পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সব ধর্মের মানুষের মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা দেশকে নিয়ে অতিক্রম করবো স্বপ্নের ঠিকানা। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় ঢাকায় ধানমন্ডি সার্বজনীন পূজা কমিটি আয়োজিত কলাবাগান পূজামন্ডপ দর্শনশেষে সমবেত বিপুলসংখ্যক পূজারী ও দর্শনার্থীদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, হিন্দু-মুসলিম- বৌদ্ধ-খ্রিস্টানসহ সকল ধর্মের মানুষের মিলিত রক্ত স্রোতে অর্জিত আমাদের লাল-সবুজের পতাকা অসা¤প্রদায়িকতার অনন্য প্রতীক। আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা বাঙালি, তারপর আমরা কে কোন ধর্মের। সা¤প্রদায়িক রাষ্ট্রব্যবস্থার শেকল ভেঙে আমরা প্রতিষ্ঠা করেছি অসা¤প্রদায়িক বাংলাদেশ। তাই এ দেশ আমাদের সবার। তিনি বলেন, সবাই মিলেই এদেশকে আমরা স্বপ্নের ঠিকানাতেই শুধু পৌঁছুবো না, সেই ঠিকানা অতিক্রম করে যাবো। ধর্মীয় উৎসব এখন আর শুধু সে ধর্মের মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, প্রবারণা পূর্ণিমায় ফানুস ওড়ানোর আনন্দ আজ সার্বজনীন।
মন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে দেশে পূজামন্ডপ ছিল প্রায় ১১০০০, এখন তা ৩১০০০বেশি। এই তিনগুণ বৃদ্ধির কারণ, নিজধর্ম পালনে পূর্ণ স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক সামর্থ্যবৃদ্ধি ও নিরাপত্তাবোধের স্বস্তি। হিন্দু ধর্মমতে দূর্গাদেবীর আগমনে ধরায় অসুর দূরীভূত হয়ে সারাবছর শান্তি বিরাজ করুক এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করে সকলকে শুভেচ্ছা জানান মন্ত্রী।
ধানমন্ডি পূজা কমিটির সভাপতি অমর কৃষ্ণ পোদ্দার, সাধারণ সম্পাদক অশোক কুমার বসু, সহসভাপতিদের মধ্যে অধ্যাপক বি কে সাহা প্রমুখ এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।