পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অরুণাচল প্রদেশে ভারতের চলমান ‘হিম-বিজয় সামরিক মহড়া’ নিয়ে তীব্র আপত্তি জানাল চীন। আগামী সপ্তাহে মোদি-শি জিনপিং অনানুষ্ঠানিক শীর্ষ সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগ মুহূর্তে ভারতের এমন মহড়ার আয়োজন করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চীন। বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখলের সাথে এক বৈঠকে এই আপত্তি জানান চীনা উপররাষ্ট্রমন্ত্রী লুও জাওহুই। তিনি এর আগে চীনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে ভারতে নিযুক্ত ছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেইজিং ভারতকে বলেছে যে, এই সামরিক মহড়া সম্মেলন সফল হওয়ার জন্য উভয় পক্ষের আন্তরিক প্রচেষ্টার উপরে প্রভাব ফেলতে পারে। এ বিষয়ে ভারত জানিয়েছে, এই মহড়া নিয়ন্ত্রণ সীমানা (এলএসি) থেকে ১০০ কিলোমিটার ভেতরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সম্মেলনের সময়ের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই, কারণ এর পরিকল্পনা কয়েক মাস আগেই করা হয়েছিল। নাম না প্রকাশ করার শর্তে প্রকাশিত ভারতের এক শীর্ষ সরকারি সূত্র জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে বৈঠকটি যদিও এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি, তবে আপাতত তফসিলের মধ্যে রয়েছে যে, তিনি ১১ অক্টোবর দুপুরে চেন্নাইয়ে অবতরণ করবেন। সেদিন সন্ধ্যায় তিনি মামল্লাপুরামের মন্দিরের শহরে ভ্রমণ করবেন এবং সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে রাতের খাবার খাবেন। এই অনানুষ্ঠানিক শীর্ষ সম্মেলন সম্ভবত খুবই সল্প সময়ের মধ্যেই শেষ হবে। কারণ, ভারতে জিনপিং ২৪ ঘন্টার বেশি অবস্থান করবেন না বলে জানানো হয়েছে। ভারতে লুও-গোখলে বৈঠকের বিষয়ে কোন পক্ষই আনুষ্ঠানিকভাবে কোন তথ্য জানায়নি। লুওয়ের এই সফরের বিষয়টি গত ৩ অক্টোবর নিশ্চিত করেছিল ভারতের সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
অরুণাচল প্রদেশের যে অংশে ভারতের সামরিক মহড়া চলছে চীন তাকে দক্ষিণ তিব্বতের একটি অংশ হিসাবে মনে করে। জিনপিংয়ের চেন্নাই আসার মাত্র এক সপ্তাহ আগে এমন মহড়ার আয়োজনে বেইজিং প্রচÐ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। দুই দেশের জন্যই এই সম্মেলন চলতি বছরের মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে আয়োজক দেশ হিসাবে ভারত এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোন তারিখ ঘোষণা না করায় সংবেদনশীল ব্যাপারগুলো নিয়ে আলোচনার প্রস্তুতি নেয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করে চীন।
এ বিষয়ে এমইএর মুখপাত্র রাভীশ কুমার গত শুক্রবার বলেন, এই সফরটির ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কোন ঘোষণা দেয়ার মত কোন অবস্থানে তিনি নেই। তবে এর তাৎপর্য স্বীকার করে তিনি বলেন, দুই নেতার মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে মতবিনিময় করার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম।
উভয় পক্ষই বুঝতে পারছে যে, দ্বিতীয় অনানুষ্ঠানিক শীর্ষ সম্মেলনের ক্ষেত্রে এমন অনুক‚ল পরিবেশ আর নাও থাকতে পারে। অধিকৃত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারে ভারতের নেয়া সিদ্ধান্ত ও লাদাখকে আলাদা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পরিণত করা নিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হয়। যদিও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর গত আগস্টে বেইজিং সফরের সময় চীনকে ব্যাখ্যা করেছিলেন, ‘অনুচ্ছেদ ৩৭০ প্রত্যাহার ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এর সাথে চীন ও ভারতের মধ্যে বিতর্কিত এলাকার কোন সম্পর্ক নেই।’
যদিও এই অনানুষ্ঠানিক শীর্ষ সম্মেলনে চলমান বিরোধপূর্ণ সমস্যাগুলোর খুব একটা সমাধান হবে না বলে মনে করে উভয় পক্ষই। তবে এর ফলে পারস্পরিক আস্থা বাড়তে পারে। এর আগে, ‘উহান’ শীর্ষ সম্মেলনে দুই দেশের মধ্যে সামরিক কৌশলগত বিশ্বাস এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া হয়েছিল। যার কারণে গত ১৮ মাসে কোনো বড় সীমান্ত সংঘাত হয়নি। সূত্র : টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।