পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মেহেদীর রঙ মোছার আগেই লাশ হলেন নববধূ শারমিন আক্তার সুমি (১৯)। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। সুমির পরিবারের অভিযোগ, যৌতুকের দাবিতে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন নির্মম নির্যাতন চালিয়ে তাকে খুন করেছে। এমন অভিযোগ পেয়ে পুলিশ স্বামী সোলায়মান হোসেন লিটনকে গ্রেফতার করেছে। নগরীর পাঁচলাইশ থানার নাজিরপাড়া এলাকার একটি বাসায় সোমবার রাতে চাঞ্চল্যকর এ খুনের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, নাজির পাড়ায় মানিক ভিলার নিচতলায় শ্বশুরের বাসায় সুমির উপর নির্যাতন চালানো হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় রাতে তাকে চমেক হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাসেম ভূঁইয়া ইনকিলাবকে বলেন, স্বামী লিটনকে গ্রেফতার করার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে, সুমির গলার ওড়না টান দেয়ার সময় তার মৃত্যু হয়। কিন্তু লাশ দেখে মনে হয়েছে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তার গলায় এবং শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলে আরও বিস্তারিত জানা যাবে। এ ঘটনায় সুমির মা পারভীন আক্তার মিনু বাদি হয়ে স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান ওসি।
সুমির গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজানে। মাত্র দুই মাস আগে নোয়াখালী সুধারামের কামাল উদ্দিনের ছেলে সোলায়মান লিটনের সাথে সুমির বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে সুমির ওপর শারীরিক নির্যাতন করত বলে পরিবারের দাবি। সুমির স্বজনরা জানান, বিয়ের সময় নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং ফার্নিচারসহ অন্যান্য মালামাল দেয়া হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকে সুমির উপর নির্যাতন শুরু করে রঙ মিস্ত্রি লিটন। দুই মাসে তিনবার সুমিকে মারধর করে। এ নিয়ে শালিস বিচারও হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় লিটন শশুর বাড়ীতে ফোন করে জানায় সুমি অসুস্থ, তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে গিয়ে দেখেন সুমির লাশ পড়ে আছে। তাদের অভিযোগ, নির্যাতন চালিয়ে এবং শ্বাসরোধ করে সুমিকে হত্যা করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।