Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

শর্ত অনুযায়ী কাজ করতে ব্যর্থ হলে টেন্ডার বাতিল করবে গণপূর্ত অধিদপ্তর

জি কে শামীমের কাছে আড়াই হাজার কোটি টাকার কাজ আটকা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

সরকারের চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে গণপূর্ত অধিদপ্তরের বিশেষ ক্যাটাগরির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জি কে বিল্ডার্সের কর্ণধার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম গ্রেফতার হওয়ায় তার প্রতিষ্ঠানের হাতে থাকা প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ঠিকাদারি চুক্তি অনুযায়ী জি কে বিল্ডার্স এসব কাজ সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে তাদের ওয়ার্ক অর্ডার এবং নিরাপত্তা জামানত বাতিল করবে গণপূর্ত অধিদপ্তর।

গতকাল রোববার গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাহাদাত হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, আমরা কোনো ব্যক্তিকে কাজ দেইনি। পিপিআর অনুযায়ী সরকারি সব নিয়ম মেনেই তার প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়েছে। সে অনুযায়ী তাদের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। টেন্ডারে শর্ত অনুযায়ী, তারা যদি কাজ করতে ব্যর্থ হয় তাহলে চুক্তি অনুযায়ীই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানা গেছে, জি কে শামীমের প্রতিষ্ঠানের কাছে আটকে আছে আড়াই হাজার কোটি টাকার কাজ। বর্তমানে যেসব প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে সেগুলো হলো, ১৫০ কোটি টাকার অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবন ও ১৫০ কোটি টাকার মন্ত্রিসভা (কেবিনেট) ভবন, আগারগাঁওয়ে ৪০০ কোটি টাকার এনবিআর ভবন, বিজ্ঞান জাদুঘরে ১০০ কোটি টাকা, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বর্ধিত ভবন নির্মাণে ৪০০ কোটি টাকার প্রকল্প, ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে র‌্যাব হেডকোয়ার্টার, এনজিও ফাউন্ডেশনের ৬৫ কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে।

এছাড়া ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ের মহাখালী শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলেও এর ফিনিশিং পর্যায়ের অল্প কিছু কাজ বাকি রয়েছে। ইতোমধ্যে বেইলি রোডে ৩০০ কোটি টাকার পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করা হয়েছে। পঙ্গু হাসপাতালে ৩৫০ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজও শেষ পর্যায়ে। আগামী ডিসেম্বর মাসে এনবিআর ভবনের উদ্বোধনের কথা রয়েছে। বর্তমানে এর কাজ ফিনিশিং পর্যায়ে রয়েছে। এর পাশাপাশি ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকার অ্যাজমা হাসপাতাল, ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকার ক্যান্সার হাসপাতাল, ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকার সেবা মহাবিদ্যালয়, ৮০ কোটি টাকার নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল, ৮০ কোটি টাকার বিজ্ঞান জাদুঘর, ১২ কোটি টাকার পিএসসি, ৬৫ কোটি টাকার এনজিও ফাউন্ডেশন এবং মিরপুর-৬ তে ৩০ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ রয়েছে। জি কে শামীম গ্রেফতার হওয়ার পরও এসব প্রকল্পের কাজ সপ্তাখানেক চলমান ছিল। তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার পর থেকে কাজগুলো বন্ধ রয়েছে।

এ ব্যাপারে জি কে বিল্ডার্সের প্রধান প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, প্রকল্পগুলো চালিয়ে নেয়ার মতো নগদ অর্থ এখন আর আমাদের হাতে নেই। জি কে শামীমের স্বাক্ষর করা চেকগুলো ক্যাশ করতে না পারায় পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে এবং কাজ চালিয়ে নেয়ার মতো নগদ অর্থের সঙ্কট থাকায় কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ