পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার যুদ্ধে, দেশের মাটি, পানি রক্ষার যুদ্ধে আবরার ফাহাদ প্রথম শহীদ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ফেসবুকে দেশবিরোধী চুক্তির বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেয়ার অপরাধে নারকীয় কায়দায় রাতভর নির্যাতন চালিয়ে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা খুন করেছে বুয়েটের সোনার টুকরা মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকারের মাটি বিক্রি, পানি বিক্রি, দেশ বিক্রির অমানবিক নষ্টবুদ্ধির বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেছিলো এই মেধাবী শিক্ষার্থী। তাই ফেনী নদীর নাম হোক- ‘আবরার নদ’। আবরারের পথেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকারের মাটি বিক্রি, পানি বিক্রি, দেশ বিক্রির অমানবিক নষ্টবুদ্ধির বিরুদ্ধে সকলকে মৃত্যুপণ যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হবে। ক্ষমতাসীনদের মুঢ় অহমিকার বিরুদ্ধে সকলকে প্রতিরোধে সামিল হতে হবে। তিনি আবরার ফাহাদকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা, ধিক্কার ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং প্রকৃত হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আবরার ফাহাদের মত নিরীহ নিরপরাধ দেশপ্রেমিক মেধাবী ছাত্রকে হত্যার মাধ্যমে ছাত্রলীগ আবারও প্রমাণ করেছে যে, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জান-মালের কোনো নিরাপত্তা নেই। ইতোপূর্বে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত কোমলমতি স্কুল শিক্ষার্থী এবং কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীরাও ছাত্রলীগের হামলা থেকে রেহাই পায়নি। ছাত্রলীগের খুন, ধর্ষণ, সন্ত্রাসী কার্যক্রম, চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাণিজ্য অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাত্রলীগের ক্যাডারদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। ছাত্রলীগের অতীত ঐতিহ্যকে মøান করে দিয়ে এর ডাকনাম এখন হয়ে পড়েছে চাপাতিলীগ। ছাত্রলীগ নামক এই দানব জঙ্গিলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা না করলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়ার পরিবেশ ফিরবে না। শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তা থাকবে না।
প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করা হচ্ছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, শহীদ আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় সোমবার রাতে চকবাজার থানায় যে মামলা হয়েছে সেখানে আসামি হিসেবে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। রহস্যজনকভাবে ১৯ জনের মধ্যে এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্তের নাম নেই। শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর রুম তথা টর্চার সেলটি কার? তাকে বাঁচাতে বুয়েট প্রশাসন উঠেপড়ে লেগেছে। তিারা খুনিদের আড়াল করতে সিসিটিভিতে ধারণকৃত ২০ মিনিটের ভিডিও এডিট করে মাত্র দেড় মিনিটের একটি ক্লিপ দিয়েছে আন্দোলনরত ছাত্রদের। আজ সারাদেশের সাধারণ ছাত্রসমাজ ফুঁসে উঠেছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, দেশজুড়ে এখন চলছে ছাত্রলীগের সোনার ছেলেদের রক্তের হোলিখেলার উৎসব। প্রকাশ্য দিবালোকে শত শত মানুষের সামনে কাপুরোষোচিতের মতো বীরদর্পে কুপিয়ে নিরীহ গরিব পোশাক শ্রমিক বিশ্বজিৎকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তাদেরকে দীর্ঘদিন ধরে আরও বেপরোয়া হওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। ভারতের সাথে বাংলাদেশের চুক্তির অসঙ্গতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তুলে ধরায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর ছাত্র আবরার ফাহাদকে খুন করা হয়েছে। আবরারকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় সারা জাতি স্তব্ধ ও বিমূঢ় হয়ে পড়েছে। এই অমানবিক নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে জীবন দিতে হলো কারণ এদেশের ষোল কোটি মানুষকে অন্ধকারে রেখে পাশ্ববর্তী দেশের সাথে চুক্তি করার ঘটনায় প্রতিবাদ করার জন্য।
বিএনপি নেতা বলেন, দেশের মাটি, পানি, সম্পদ অন্যের হাতে চলে যাবে, অথচ এটির বিরুদ্ধে সমালোচনা করলে তাকে অকথ্য টর্চার করে হত্যা করা হবে- এই হচ্ছে বর্তমান সরকারের নীতি। এই নীতির বাস্তবায়নে যতদিন এরা ক্ষমতায় থাকবে ততদিন জনপদের পর জনপদবিরোধী নেতাকর্মীদের পুড়িয়ে, থেঁতলিয়ে, পিটিয়ে, গুলি করে হত্যা করতে থাকবে। কারো ক্ষমতার প্রতি তীব্র আবেগ, এদের বিবেককে বিবশ করে দিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।