Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যাংক খাতের ডিজিটালাইজেশনে প্রয়োজন সহায়ক নীতি

বিআইবিএমের গবেষণা প্রতিবেদন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ অক্টোবর, ২০১৯, ৮:০৩ পিএম

ব্যাংকিং খাতের ডিজিটালাইজেশনে সহায়ক নীতি ও পরিবেশ প্রয়োজন। সরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকিং খাতের ডিজিটালাইজেশনে বিভিন্ন ধরনের নীতি সহায়তা দিচ্ছে। কিন্তু এ সংক্রান্ত সহায়ক নির্দিষ্ট নির্দেশনা এবং বিধিমালা প্রয়োজন। বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) ‘ডিজিটালাইজেশন অব ডকুমেন্টস ইন ব্যাংকিং অপারেশন’ শীর্ষক গবেষণা কর্মশালার এক প্রতিবেদনে এসব বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ডিজিটাল স্বাক্ষর এবং ই-স্বাক্ষর এখনও ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য হয়নি। যা ডিজিটালাইজেশনে বড় বাঁধা।

বৃহষ্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ‘ডিজিটালাইজেশন অব ডকুমেন্টস ইন ব্যাংকিং অপারেশন’ শীর্ষক গবেষণা কর্মশালায় উপস্থাপিত গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইবিএম’র প্রফসর মো. নেহাল আহমেদ। গবেষণা কর্মশালার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএম’র মহাপরিচালক মহা. নাজিমুদ্দিন। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএম’র ড. মোজাফফর আহমদ চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক প্রফেসর ড. বরকত-এ-খোদা।

কর্মশালায় মূল গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইবিএম’র প্রফেসর এবং পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. শাহ মো. আহসান হাবীব। গবেষণা দলে অন্যান্যের মধ্যে রয়েছেন- বিআইবিএম’র প্রফেসর মো. নেহাল আহমেদ, বিআইবিএম’র প্রভাষক ফয়সাল হাসান, বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক আনিসুর রহমান, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের অপারেশনস বিভাগের প্রধান সৈয়দ সাজ্জাদ হায়দার চৌধুরী, মিউচুয়্যাল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট এ. টি. এম. নেসারুল হক। গবেষণাপত্রে ব্যাংক খাতে কাগজের বহুল ব্যবহারের ফলে পরিবেশের ক্ষয়ক্ষতির বিসয়টি বিশেষ গুরুত্ব পায়।

মহা. নাজিমুদ্দিন বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পরিকল্পনা নিয়েছে। এ লক্ষ্য অর্জনে ব্যাংকিং খাতের ডকুমেন্টস ডিজিটালাইজেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি ব্যাংকিং খাতে দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তোলার ওপর জোরারোপ করেন।

পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি প্রফেসর হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, ব্যাংক পরিচালনায় আইটি ক্ষেত্রে ভেন্ডরদের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। ব্যাংকগুলোকে নিজস্ব সক্ষমতা বাড়াতে হবে। বিএসিএইচ, বিএফটিএন, আরটিজিএস, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, এনপিএসবি, এমএফএস- এমন অভূতপূর্ব উন্নয়ন ব্যাংকিং খাতে ঘটেছে। তিনি বলেন, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা অর্জন, ব্যয় কমানো, দক্ষ সেবা প্রদান, দ্রুত সেবা প্রদান, সুষ্ঠু সমন্বয়, আর্থিক অন্তর্ভূক্তিতে ব্যাংকিং খাতের ডিজিটালাইজেশন প্রয়োজন।

বিআইবিএম-এর সুপারনিউমারারি প্রফেসর ইয়াছিন আলি বলেন, ডিজিটালাইজেশনে কিছু ব্যাংক ভালো করছে আবার কিছু ব্যাংক পিছিয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যাংকিং খাতের ডিজিটালাইজেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

এনআরবি ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহমুদ হোসেন বলেন, ব্যাংকিং খাতে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে সামান্য বিনিয়োগ এবং ইচ্ছা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নিজস্ব সক্ষমতা গড়ে না উঠলে ভেন্ডর- এর সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে।

আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিতুর রহমান বলেন, ব্যাংকের সঙ্গে এনবিআর এবং দুদকসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলো ডিজিটালাইজড হওয়া প্রয়োজন।

সমাপনী বক্তব্যে ড. বরকত-এ-খোদা বলেন, একদিনে ব্যাংকিং খাতকে পেপারলেস করা সম্ভব নয়। তবে উদ্যোগ নিলে অদূর ভবিষ্যতে তা বাস্তবায়ন হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ