পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির চেয়ারপারসন কারাবন্দী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী সাদা দলের শিক্ষকেরা। গতকাল সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে শিক্ষকেরা মানববন্ধনে অংশ নেন। এসময় বয়স বিবেচনায় বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত মুক্তির দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে সাদা দলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম সরকারের দুর্নীতি বিরোধী অভিযান প্রসঙ্গে বলেন, ক্যাসিনো সম্রাট ও ক্যাসিনো কিংরা নাকি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মাসে কোটি টাকা দেন। বিদেশে থাকা তারেক রহমানকে অত্যাচারী আওয়ামী নেতারা যদি মাসে কোটি টাকা দেন, তাহলে তারকে রহমান এ দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি। তাই আওয়ামী নেতাদের বলবো- অনতিবিলম্বে তারেক রহমানকে নেতা মেনে তার হাতে ফুল দিয়ে তার দলে যোগদান করে তারেক রহমান তথা খালেদা জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করুন, দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনুন, দুর্নীতি নির্মূলের ব্যবস্থা করুন। সকাল সাড়ে ১১ টায় মানববন্ধন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে তা দুপুর ১২ টায় শুরু হয়ে আধাঘণ্টা ধরে চলে।
ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলামের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. লুৎফর রহমান, সাদা দলের শিক্ষক নেতা প্রফেসর ড. মোঃ আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, ড. আব্দুল করিম ও ড. মোঃ মহিউদ্দিন প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাদা দলের যুগ্ম আহŸায়ক প্রফেসর ড. মোর্শেদ হাসান খান, আতাউর রহমান বিশ্বাস, ইসরাফিল প্রামানিক রতন, মোঃ আল আমিন, মোঃ নূরুল আমিন, মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম সহ অর্ধশতাধিক শিক্ষক।
ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, বর্তমানে যেখানে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে, শেয়ারবাজারে কোটি কোটি টাকা লুট, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় দেউলিয়াত্ব; সেখানে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়াই কথিত দুই কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে বন্দি রাখা হয়েছে। অথচ ওই মামলার সাথে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বয়স বিবেচনায় এই মুহুর্তে তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, আজকে অনেকেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মানতে চাননা। বলেন যে তিনি নাকি বাইচান্স মুক্তিযোদ্ধা। আমি বলবো- আপনারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র দেখুন। সেখানে লেখা আছে জেড ফোর্সের ভুমিকা কি ছিল? বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকারই শহীদ জিয়াকে বীর উত্তম খেতাব দিয়েছিলেন। সুতরাং বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে জাতির কাছে স্বস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়া যায় না।
ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, দেশে আজ ভয়বাহ দুঃশাসন চলছে। গণতন্ত্র ধ্বংস। বাক স্বাধীনতা তো স্বপ্নের কথা। বালিশের দাম আকাশচুম্বী। নতজানু পররাষ্ট্রনীতির মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকার প্রাণান্তকর চেষ্টা। মধ্যরাতের ভোট চুরির প্রহসনের নির্বাচনে ক্ষমতা দখল করেও শান্তি পাচ্ছেনা শেখ হাসিনার সরকার। বাংলাদেশটাকে বিভিন্ন চুক্তির বেড়াজালে আটকিয়ে ভারতের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকার ব্যর্থ চেষ্টা। ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা লুট, বিদেশে পাচার তাতেও কি শেষ রক্ষা হবে?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।