পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নানা কৌশলে রোগীর কাছ থেকে অর্থ হাতানোর অভিযোগে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার অপসারণ ও ডাক্তার সংকট নিরসন দাবিতে শরণখোলায় এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার পাঁচ রাস্তার মোড় বাদল চত্তরে সামাজিক সংগঠন আদর্শ মানব কল্যান সোসাইটির ব্যানারে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের আহ্বায়ক সিকদার জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, শরণখোলা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম সাব্বির, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক শরীফ খাইরুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা তাইজুল ইসলাম মিরাজ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্য মাসুম বিল্লাহ, ইউ.পি সদস্য আহম্মদ উল্লাহ সানী, সংগঠনের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও নারী নেত্রী সুরাইয়া আক্তার, মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর জব্বারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। এ সময় বক্তারা বলেন, আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অর্থলোভী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জামাল রেজা শোভনকে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রত্যাহারসহ ডাক্তার সংকট নিরসন করা না হলে ভবিষ্যতে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ডা. জামাল রেজা শোভন, যোগদানের পর থেকেই সাধারন মানুষকে জিম্মি করে এক প্রকার গলাকাটা ব্যবসা শুরু করেন। চলতি বছরের মে মাসে তিনি যোগদানের পর থেকে উপকূলীয় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সেবার কথা না ভেবে নিজের ভাগ্য উন্নয়নে নানা অজুহাতে অফিস ফাঁকি দিয়ে ৩৫০ টাকা ফি নিয়ে প্রাইভেট রোগী দেখাসহ আশপাশের ক্লিনিকগুলোর দিকে ঝুঁকে পড়েন। সাধারন মানুষকে ভুল বুঝিয়ে অহেতুক একাধিক টেষ্ট দিয়ে তাদেরকে ক্লান্ত করে তোলেন। এছাড়া তার নিকট কোন সার্টিফিকেট সত্যায়িত করার জন্য সাক্ষর-সিল নিতে গেলে টাকা দাবি করেন । চাহিদা মতো টাকা না পেলে নানা অজুহাতে হয়রানি করেন বলে বক্তারা দাবি করেন।
এ বিষয়ে ডা. মো. জামাল রেজা শোভন বলেন, এ সকল অভিযোগ সঠিক নয়। একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন।
জেলা সিভিল সার্জন জি.কে শামসুজ্জামান বলেন, স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জনসাধারনের অভিযোগগুলোর খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অপরদিকে, ডাক্তার সংকটের কারনে উপজেলার প্রায় দু’লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবা ভেঙ্গে পড়ার ব্যাপারে তিনি জানান, ডাক্তার সংকট নিরসনে চেষ্টা অব্যাহত আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।