Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশের উপকূলে বঙ্গোপসাগর পর্যবেক্ষণ করতে ২০টি রাডার বসাবে ভারত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:১৮ পিএম

বাংলাদেশের উপকূলে ২০টি রাডার সিস্টেম নেটওয়ার্ক স্থাপন করবে ভারত। নতুন এ নেটওয়ার্কের নাম কোস্টাল সার্ভিলেন্স রাডার সিস্টেম ইন বাংলাদেশ। এটি সমুদ্রপথে যেকোনো সন্ত্রাসী হামলা সনাক্ত করতে ভারতকে সাহায্য করবে। সেই সঙ্গে প্রতিবেশীদের নৌসীমানায় দৃষ্টি রাখতে পারবে।
গতকাল শনিবার (৫ অক্টোবর) নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠক হয়। এরপরেই কোস্টাল সার্ভিলেন্স রাডার সিস্টেম ইন বাংলাদেশ স্থাপনের বিষয়ে সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষরিত হয়।
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির অধীনে এমন ব্যবস্থা নিয়ে বঙ্গোপসাগর এলাকায় অধিক কড়া দৃষ্টি রাখবে ভারত।
একই রকম উপকূলীয় নজরদারি বিষয়ক নেটওয়ার্ক ভারত মহাসাগরীয় অন্য দেশগুলোতেও স্থাপন করছে ভারত। তার মধ্যে রয়েছে মৌরিতিয়াস, শ্রীলঙ্কা, সিসিলি এবং মালদ্বীপ।
ভারত যে রাডার সিস্টেম বসানোর কথা বলেছে, তা বাংলাদেশকে এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে নিরাপদ প্রহরী হিসেবে কাজ করবে। তবে সূত্রগুলো বলেছেন, এ নেটওয়ার্ক হবে ভারতের জন্য একটি কৌশলগত সম্পদ এবং এটা ভারতের নৌবাহিনীর জন্য হবে সহায়ক। তারা এটা ব্যবহার করে জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি কোনো রকম হুমকি সনাক্ত ও তার জবাব দিতে পারবে।
উল্লেখ্য, গত মাসে ভারতের নৌবাহিনীর গোয়েন্দা বিমান ভারত মহাসাগর ও এর আশপাশের অঞ্চলে গণচীনের লিবারেশন আর্মি নেভি’র সাতটি যুদ্ধজাহাজকে অপারেশনে আছে বলে সনাক্ত করে। গত বছর ভারত মহাসাগরে চীনের নৌবাহিনীর টাইপ ০৩৯এ ইউয়ান ক্লাসের একটি সাবমেরিন সনাক্ত করা হয়।
২০১৭ সালের জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত পশ্চিম ভুটানের দোকলাম উপত্যকা নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে এক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। তারপর ভারত মহাসাগরে চীনের নৌবাহিনীর একটি সাবমেরিন ভারতের সনাক্ত করার ঘটনা এটাই প্রথম। দোকলাম নিয়ে ভারতের সঙ্গে চীনের যখন ৭২ দিনের অচলাবস্থা দেখা দেয় তখন ভারত মহাসাগরে চীনের নৌবাহিনীর ১৪টি যুদ্ধজাহাজ ও সাতটি সাবমেরিন অবস্থান করছিল ভারত মহাসাগরে।
২০১৩ সাল থেকে ভারত মহাসাগরে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন শুরু করে গণচীনের লিবারেশন আর্মি নেভি। তখন বলা হয়, অ্যাডেন উপসাগরে জলদস্যুবিরোধী অপারেশনে তারা নিয়োজিত। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীন যে ‘স্ট্রিং অব পার্লস’ কৌশলগত সম্পদ গড়ে তুলছে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি। সূত্র: ডেকান হেরাল্ড



 

Show all comments
  • মোঃসালাহ উদ্দিন আহমেদ ৬ অক্টোবর, ২০১৯, ৬:৩৬ পিএম says : 0
    আমার মনে হয় সরকারের উচিৎ এরকম প্রস্তাব থেকে সরে আসা।কারণ এতে বাংলাদের স্বার্থরক্ষার থেকে ক্ষুণ্ণ হবে বেশি। দেশের সার্বভৌম প্রশ্নবিদ্ধ হবে। আর মোদি এমন এক লোক যার উদ্যেশ্য ভালো হতে পারেনা।
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃসালাহ উদ্দিন আহমেদ ৬ অক্টোবর, ২০১৯, ৬:৩৬ পিএম says : 0
    আমার মনে হয় সরকারের উচিৎ এরকম প্রস্তাব থেকে সরে আসা।কারণ এতে বাংলাদের স্বার্থরক্ষার থেকে ক্ষুণ্ণ হবে বেশি। দেশের সার্বভৌম প্রশ্নবিদ্ধ হবে। আর মোদি এমন এক লোক যার উদ্যেশ্য ভালো হতে পারেনা।
    Total Reply(0) Reply
  • Milton Milton ৭ অক্টোবর, ২০১৯, ৮:১২ এএম says : 0
    The present situation of our loving country reminds the terrible shameful situation of the Palashy of 1757 ad.......Still now the grave yeard of Mir Zagar is more shinee than that of Nawab Shiraj Ud Doula.
    Total Reply(0) Reply
  • হোছাইন লুতফি ১০ অক্টোবর, ২০১৯, ৯:৫৪ এএম says : 0
    পশ্চিম বঙ্গের দক্ষিণ উপকুল থেকে ভারত সমগ্র দক্ষিণ এলাকায় নজরদারি করতে পারে। বাংলাদেশের সীমানায় রাডার বসানো মানেই হলো বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণে রাখা। বাংলাদেশের স্বাধীন স্বত্ত্বায় বিশ্বাসী কোন লোক এটা মেনে নিতে পারেনা।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Alomgir Hossain ২৬ জুন, ২০২০, ১১:৩৮ এএম says : 0
    বাংলাদেশের জন্য এটা অনেক বড় ক্ষতি হলো।বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অনেক বড় হুমকির মুখে পড়লো। এই চুক্তি বাতিল করা উচিত।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত-বাংলাদেশ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ