পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব। গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে সংগঠনের ৬২৫ জন শিক্ষক বলেন, কতটা বর্বর হলে একজন ছাত্রকে রাতের অন্ধকারে পিটিয়ে হত্যা করা যায়? বুয়েটের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একজন মেধাবী শিক্ষার্থীকে ঠুনকো অজুহাতে মারতে মারতে মেরে ফেলা হলো এতে প্রমাণিত হয় দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন অনুপস্থিত। আজকে দেশের সর্বত্র যে অরাজকতা বিরাজ করছে এটি তারই বহিঃপ্রকাশ। কোনো সভ্য সমাজে এ ধরনের হত্যাকান্ড কখনোই মেনে নেয়া যায় না। আমরা এই বর্বরতম হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বিবৃতিতে শিক্ষকেরা বলেন, বাংলাদেশে বর্তমান পরিস্থিতিতে গণতন্ত্র একেবারে নেই। রাজনৈতিক দলগুলোয় গণতন্ত্রের চর্চা খুবই নাজুক। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে স্বাভাবিক সাংগঠনিক কর্মকান্ড পরিচালনায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সব ছাত্র সংগঠনগুলোর সহাবস্থান না থাকায় এ ধরনের অন্যায় অপকর্ম করছে ছাত্রলীগ। তারা একের পর এক অন্যায় অপকর্ম করে পার পেয়ে যাচ্ছে। কোনো বিচার করা হচ্ছেনা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় ছাত্রলীগের একক আধিপত্যের কারণেই সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকেও বঞ্চিত। স¤প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের (শোভন-রাব্বানীর) ৮৬ কোটি টাকা চাঁদা দাবির তাদের অপকর্মই প্রমাণিত হয়। আমরা দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সব ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিতকরণ সহ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক চর্চা করার দাবি জানাই। একইসাথে বুয়েটের ছাত্র আবরার হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সবাইকে দ্রæত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
ইউট্যাবের বিবৃতিদাতাদের অন্যতম হলেন- সহসভাপতি প্রফেসর ড. আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রফেসর ড. মোর্শেদ হাসান খান, ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, প্রফেসর ড. আখতার হোসেন খান, ড. ফরিদ আহমেদ, প্রফেসর ড. আবদুর রশিদ, প্রফেসর আমিনুল ইসলাম মজুমদার, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, প্রফেসর ড. আল মোজাদ্দেদী আলফেছানী, ড. গোলাম রব্বানি, ড. মাহফুজুল হক, ইসরাফিল প্রামাণিক রতন, ড. সিদ্দিক আহমদ চৌধুরী (চবি), ড. এম এ বারি মিয়া, প্রফেসর খায়রুল (শাবিপ্রবি), ড. শামসুল আলম সেলিম (জাবি), ড. সাব্বির মোস্তফা খান (বুয়েট), অধ্যাপক তোজাম্মেল (ইবি) প্রমূখ।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।