রæত পালিয়ে যায়। এছাড়া ফার্মগেট হতে বিজ্ঞান কলেজ হয়ে কাওরান বাজার সড়ক স¤প্রসারণের লক্ষ্যে একটি পানির হাউজও এসময় অপসারণ করা হয়। ডিএনসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত ও উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উচ্ছেদ অভিযানের সার্বিক দিক নিয়ে ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, একটি এলাকা সম্পূর্ণরূপে উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত অন্য এলাকায় যাব না। এখানে আমরা কিছুদিন আগে উচ্ছেদ করে গেছি তারপরও দখলদারেরা আবার বসেছে। সেজন্যই আমরা আবারও উচ্ছেদ করে গেলাম। এই এলাকাটি আমরা নজদারিতে রেখেছি। তারা যতবার বসবে আমরা ততবার উচ্ছেদ করব। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।