পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি পুরোপুরি আইনি বিষয়। কারণ তিনি দুর্নীতির মামলায় শাস্তিপ্রাপ্ত আসামী। তাকে রাজনৈতিক কারণে বন্দি করা হয়নি। রাজনৈতিক কারণে কাউকে বন্দি করা হলে বা রাখা হলে তাকে আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করার বিষয়টি থাকে। সুতরাং খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে আইনের মাধ্যমেই মুক্ত করতে হবে। গতকাল সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিমময়কালে এবিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল মালেক এসময় উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সাথে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান বলেন, গত বুধবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে ডেকেছিলেন, আমিও সেখানে ছিলাম। সেখানে এই বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। সেখানে সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির কাছে আমার প্রশ্ন, তারা কোন পথে খালেদা জিয়ার মুক্তি চান। খালেদা জিয়ার মুক্তি তো আইনের পথে ছাড়া অন্য কোনো পথে সম্ভবপর নয়। কিন্তু বিএনপি বারবার হুংকার দেন, তারা আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবেন। বিএনপি’র আন্দোলনের নমুনা গত সাড়ে দশ বছর থেকে দেখে আসছি।
মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য বিএনপি নেতাদের এ রকম দৌড়-ঝাঁপ আগেও দেখেছি। গত কয়েক দিনে তাদের সংসদ সদস্যরা বেগম জিয়ার সাথে দেখা করে তাকে মুক্ত করে বিদেশে পাঠাবেন এ রকম কথা বলেছেন। কোথায় পাঠাবেন সেটা পরের বিষয়, প্রথমত তার মুক্তির বিষয়টি সুরাহা করতে হবে। মুক্তির বিষয়টা একান্ত আইনি ব্যাপার, এখানে অন্য কিছু নেই। জামিন বা খালাস বা প্যারোল- সবক্ষেত্রেই আইনি প্রক্রিয়া আছে। আর উনি কোনো প্যারোলো আবেদন করেননি।
উইকিলিকসে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় তারেক জিয়ার জড়িত থাকার তথ্য-প্রমাণ প্রকাশের বিষয়ে মন্ত্রীর মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে কথাটি এতোদিন আমরা বলে আসছি, সেটি উইকিলিকসে তথ্যের মাধ্যমে উঠে আসছে। এটি আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। আদালতে স্বাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে এটি প্রমাণিত হয়েছে যে, তারেক জিয়া ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মাস্টারমাইন্ড। আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করার লক্ষ্যে এই গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করা হয়েছিল। আমরা যখনই বলেছি, তখনই বিএনপি এর বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছে। এখন আমার প্রশ্ন জাগে তারেক জিয়া এবং খালেদা জিয়ার জ্ঞাতসারে এই ঘটনা ঘটেছে এটা উইকিলিসে উঠে এসেছে এখন বিএনপি কি বলবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।