পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
লাঠি, স্ট্যাম্পের আঘাতে রক্তাক্ত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের পুরো শরীর। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা নরপশুদের আদিম উল্লাস। এরপর পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন বর্ষের নেতারা এসে পালাক্রমে পিটায় আবরারকে। বিরামহীন পিটুনিতে নেতিয়ে পড়ে আবরার। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা আবরারের মৃত্যু গোঙানিও খুনিদের মনে এতটুকু দাগ কাটেনি। জাগেনি বিন্দুমাত্র দয়া।
বরং মৃত ভেবে তাকে ধরাধরি করে সিঁড়িতে রেখে নিশ্চিন্তে টেলিভিশনে লা লিগার ফুটবল ম্যাচ দেখছিল তারা। এমনকি সেখানে রাতের খাবারও খেয়েছে পাষণ্ড ঘাতকরা। হত্যাকাণ্ডের দিন হলে অবস্থান করা শিক্ষার্থীরা এমন তথ্য জানিয়েছেন। ঘাতক সন্দেহে এমন ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের অনেকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বর্ণনা দিয়েছে কি নির্মমতায় হত্যা করা হয়েছে আবরারকে।
আবরার থাকতেন শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর রুমে। রোববার বিকালে পলাশী থেকে চা নাস্তা খেয়ে রুমে যান আবরার। এরপর সাড়ে ৭টার দিকে তাকে ডেকে পাঠান বড় ভাইয়েরা। ২০১১ নম্বর রুমে তাকে ডেকে নেন ৩ জন। এরপর সেখানে আবরারের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও ম্যাসেঞ্জার পরীক্ষা করেন তারা। এরপর তার সর্বশেষ ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ওই স্ট্যাটাস নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর্যায়ে তাকে মারধর শুরু করে উপস্থিত ছাত্রলীগ নেতারা। কয়েক ঘণ্টা ধরে থেমে থেমে চলে নির্যাতন।
রাত ১০ টার দিকে আবরারের কাপড় নিয়ে যান তারা। আবরারের এক বন্ধু বলেন, ধারণা করি রক্তাক্ত হয়েছে আবরার। ২০১১ নম্বরের পাশের রুম ২০১০ নম্বর থেকে শোনা যাচ্ছিল চিৎকারের শব্দ। একাধিক শিক্ষার্থী জানান, এই রকম রুমে ডেকে নিয়ে নির্যাতনের চিত্র এটিই নতুন না। আগেও হয়েছে। আবরারের সেই বন্ধু রাত ২ টার দিকে চিৎকার শুনে ছুটে গিয়ে দেখেন, তোশকের মধ্যে শোয়ানো আবরার। ব্যথায় কাতরাচ্ছিলেন। বলছিলেন, আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাও। এরকিছু সময় পর অ্যাম্বুলেন্স ও ডাক্তার আসার আগেই না ফেরার দেশে চলে যান আবরার।
সোমবার এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন আবরারের বাবা। সেদিনই ছাত্রলীগের ১০ নেতা কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গোয়েন্দা পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, তারা প্রত্যেকেই হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তিনি আরো বলেন, আবরারকে ইয়ার বাই ইয়ার পিটানো হয়। কয়েকজন করে দলে ভাগ হয়ে। দ্বিতীয় বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত সবাই তাকে আঘাত করে। তাদের প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করার প্রেক্ষিতে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।