পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগ কিংবা শেখ হাসিনা নিজেদের সমালোচনা কিছুটা সহ্য করতে পারলেও ভারত নিয়ে কোন সমালোচনা হলেই তারা সেটা সহ্য করতে পারে না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ন্যায্য হিস্যার কথা বললেও আওয়ামী লীগ সরকার তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠে। বাংলাদেশের ন্যায্য পাওনা পাওয়ার কোন অধিকার নেই, ন্যায্য হিস্যার দাবি তোলাটাও যেন ভয়ংকর অপরাধ। আবরার ফাহাদ আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর কাছে অপরাধী, কারণ সে আওয়ামী লীগের বন্ধু রাষ্ট্রের বাংলাদেশের প্রতি আচরণের সত্য ইতিহাস তুলে ধরেছিল। এজন্য তাকে জীবন দিতে হলো। এসময়ের শ্রেষ্ঠ দেশপ্রেমিক আবরার ফাহাদ। মৃতুঞ্জয়ী আবরার ফাহাদ দেশের জন্য জীবন দিয়ে মৃত্যুকে জয় করেছে। এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার যুদ্ধের প্রধান প্রেরণা হয়ে থাকবে আবরার ফাহাদ। আবরার ফাহাদ আমাদের প্রাণের পতাকা। প্রধানমন্ত্রীকে বলবো-জাতীয় স্বার্থবিরোধী চুক্তির প্রতিবাদ করতে গিয়ে লাশ হতে হলো আবরারকে। চুক্তি বাতিল করে প্রমাণ দিন-আপনি আবরারের পক্ষে, ভারতের আবদারের পক্ষে নন। গতকাল (বুধবার) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আবরার হত্যার দৃষ্টি ভিন্ন দিকে ফেরাতে সরকার মরিয়া অভিযোগ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশের মাটি, পানি, আকাশের স্বার্থে স্ট্যাটাস দেয়ায় বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আবরারের বর্বরোচিত ও নৃশংস হত্যাকাÐের পর যখন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও আধিপত্যবাদ বিরোধী গগনবিদারী শ্লোগানে উত্তাল তখন সরকার ছাত্রদেরকে নিরস্ত করার জন্য নানা ছলছাতুরির আশ্রয় নিচ্ছে। সরকার প্রধান থেকে শুরু করে সরকারের মন্ত্রীরা নানা রকম বক্তব্য দিচ্ছেন। যে কারণে আবরারকে নির্মম নির্যাতনের মাধ্যমে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে সেদিক থেকে দৃষ্টি ফেরাতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে সরকার।
অমিত সাহাকে গ্রেফতার না করায় বিস্ময় প্রকাশ করে রিজভী বলেন, যার রুমে যার উপস্থিতিতে আবরারকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয় সেই অমিত সাহার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এজাহারে তার নাম নেই, তাকে বহিস্কারও করেনি ছাত্রলীগ। শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর রুম তথা টর্চার সেলটি অমিত সাহার। তাকে বাঁচাতে বুয়েট প্রশাসন ও বিতর্কিত পুলিশ কর্মকর্তা ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আন্দোলনরত ছাত্রদের সাথে আমরাও অবিলম্বে অমিত সাহাকে গ্রেফতারের দাবী জানাচ্ছি। একই সাথে ছাত্রদের প্রতিটি দাবীর সাথে একাত্মতা ঘোষণা করছি।
গ্যাস রপ্তানির বিষয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘একটা ভুল ধারণা তৈরি হচ্ছে যে, বাংলাদেশ ভারতকে গ্যাস দিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু বিষয়টি হচ্ছে বিদেশ থেকে আমদানি করা গ্যাস প্রক্রিয়াজাতকরণ শেষে তা ভারতে রপ্তানি হবে।’ কি হাস্যকর যুক্তি ! বিদেশ থেকে গ্যাস এনে আমাদের প্রক্রিয়া করে ভারতে রপ্তানী করতে হবে কেন? ভারত নিজে কি প্রক্রিয়া করতে জানে না? আপনি যেখান থেকে গ্যাস আনবেন সেখান থেকে ভারত নিজেইতো গ্যাস নিতে পারে, আপনাকে কেন দিতে বলবে?
গোটা দেশ ছাত্রলীগের টর্চার সেলে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, গোটা দেশকে এখন একটি টর্চার সেলে পরিণত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো এখন কন্সেন্ট্রেশন ক্যাম্প। ছাত্র-যুবক-আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সবাই এখন লীগের টর্চার সেলের নির্মম শিকার। এই টর্চার সেলগুলোই ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর দিবাগত রাতের গর্ভে জন্ম নেয়া বর্তমান সরকারের শক্তির উৎস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।