পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহম্মেদ বলেছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় তদন্তে যদি সেনা সদস্যদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিললে অভিযুক্তরা চাকুরিচ্যুত তো হবেই, তাদের সিভিল কারাগারেও পাঠানো হবে। সেনাবাহিনী বিষয়টি স্বচ্ছতার সঙ্গে সবকিছু খতিয়ে দেখছে। এছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রিতদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণসহ নিরাপত্তার স্বার্থে সবগুলো ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বগুড়া সেনানিবাসের ষষ্ঠ সাঁজোয়া কোরের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেয়ার পর উপস্থিত গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন।
সেনাপ্রধান বলেন, সেনাবাহিনীতে অস্বচ্ছতার কোনো সুযোগ নেই। ধর্ষণের ঘটনাস্থলে শুধু সেনা টহলই ছিলো না, অন্যান্য বাহিনীর টহল দলও ছিলো। কিন্তু আমরা অভিযোগ আসার সাথে সাথে টহলরত সেনাসদস্যদের ক্লোজড করেছি। একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের নেতৃত্বে তদন্ত আদালতও গঠন করা হয়েছে। তদন্তে যদি কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে।
এছাড়াও রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে অপরাধ ঠেকাতে এবং ক্যাম্প এলাকার নিরাপত্তা বিধানে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে সেনাপ্রধান জানান, শিগগিরই সাতটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে কাজ শুরু করবে সেনাবাহিনী।
এর আগে সাঁজোয়া কোরের পুনর্মিলনী প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন সেনাবাহিনী প্রধান। সেনানিবাসের আর্মড কোর সেন্টার স্কুলে এ পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহম্মেদ পুনর্মিলনী পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন। এ আয়োজনে ঊর্ধ্বতন সামরিক-অসামরিক কর্মকর্তারা ছাড়াও আর্মড কোরের অবসরপ্রাপ্ত ও চাকরিরত কর্মকর্তারা অংশ নেন।
তিনি সমাগত অতিথিদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যের শুরুতেই হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালী স্বাধীনতার রুপকার, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, সাঁজোয়া কোরের সদস্যরা ‘জান দেব মান দেব না’ এই মন্ত্রে উজ্জীবিত। এই কোরের সদস্যরা দেশের যে কোন দুর্যোগময় মুহুর্তে ও জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে দক্ষতার সাথে অংশগ্রহণ করছে। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে এই কোরের সদস্যদের অংশগ্রহণ এক গৌরবোজ্জল ইতিহাস।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সাঁজোয়া কোরে অত্যাধুনিক যুদ্ধযান ট্যাংক এমবিটি ২০০০ ও রিকোভারি যান সংযোজন করেছে। এছাড়াও ১৬ ক্যাভেলরী ও ২৬ হর্স নামে আরো ২টি রেজিমেন্টও প্রতিষ্ঠা করেছে। তিনি আশা ব্যক্ত করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতায় ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আরও যুগোপযোগি আধুনিক হয়ে উঠবে ।
অনুষ্ঠানে উর্দ্ধতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দসহ আর্মড কোরের অবসরপ্রাপ্ত ও চাকুরিরত কর্মকর্তা এবং অন্যান্য পদবীর সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।