Inqilab Logo

বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খানা মে পেঁয়াজ বন্ধ কারদো

এনআরসি নিয়ে চিন্তিত নই

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের বাজারে। সে সমস্যার কথা বলতে গিয়ে নয়াদিল্লি সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক অনুষ্ঠানে রসিকতা করে বলেছেন, তিনি তার রাঁধুনীদের বলে দিয়েছেন যেন পেঁয়াজ ছাড়াই রান্না করা হয়। তার এ কথায় হাসির রোল পড়ে যায় অনুষ্ঠানস্থলে।

গতকাল নয়াদিল্লির আইটিসি মাইয়্যুরা হোটেলে বাংলাদেশ-ভারত বিজনেস ফোরামের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলী প্রমুখ।

বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বের সম্পর্কের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে সামনের দিনগুলোতে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে ভারত-বাংলাদেশ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। পারস্পরিক যোগাযোগের এ সুযোগ তৈরির জন্য আমি ভারত সরকারের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

বাংলাদেশে ভারতের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী রসিকতা করে হিন্দি ভাষায় বলেন, পেঁয়াজ মে থোড়া দিক্কত হো গ্যায়া হামারে লিয়ে। মুঝে মালুম নেহি কিউ আপনে পেঁয়াজ বন্ধ কর দিয়া। ম্যায়নে কুক কো বোল দিয়া, আব সে খানা মে পেঁয়াজ বন্ধ কারদো। (পেঁয়াজ নিয়ে আমাদের সামান্য সমস্যা হয়ে গেল। আমি জানি না, কেন আপনারা পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু আমি আমার রাঁধুনীদের বলে দিয়েছি যে, এখন থেকে রান্নাবান্নায় পেঁয়াজ বন্ধ করে দাও।) ভারতের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করার বিষয়টি আগে থেকে না জানানোর কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আগে থেকে জানালে আমরা অন্য জায়গা থেকে ব্যবস্থা করতাম।

বাংলাদেশ ও ভারত বর্তমানে সর্বকালের সেরা সম্পর্ক উপভোগ করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের নিজ নিজ জনগণের পারস্পরিক স্বার্থে কাজ করে এই অঞ্চলকে আরও সমৃদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদের সকলকে প্লাটফর্মটির সর্বোত্তম ব্যবহার করতে এবং আমাদের জনগণের পারস্পরিক বৃহত্তর স্বার্থে উভয় দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার অনুরোধ করছি এবং এর মাধ্যমে আমরা আমাদের দেশ ও এই অঞ্চলকে আরও সমৃদ্ধ এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করতে পারব। আইবিবিএফের প্লাটফর্মের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারত সবচেয়ে ভাল সম্পর্ক উপভোগ করছে। রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও আপনাদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সুনিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্লাটফর্মটি রয়েছে এবং আমরা আপনাদের প্রচেষ্টা সহজ করার জন্য সকল ধরনের সহায়তা প্রদানের জন্য প্রস্তুত রয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী ভারতের ব্যবসায়ীদের বংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাইটেক পার্কগুলোতে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বেশ কয়েকটি হাইটেক পার্ক প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনী উদ্যোগের জন্যও প্রস্তুত রয়েছে। মংলা, ভেড়ামারা ও মিরেরসরাইয়ে ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য তিনটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রস্তুত করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এই তিনটি ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের পর্যাপ্ত বিনিয়োগ আমাদের রফতানিযোগ্য খাতকে আরও প্রশস্ত করতে সহায়তা করবে।

‘আমরা সারাদেশে একশ’ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছি, যার মধ্যে প্রায় ১২টি তৈরি হয়ে গেছে যেখানে ৪টি অঞ্চল ৩টি দেশের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে বাংলাদেশের গড়ে ওঠার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশের কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থান দেশটিকে এই অঞ্চলের অর্থনীতির কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে ব্যাপক সম্ভাবনার সৃষ্টি করেছে। পশ্চিমে ভারত, উত্তর দিকে চীন এবং পূর্বদিকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, বাংলাদেশ ৪ বিলিয়ন মানুষের বাজারের মাঝামাঝি রয়েছে।

বৈশ্বিক সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) প্রবৃদ্ধির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে আমাদের সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বাংলাদেশে বৈশ্বিক এফডিআই’র ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে প্রতি ক্রমবর্ধমান আস্থারই প্রতিফলন।

সংসদের প্রাসঙ্গিক আইন এবং দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ চুক্তির দ্বারা বিদেশি বিনিয়োগকে সুরক্ষা প্রদান করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা একসঙ্গে আরো বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ দেখতে চাই যেখানে ভারতীয় বড় বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে শিল্প স্থাপন করতে এবং আমাদের মধ্যে বিদ্যমান উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলো এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোতে পণ্য রপ্তানি করতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা জানি যে, বিশ্বের বেশির ভাগ বর্ধিষ্ণু অর্থনীতির দেশগুলো তাদের প্রতিবেশী দেশগুলিতেই তাদের প্রাথমিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের প্রকল্প গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, একইভাবে ভারতীয় ব্যবসায়ী নেতারা আমাদের অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে আরও এগিয়ে নিতে খুব বড় ভূমিকা পালন করেতে পারেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বা ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে সক্ষম হব এবং এভাবেই আমরা আমাদের শহীদ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারি।

প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে দেশে সবচেয়ে উদার বিনিয়োগ নীতি বলবৎ থাকার বিষয়টি পুনরায় স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে উদার বিনিয়োগের পরিবেশ বিরাজ করছে। যার মধ্যে রয়েছে- বৈদেশিক বিনিয়োগের আইনি সুরক্ষা, উদার রাজস্ব ব্যবস্থা, মেশিনপত্র আমদানির ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড়, আনরেস্ট্রিক্টেড এক্সিট পলিসি, সম্পূর্ণ বিনিয়োগ ও পুঁজি নিয়ে চলে যাওয়ার সুবিধাসহ নানাবিধ সুযোগ সুবিধা।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, সংসদের প্রাসঙ্গিক আইন এবং দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ চুক্তির দ্বারা ও বিদেশি বিনিয়োগকে সুরক্ষা প্রদান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের বিশাল জনসংখ্যা, যাদের বেশির ভাগের বয়স ২৫ বছরের কম, যারা অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক মজুরিতে নিযুক্ত হতে প্রস্তুত রয়েছে, বাংলাদেশের সম্ভাবনার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, দ্রুত নগরায়নের ফলে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ক্রমবর্ধমান প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশে বিনিয়োগকারীদের বাজার সম্ভাবনার দিকেই ইঙ্গিত করে।

সন্ত্রাস এবং দুর্নীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ১৬২ মিলিয়ন জনসংখ্যা সমন্বিত একটি প্রগতিশীল ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র।

দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত বছরগুলোতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। বাণিজ্যের ভারসাম্য যদিও এখন পর্যন্ত ভারতের পক্ষে রয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ভারতের শিল্প ও রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল, বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী, ফেডাবেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)-এর সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, ভারতের কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই)-এর সভাপতি বিক্রম শ্রীকান্ত কিরলসকার, ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই)-এর সভাপতি সন্দীপ সোমনি অ্যাসোসিয়েটেড চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অব ইন্ডিয়া (এএসএসওসিএইচএএম)-এর সভাপতি বালকৃষ্ণ গোয়েঙ্কা।

শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক এযাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে। মোদিজী নিজে যাকে ‘সোনালি অধ্যায়’ বলে অভিহিত করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভূরাজনৈতিক রূপান্তর ও চ্যালেঞ্জ সত্তে¡ও ‘পারস্পরিক স্বার্থ’ ও ‘অভিন্ন ভবিষ্যৎ’ গড়ে তোলার নীতির ওপর ভিত্তি করে আমরা আমাদের সম্পর্ক জোরদার ও সংহত করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের সহযোগিতা নিরাপত্তা, জ্বালানি, যোগাযোগ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা, সংস্কৃতি এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক ও যোগাযোগসহ সব ক্ষেত্রে সম্প্রসারিত হয়েছে।

গত ১০ বছরে বাংলাদেশের ব্যাপক অর্থনৈতিক অগ্রগতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা গত এক দশকে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক উন্নয়নে সক্ষম হয়েছি, যা উন্নয়নের মডেল হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে। বাংলাদেশকে বিশ্বের দ্রুত বিকাশমান অর্থনীতিগুলোর অন্যতম দেশ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের তৈরি পোশাক রফতানিতে দ্বিতীয়, অভ্যন্তরীণ মৎস্য উৎপাদনে তৃতীয়, মিঠাপানির মৎস্য উৎপাদনে চতুর্থ, চাল উৎপাদনে চতুর্থ এবং রেমিট্যান্স অর্জনে অষ্টম বৃহত্তম অবস্থানে রয়েছে।

এনআরসি নিয়ে চিন্তিত নই
ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনসের (এনআরসি) বিষয়ে চিন্তিত নন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের দৈনিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গত বৃহস্পতিবার ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী আয়োজিত স্বাগত অনুষ্ঠানে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের পক্ষ থেকে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে নরেন্দ্র মোদি এনআরসি বিষয়ে তাকে যে আশ্বাস দিয়েছিলেন তাতে তিনি সন্তুষ্ট কি না? উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, অবশ্যই। আমি তো কোনো সমস্যা দেখছি না। আমার সাথে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কথা হয়েছে। সব ঠিক আছে।
ওই স্বাগত অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা দিল্লিভিত্তিক ৭৮টি দেশের কূটনৈতিক মিশনের প্রতিনিধিদের সাথে দেখা করেন। এবং ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তাদের সবাইকে বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। এর আগে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের বাইরে এক ব্যক্তিগত বৈঠকে নরেন্দ্র মোদি শেখ হাসিনাকে বলেছিলেন, আসামের এনআরসি নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের কিছু নেই। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ্ বলেছেন, নাগরিক নয় এমন ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা হবে এবং তাদেরকে ভারত থেকে বের করে দেয়া হবে।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ৫ অক্টোবর, ২০১৯, ১:১১ এএম says : 0
    নেত্রী হাসিনাকে আমাদের কষ্টার্জিত লাল সবুজের সালাম। একজন আন্তর্জাতিক নেত্রী হাসিনা, সেভাবেই তিনি তাঁর বক্তব্য রেখেছেন। আমাদের নেত্রী হাসিনা এখন বিশ্বের একজন সেরা রাজনীতিবিদ ওনার আমলেই আমরা দেশকে উন্নত একটি দেশ হিসাবে পাচ্ছি এটাই মহা সত্য কথা। ভারতের রাজধানী দিল্লীতে যেভাবে একদিন জাতির জনক বলেছিলেন “আমি বলার সাথে সাথে ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহার করা হবে”। তিনি যে সাহসিকতার সাথে চুক্তির বাইরে ভারতকে আগাম নোটিশ দিয়েছিলেন ঠিক তেমনই ভাবেই তারই কন্যা আজ ভারতকে সুনিয়ে দিলেন যে, ভারত আন্তর্জাতিক নীতি না মেনে কোন রকম আগাম বার্তা না দিয়ে চুক্তি বন্ধ করে দেয় এটা সঠিক নয়। এরকম অবস্থায় ভারত পূর্বেও বাংলাদেশকে ফেলেছে কিন্তু কোন সরকারই এরপ্রতি উত্তর করেনি এমনকি হাসিনার সরকার এই প্রথম প্রতিবাদ করলো। এর অর্থ অবশ্যই আমাদেরকে বুঝতে হবে তাই না...... আমরা এখন ১০০% ভারতের উপর নির্ভরশীল নই এটাই আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে বুঝা যাচ্ছে তাই না??? আমরা আশা করবো নেত্রী হাসিনা আমাদের দেশকে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সেভাবেই তিনি নিবেন এটাই আমরা চাই। বিগত সরকার প্রধানেরা খাদ্যে স্বনির্ভর হবেন বলে প্রচুর বক্তব্য রেখেগেছেন কিন্তু কোন সরকার প্রধানই সেটাকে কোনভাবেই বাস্তবায়িত করতে পারেননি। শেখ হাসিনার সরকারও খাদ্যে স্বনির্ভর হবার কথা বলছেন এবং সেটাকে পর্যাক্রমে বাস্তবায়িত করে চলছেন এটাই বাস্তব। দেশের প্রধান যদি ধর্মভীরু ও ঈমান্দার হন তাহলে আল্লাহ্‌ সেই রাষ্ট্র নায়কের প্রতি সদয় থাকেন এটাই আমাদের বিশ্বাস। এখানে নেত্রী হাসিনা একজন ধর্মভীরু ঈমান্দার মুসলমান কাজেই আমার বিশ্বাস তিনিই পারবেন বাংলাদেশের হাল ধরে আল্লাহ্‌র রহমত নিয়ে দেশকে একটা পর্যায়ে নিতে। আমি মহান আল্লাহ্‌র নিকট শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করছি। আমিন
    Total Reply(0) Reply
  • Farhana Mily ৫ অক্টোবর, ২০১৯, ১:১১ এএম says : 0
    আমার ঘরে আমিই রান্ধি, আমিই রাধুনি। আমি তো পেয়াজ ই খাইনা।
    Total Reply(0) Reply
  • Minhaz Islam Kajol ৫ অক্টোবর, ২০১৯, ১:১২ এএম says : 0
    আমরা ইন্ডিয়ান পেয়াজ ছাড়াও চলতে পারবো। সামান্য পেয়াজের জন্য তাদের কাছে অসহায়ত্ব প্রকাশ বিষয়টি অশোভন।
    Total Reply(0) Reply
  • Firoz Alam ৫ অক্টোবর, ২০১৯, ১:১২ এএম says : 0
    we have to reduce dependent on others from now.
    Total Reply(0) Reply
  • Tarek Mollah ৫ অক্টোবর, ২০১৯, ১:১৩ এএম says : 0
    Great Prime Minister, I bet you liked my post the other day about stop eating onion. We Bengali's always indulge into রসনা বিলাস by nature, but we should high time adapt to more less-মসলা diet.
    Total Reply(0) Reply
  • Shamaun Iqbal Shamun ৫ অক্টোবর, ২০১৯, ১:১৪ এএম says : 0
    আজ সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের কথা খুব মনে পড়ছে। উনিও একবার বলেছিলেন, 'পেঁয়াজ না খেলে কি হয়!' তখন থেকে আমি পেঁয়াজ মরিচ ছাড়াই ডিম ভাজি খেয়ে বেঁচে আছি!
    Total Reply(0) Reply
  • Md A Razzak ৫ অক্টোবর, ২০১৯, ১:১৪ এএম says : 0
    আমাদের প্রধানমন্ত্রী যেহেতু পেয়াজ খাওয়া বন্ধ করে দিছে তাই আমাদের সকলের উচিৎ পেয়াজ খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া
    Total Reply(0) Reply
  • Nazmul Rephat ৫ অক্টোবর, ২০১৯, ১:১৫ এএম says : 0
    ভারতের সাথে আমাদের ব্যবসার কোনো প্রয়োজন নেই। আজ আমরা অন্য দশটা দেশ থেকে সংগ্রহ করবো। নিজ দেশে উৎপাদন বাড়াবো। তাতেই হবে। তাই বলে কি ভারত পেঁয়াজ না দেওয়ায় কি পেঁয়াজ খাওয়া বন্ধ করবো নাকি ?
    Total Reply(0) Reply
  • Chowdhury Shakil Ahmed ৫ অক্টোবর, ২০১৯, ১:১৬ এএম says : 0
    অসাধারণ বক্তব্য। এত অসহায়ত্ব বাইরে বের করার প্রয়োজন কি ? আপনার তো এইটা বলার প্রয়োজন ছিল যে, আপনে পেঁয়াজ বন্দ কিয়্যা কোয়ি বাত নেহি হামনে বি হামারা কৃষান কো বোল দিয়া কি পেঁয়াজ কা আবাদি আব ছে ইতনা জিয়াদা করো কি আগলা সাল হাম ইন্ড়িয়া মে বি ভেজ চেকে।
    Total Reply(0) Reply
  • Shamsul Haque ৫ অক্টোবর, ২০১৯, ১:১৭ এএম says : 1
    উনি মাশাআল্লাহ্ ভাল হিন্দি বলতে পারে,,,, তার পরেও কিছু কিছু আবাল বলবে খালেদা জিয়া উর্দু বলতে খুব পছন্দ করে,, কিন্তু আপনারা কেউ শুনছেন খালেদা জিয়াকে উর্দু বলতে?
    Total Reply(0) Reply
  • Shamsul Haque ৫ অক্টোবর, ২০১৯, ১:১৭ এএম says : 1
    উনি মাশাআল্লাহ্ ভাল হিন্দি বলতে পারে,,,, তার পরেও কিছু কিছু আবাল বলবে খালেদা জিয়া উর্দু বলতে খুব পছন্দ করে,, কিন্তু আপনারা কেউ শুনছেন খালেদা জিয়াকে উর্দু বলতে?
    Total Reply(0) Reply
  • Rashed ৫ অক্টোবর, ২০১৯, ৭:২৪ পিএম says : 0
    পাকিস্তান সফরে গিয়া সাংবাদিক সন্মেলনে একটা মাত্র উর্দূ শব্দ উচ্চারণ করায় মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সালমা খাতুনের জন্য বাংলাদেশ প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবী উঠানো আলতাফ মাহমুদের মেয়ে শাওন মাহমুদের কাছে কেউ জিজ্ঞাসা করতে পারবেন, উনার আব্বার সুর করা "আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি" গানের হিন্দি ভার্সন কবে নাগাদ বাজারে আসবে? (Rashed Khan).
    Total Reply(0) Reply
  • Rashed ৫ অক্টোবর, ২০১৯, ৭:২৪ পিএম says : 0
    পাকিস্তান সফরে গিয়া সাংবাদিক সন্মেলনে একটা মাত্র উর্দূ শব্দ উচ্চারণ করায় মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সালমা খাতুনের জন্য বাংলাদেশ প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবী উঠানো আলতাফ মাহমুদের মেয়ে শাওন মাহমুদের কাছে কেউ জিজ্ঞাসা করতে পারবেন, উনার আব্বার সুর করা "আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি" গানের হিন্দি ভার্সন কবে নাগাদ বাজারে আসবে? (Rashed Khan).
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ