পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগ। ইতোমধ্যে ছাত্রলীগের ৯ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ছাত্রলীগ থেকে তাদের বহিষ্কারও করা হয়েছে। তবে এই হত্যাকান্ডের সাথে প্রথম থেকেই যে নামটি জড়িয়ে রয়েছে সে হলো অমিত সাহা। তাকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়নি এবং ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়নি। অমিত সাহাকে মামলা থেকে দূরে রাখার চেস্টা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্ক প্রতিবাদ হচ্ছে।
এ নিয়ে ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার নিজের ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েন আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। তার স্ট্যাটাসটি ইনকিলাব পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘অমিত সাহাকে গ্রেফতার করতে হবে’ শীর্ষক স্ট্র্যাটাসে আসিফ নজরুল লিখেছেন ‘অমিত সাহা হিন্দু বলে তাকে গ্রেফতারের দাবি করা যাবে না কেন? এ দাবি করাটা যারা সা¤প্রদায়িকতা বলেন তারাই আসল সা¤প্রদায়িক। তবে অমিত অন্যতম অভিযুক্ত খুনী বলে ঢালাওভাবে হিন্দু স¤প্রদায়ের বিরুদ্ধে বলা অত্যন্ত অনুচিত। সেটা করাও হবে সা¤প্রদায়িকতা।
অমিত-এর বিরুদ্ধে আবরার হত্যার অভিযোগ শুনছি প্রথম থেকে। যে রুমে খুন করা হয়েছে আবরারকে সেখানেও থাকতো সে (অমিত সাহা)। অথচ তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না, ছাত্রলীগের বহিস্কারের তালিকায়ও নেই সে। তাকে অবশ্যই গ্রেফতার করতে হবে ন্যায়বিচারের স্বার্থে।
উল্লেখ্য, রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলের নিচতলা থেকে আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। ছাত্রলীগের কর্মীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা। আবরার ফাহাদ বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (ইইই) বিভাগের লেভেল-২ এর টার্ম ১ এর ছাত্র ছিলেন। তিনি শের-ই-বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।