পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির সঙ্গে দূরত্ব কমাতে উত্তরায় আ স ম আবদুর রবের বাসায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির দুই সদস্যসহ তিন নেতা উপস্থিত ছিলেন। গতকাল বুধবার সকাল ১১ টায় এ বৈঠক শুরু হয়ে শেষ হয় দুপুর পৌনে একটায়।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণফোরাম, জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দল-জাসদ, নাগরিক ঐক্য, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এবং বিএনপি নির্বাচনি জোট ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’ গঠন করে। খ্যাতিমান আইনজীবি, সংবিধান প্রণেতা, গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে এই ঐক্যফ্রন্টের আহবায়ক এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে এর সদস্য সচিব বা মুখপাত্র করে অন্যান্য দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হয়।
কিন্তু নির্বাচনের পর নানা কারণে এ জোটের ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে বিএনপি। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির দুই সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ নির্বাচনের পর ফ্রন্টের কোনো মিটিংয়ে উপস্থিত হননি। স্টিয়ারিং কমিটির আরেক সদস্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও ইদানিং আর মিটিংয়ে যাচ্ছেন না। সর্বশেষ গত ২ অক্টোবর ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে অনুষ্ঠিত স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, এমন পরিস্থিতে বিএনপির সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দূরত্ব কমাতে এ বৈঠক ডাকা হয়। আ স ম আবদুর রবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে উপস্থিত হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ। সেখানে জোটের আরেক শরিক নাগরিক ঐক্যের আবহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক স‚ত্রে জানা গেছে, বিএনপির সাথে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দূরত্ব কমিয়ে সুসর্ম্পক বজায় রেখে আগামীতে কাজ করার অঙ্গীকার করেন জোট নেতারা। বৈঠক সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘অনেক দিন এক সঙ্গে বসা হয় না। তাই একটু একসঙ্গে বসে চা খাওয়া হলো। এটা কোনো ফরমাল মিটিং ছিল না।
বিএনপির সঙ্গে দূরত্ব কমাতে এই বৈঠক ডাকা হয়েছে কী না? এমন প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, দূরত্ব আর কোথায়? অনেক দিন ধরেই তো ফরমাল মিটিং হয় না। আর ছোট-খাটো মিটিংগুলোতে তো আমাদের প্রতিনিধি থাকে। আজ একটু বসলাম, কথা হলো, এই আর কী।
কর্মসূচির ব্যাপারে কোনো আলোচনা হয়েছে কী না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা তো ফরমাল মিটিং না। সে কারণে কর্মসূচির ব্যাপারে কোনো আলোচনা হয়নি। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।