Inqilab Logo

সোমবার, ০৩ জুন ২০২৪, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ভিসি প্রো-ভিসির অপসারণের দাবি

রাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

রাবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি ও প্রো-ভিসির দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ করেছে প্রগতিশীল শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার পৃথক পৃথক কর্মসূচিতে এ দাবি জানান তারা।
সকাল ১১টায় রাবি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে ‘স্বাধীনতাবিরোধী ও দুর্নীতিবাজ প্রশাসনের অপসারণ চাই’ এমন ব্যানারে দুর্নীতি বিরোধী শিক্ষকরা জড়ো হয়। পরে শহীদ তাজ উদ্দিন সিনেট ভবনের সামনে এসে মানববন্ধন করে। মানববন্ধন শেষে ক্যাম্পাসে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ। এদিকে একই দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা, দুর্র্নীতিমুক্ত ক্যাম্পাস চাই, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী রাজনীতি নিষিদ্ধ কর করতে হবে, দুর্নীতির আস্তানা ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও, একদফা এক দাবি ভিসি প্রো-ভিসির পদত্যাগ চাই, ভারতের দালালেরা Ðশিয়ার সাবধান, স্বজন প্রীতির আস্তানা ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও, ঘুষ খোর প্রো-ভিসি পদত্যাগ পদত্যাগ, চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে, আগুন জ্বালাও একসাথে। শিক্ষা সন্ত্রাস এক সাথে চলে না, চলে না, ভিসি প্রো-ভিসির পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন ফেস্টুন ব্যবহার ও স্লোগান দিতে থাকে শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট সাবেক পরিচালক প্রফেসর মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন দেশ জাতির স্বার্থে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ভূমিকায় রয়েছেন। তখন রাবি ক্যাম্পাস দুর্নীতিতে জর্জরিত। আইন বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যে প্রো-ভিসির দর-কষাকষির ফোনালাপ ফাঁসে প্রমাণিত হয়েছে। এটি শুধুমাত্র একটি দুর্নীতির নমুনা। এরপরও বৃহৎ এ প্রতিষ্ঠানে কি করে প্রো-ভিসির চেয়ারে বহাল থাকেন সেটাও বোধগম্য নয়। রাবিকে দুর্নীতি মুক্ত দেখতে চাই। এ জন্য ইউজিসি ও শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। একই সঙ্গে অনতিবিলম্বে ভিসি প্রো-ভিসির পদত্যাগ দাবি করেন তিনি। অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষক সমাজ আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে জানান তিনি।

মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি যে ‘জয় হিন্দ’ স্লোগান দিয়েছেন এটা রাষ্ট্রদোহীতার শামিল। জয় হিন্দ শব্দ ব্যবহার করে দেশের ত্রিশ লাখ শহীদের সাথে বেঈমানি করেছেন। ভিসিকে জনসম্মুখে ক্ষমা চেয়ে অতি দ্রুত পদত্যাগের দাবি জানান।
প্রগতিশীল শিক্ষকদের মানবন্ধনে, আইন অনুষদের সাবেক ডীন প্রফেসর ড. বিশ^জিৎ চন্দ, সাবেক ডীন প্রফেসর মামুনুর রশীদ তালুকদার, প্রফেসর শাহরিয়ার হোসেন, সাবেক ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মিজানুর রহমানসহ শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা সমাবেশে বলেন, ছাত্রলীগ প্রতিনিয়তই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছে। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা তাদের কাছে জিম্মি হয়ে আছে। হলের সিট বাণিজ্য থেকে শুরু করে সকল প্রকার অন্যায়ের সঙ্গে ছাত্রলীগ ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছে। এহেন কর্মকান্ডে শিক্ষাথী বান্ধব সংগঠন হতে পারে না এটি। এর মাধ্যমে ছাত্রলীগকে ছাত্র সমাজের প্রতিনিধিত্ব করার নৈতিক অধিকারও হারিয়েছে বলে দাবি করেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মোর্শেদের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন, রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক আব্দুল মজিদ অন্তর, রঞ্জু হাসান প্রমুখ। এতে অংশ নেয় প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ