পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানী ঢাকায় শুদ্ধি অভিযানের ধাক্কা লাগেনি চট্টগ্রামে। ঢাকায় যুবলীগ নেতাদের ক্যাসিনো সাম্রাজ্যের সহযোগীদের অনেকে চট্টগ্রামের। নিয়মিত ক্যাসিনোতে গিয়ে জুয়া খেলেছেন অনেকে। হয়েছেন কোটি কোটি টাকার মালিক। ক্যাসিনোতে শেয়ারও ছিল কারও কারও। ভাগ পেতেন মোটা অঙ্কের টাকা। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন চাটগাঁর ‘সম্রাটরা’ এখন কোথায়? প্রধানমন্ত্রীর কড়া নির্দেশনায় শুরু হওয়া ‘শুদ্ধি অভিযান’ চট্টগ্রামে কবে আসবে তা জানেন না কেউ।
অভিযান না থাকায় ক্যাসিনো সুবিধাভোগীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। চট্টগ্রামের কয়েকটি বার ও ক্লাবে অভিযান হলেও ধরা পড়েনি কেউ। অবৈধ বার, ক্লাব আর অঘোষিত ক্যাসিনোতে জুয়ার আসর বসিয়ে যারা কোটি কোটি টাকা বানিয়েছেন তারাও অধরা। টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা করে আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ারাও নিরাপদে। অবৈধ ক্যাসিনো, মদ, জুয়ার আসর, টেন্ডারবাজিসহ অবৈধ পথে টাকার পাহাড় গড়ে তোলাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয় ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে।
ওইদিন রাজধানী ঢাকায় যুবলীগ নেতাদের মালিকানাধীন বেশ কয়েকটি ক্যাসিনোতে হানা দেয় র্যাব। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় এ অভিযান সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার কথা বলেন সরকারি দলের নেতারা। অভিযানের মাধ্যমে সরকারি দলের ‘আগাছা’ পরিষ্কার করার কথাও বলা হচ্ছে। ৩ অক্টোবর চট্টগ্রামের একটি অনুষ্ঠানে এসে র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় শুদ্ধি অভিযান অব্যাহত থাকার কথা বলেন। চট্টগ্রামেও এ ধরনের অভিযান চলবে বলে জানান তিনি।
তবে এখনও শুদ্ধি অভিযানের কোন আলামত দেখা যাচ্ছে না। বিগত ১০ বছরে সরকারি দলের নাম ভাঙিয়ে অনেকে নানা অপকর্ম করে যাচ্ছেন। টেন্ডারবাজি, অস্ত্রবাজি, মাদক ব্যবসা, বার ও ক্লাবের নামে অনৈতিক কর্মকান্ড করে যাচ্ছেন অনেকে। এসব অপকর্মের মাধ্যমে তাদের অনেকে রাতারাতি টাকার পাহাড় গড়েছেন। অপরাধের সব ঘাটের নিয়ন্ত্রণ এখন সরকারি দলের নামধারীদের হাতে। একেকটি এলাকায় একেকজন অপরাধীর একচ্ছত্র আধিপত্য চলছে। এসব গডফাদারেরা চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, দখল, বেদখলসহ সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন। নিজেদের দল ভারী করতে কিশোর, তরুণদের বিপথগামী করছেন অনেকে।
এলাকাভিত্তিক অপরাধী চক্রের হোতাদের কাছে জিম্মি সাধারণ মানুষ। সরকারি দলের সাইনবোর্ড থাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এদের অনেকের কাছে অসহায়। চলমান শুদ্ধি অভিযানে এ চক্রের হোতাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে এমন প্রত্যাশা ছিল অনেকের। গেল ২০ সেপ্টেম্বর রাত থেকে শুরু করে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নগরীর ছোট বড় সাতটি ক্লাবে অভিযান চালায় র্যাব, পুলিশ। এরমধ্যে তিনটিতে পাওয়া যায় জুয়ার সরঞ্জাম। এরপর থেকে হঠাৎ করে অভিযান থেমে যায়। চট্টগ্রামের একটি জুয়ার আসর থেকে সরকারি দলের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী ১৮০ কোটি টাকার মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন পুলিশ কর্মকর্তা সাইফুল আমিন।
যদিও এমন অভিযোগ করে তাকে সাময়িক বরখাস্ত হতে হয়েছে। চট্টগ্রামে শুদ্ধি অভিযানের বিষয়ে র্যাব-৭ চট্টগ্রামের একজন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইনকিলাবকে বলেন, এ ধরনের কোন অভিযান আপাতত চলমান নেই। নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) ফারুক-উল হক বলেন, সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজন নজরদারিতে রাখা হয়েছে। সবুজ সঙ্কেত পেলে যে কোন সময় অভিযান।
বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. গাজী সালেহ উদ্দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী অভিযানের প্রশংসা করে বলেন, সাফল্য পেতে হলে সর্বাত্মক অভিযান পরিচালনা করতে হবে। রাজধানী ঢাকায় যারা অপকর্ম করেছে তাদের সহযোগীদের অনেকে চট্টগ্রাম এবং দেশের অন্যান্য জেলায় রয়েছে। যারা সুবিধাভোগী তাদেরও ধরতে হবে। অবৈধ আয়ের মাধ্যমে যারা কালো টাকার মালিক হয়েছেন তারাই মূলত ক্যাসিনো সাম্রাজ্যের হোতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ অপকর্ম বন্ধ করতে হলে কালো টাকার মালিকদের চিহ্নিত করতে হবে। ক্রীড়া ক্লাবগুলোকে ক্যাসিনো জুয়ার মত অবৈধ এবং অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ করে খেলাধুলার উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দ এবং এসব ক্লাব পরিচালনায় একটি নীতিমালা তৈরি করার তাগিদ দেন এ সমাজবিজ্ঞানী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।