পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বরিশাল মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থায় কোন শৃঙ্খলা ফিরে আসছে না। দিন দিন যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ চালকদের বেপরোয়া মনোভাবের সাথে ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্বে থাকা কতিপয় সদস্যের নানামুখী হঠকারিতায় বরিশাল নগরবাসীর দুর্ভোগ ক্রমশ বাড়ছে। মহানগরীতে হাইড্রলিক হর্ণের অবাধ ব্যবহার প্রতিরোধে কোন উদ্যোগ নেই। হাইকোর্টের আদেশের কথা বলে ইজিবাইক বন্ধ করা হলেও চালকদের আন্দোলনের মুখে ব্যাটারি চালিত অবৈধ রিকশাকে এক বছরের জন্য বৈধতা দেয়া হয়েছে। গোটা নগরীতে গ্যাস চালিত থ্রি-হুইলার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। মোটর বাইকের চালকদের হেলমেট ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা যায়নি। প্রায় প্রতিটি মোটর বাইকেই তিনজন যাত্রী নিয়ে গোটা নগরী চষে বেড়ালেও তা দেখার কেউ আছে বলে মনে করেন না বেশিরভাগ নগরবাসী।
গত বছর তিনেক ধরে বরিশাল মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে এক ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা চললেও তা নিরসনে কারো উদ্যোগ নেই। বিগত সিটি মেয়র বিরোধী দলের হবার সুবাদে বিআরটিএ এবং ট্রাফিক বিভাগ নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাকে নিজেদের মত পরিচালনা শুরু করে। আকস্মিকভাবেই নগরীতে ইজিবাইকের চলাচল বন্ধ করে দিয়ে গ্যাস চালিত থ্রি-হুইলার চালু করা হয়। প্রথমে ওইসব থ্রি-হুইলারে সরাসরি রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার ব্যবহার করা হলেও পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষের চাপে কিছু গাড়ীতে পুরনো সিলিন্ডার লাগানো হয়। কিন্তু সিলিন্ডারগুলো যাত্রীদের সিটের নিচে উন্মুক্তভাবে বসানো হয়েছে। যার ডেলিভারি পাইপগুলোও উন্মূক্ত। যেকোন সময় যাত্রীর পায়ের চাপে পাইপ ফেটে সিলিন্ডারের গ্যাস বের হয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। উপরন্তু প্রায় সবগুলো গাড়ীর সিলিন্ডার থেকে রেগুলেটরগুলোও পুরনো। এসব গাড়ীতে দুজনের আসনে ৩ জন যাত্রীকে বসতে বাধ্য করা হচ্ছে। বিআরটিএ ওইসব গ্যাস চালিত থ্রি-হুইলারের লাইসেন্স প্রদান করছে।
অথচ সিটি কর্পোরেশন থেকে বিভিন্ন সময়ে ২ হাজার ৬৫০টি ইজিবাইকের লাইসেন্স প্রদান করা হলেও সেসব যানবাহন চলাচলে আগের মতোই নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে ১লা অক্টোবর থেকে। বিএমপির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুধুমাত্র সদর রোডে এসব ইজিবাইক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কথা বলা হলেও বাস্তবে বগুড়া রোডের বাংলাদেশ ব্যাংকের মোড়ে এবং গোড়াচাঁদ দাশ রোডের ব্রাউন কম্পাউন্ডের মুখে ইজিবাইক থামিয়ে দেয়া হচ্ছে। ফলে অসুস্থ, মহিলা ও শিশুদের দুর্ভোগ চরমে। এমনকি নগরীর পশ্চিমপ্রান্ত থেকে নৌ টার্মিনালমুখী ইজিবাইকও ব্রাউন কম্পাউন্ডের মুখে থামিয়ে দেয়া হচ্ছে। অথচ মাহিন্দ্রা ও আলফার মত বড় মাপের থ্রি-হুইলারগুলো নগরীর অভ্যন্তরে প্রবেশ না করার কথা বলা হলেও তা লঞ্চঘাট পর্যন্ত চলাচল করছে। নগরীর লঞ্চঘাট থেকে বানারীপাড়া ছাড়াও রহমতপুর-বাবুগঞ্জ হয়ে মীরগঞ্জ রুটে বড়মাপের ডিজেল চালিত থ্রি-হুইলার চলাচল করছে। এসব যানবাহন সদর রোডেও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত।
অথচ যাত্রীবান্ধব ইজিবাইক চলাচলের ওপর মহানগর ট্রাফিক পুলিশের তৎপড়তা ষোলআনা বলে অভিযোগ নগরবাসীর। এসব ইজিবাইক চালক ও মালিকদের কোন সংগঠন নেই। ফলে তাদের দাবিও সংগঠিত নয়। উপরন্তু গ্যাসচালিত থ্রি-হুইলারগুলোর মালিক ও চালকদের সংগঠন শক্তিশালী। এসব থ্রি-হুইলার চালক ও মালিকরা প্রতিদিন ও মাসে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের চাঁদা প্রদান করেন। যার বিনিময়ে গাড়ীতে স্টিকার লাগানো হয়। স্টিকার দেখেই সব কিছুর হিসেব হচ্ছে। চাঁদার টাকা বিভিন্ন পর্যায়ে বন্টন হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে ওইসব যানবাহন যাত্রীবান্ধব না হলেও তা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে নগরবাসীর ওপর।
এসব বিষয়ে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলাপ করা হলে তিনিও উচ্চ আদালতের নির্দেশের কথা জানান। তবে তিনি নিজে আদেশটি দেখেননি বলে জানিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলেও জানান। বিষয়টি নিয়ে গতকাল বিএমপির ডিসির (ট্রাফিক) সাথে তার সেল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।