পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ার বানানোর স্বপ্ন এখন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। হতদরিদ্র ভ্যানচালক জয়পুরহাটের আতিকুল ইসলামের সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। পেশায় ভ্যানচালক আতিকুলের ছেলে আকাশ আবরার হত্যা মামলার আসামী। জয়পুরহাট সদরের দোগাছি গ্রামের অতিদরিদ্র এই মানুষটি ছেলের অপকর্মে এখন শুধুই কাঁদছেন।
আতিকুলের পরিবারের সদস্য সংখ্যা পাঁচ। তার একার রোজগারে চলে সংসার।
অনেক আশা নিয়ে ছেলে আকাশকে বুয়েটে ভর্তি করিয়েছিলেন তিনি। আশায় ছিলেন অভাবের সংসারে এক সময় পূর্ণতা আসবে আকাশের হাত ধরে। ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে আকাশ সংসারের হাল ধরবে সে রকম একটি স্বপ্ন লালন করছিলেন তিনি। কিন্তু ভ্যানচালক বাবার সে স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে ছেলেকে কাঠগড়ায় দেখে। যে সন্তানকে মানুষ করার স্বপ্নে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে যাচ্ছিলেন তার এই পরিণতিতে স্বপ্ন যেন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনা দেশব্যাপী চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে। আবরার হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে রয়েছেন জয়পুরহাটের আতিকুল ইসলামের ছেলে বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ১৬তম ব্যাচের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মো. আকাশ হোসেন (২১)। গত বুধবার আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ওইদিন আদালতে জয়পুরহাটের দোগাছি গ্রাম থেকে ঢাকা সিএসএম আদালতে হাজির হন আকাশের বাবা আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, আকাশ ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার সদস্য, এটা জানতাম না। তবে ছেলেকে রাজনীতিতে জড়িত না হত বারবার নিষেধ করেছিলাম। সে যদি আমার কথা শুনতো তাহলে আজ এ পরিস্থিতি হতো না। দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আতিকুল বলেন, সব স্বপ্ন শেষ । এখন স্বপ্ন পূরণ তো দূরের কথা, জীবনটাই বাঁচানো দায় হয়ে পড়ছে। পুরো পরিবার দুশ্চিন্তায় চোখে মুখে সব ঝাপসা দেখতেছি। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ছেলেকে বুয়েটে পাঠায়ছিলাম ইঞ্জিনিয়ার বানাতে। নিজে না খেয়ে তার জন্য মাসে মাসে টাকা পাঠায়ছি আজ এই দিন দেখার জন্য!
আকাশের বাবা জানান, ছেলে বুয়েটের শিক্ষার্থী হওয়ায় পুরো জয়পুরহাট জেলার মানুষ তার সুনাম করছিল। এসএসসি, এইচএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছিল আকাশ। এলাকার মানুষ তার লেখাপড়ায় নিজ থেকে সহযোগিতা করেছে। ছাত্রলীগের রাজনীতি সব শেষ করে দিল।
এদিকে ওই দিন আকাশের পক্ষে কোন আইনজীবী ছিলেন না। এ সময় বিচারক তার কিছু বলার আছে কি না জিজ্ঞাসা করেন। তখন আকাশ জানায়, পস ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। ভিডিও ফুটেজেও তাকে দেখা যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।