পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রোহিঙ্গাদের যখন মিয়ানমারের সামরিক জান্তারা নির্যাতন করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়; তখন বাংলাদেশের সে সময়ের খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম মিয়ানমার সফর করে পচা চাল নিয়ে আসেন। মিয়ানমার থেকে আমদানি করা সেই চাল আইন শৃংখলা বাহিনীকে দেয়া হলে শুরু হয় তোলপাড়। পেঁয়াজ সংকটের সুযোগ নিয়ে এবার সেই মিয়ানমার থেকে পচা পেয়াজ আমদানি করা হয়েছে। বাজার ঘুরে দেখা যায় আড়তদারদের অনেকেই দোকানের এক পাশে মিয়ানমারের পচা পেঁয়াজের বস্তা ফেলে রেখেছেন। তারা বলছেন, বস্তা খুলে এসব পেঁয়াজের কিছু ফেলে দিতে হবে। আর বাকিগুলোর অধিকাংশই অর্ধেক দামে বিক্রি করা হবে।
ভারত হঠাৎ করে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করলে বাংলাদেশের সি-িকেট ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেয়। ৩০ টাকা দরের পেঁয়াজের দাম ওঠে ১৩০ টাকা পর্যন্ত। দেশের বাজারে পেঁয়াজ সংকট দূর করতে ভারতের বিকল্প হিসেবে মিসর, তুরস্ক ও মিয়ানমার থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ইতোমধ্যে মিসর ও মিয়ানমারের পেঁয়াজ বাজারেও চলে এসেছে। তবে মিসরের পেঁয়াজ উন্নতমানের হলেও প্রশ্ন উঠেছে মিয়ানমারের পেঁয়াজের মান নিয়ে। পাইকারি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ দুইদিন হলো বাজারে আসা মিয়ানমারের অনেক পেঁয়াজ পচা। এমনকি বেশির ভাগ পেঁয়াজে গাছও গজিয়েছে।
এদিকে পেঁয়াজ সংকট কাটাতে আমদানি করে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা হলেও দাম কমেনি এখনও। মিসর-মিয়ানমারের পেঁয়াজ বাজারে এসেও কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি ব্যবসীদের মজুত কূটকৌশলের কারণে।
গতকাল রাজধানীল শ্যাম বাজারে পেঁয়াজের আড়ৎগুলো ঘুরে জানা যায়, এখানের আড়ৎগুলোতে দুইদিন আগে (০১ অক্টোবর রাতে) মিয়ানমার ও মিসরের আমাদানি করা পেঁয়াজ আসে। কিন্তু আড়তে মাল খালাস করার পরপরই বিক্রেতাদের চোখে পড়ে পচা ও গাছ বের হওয়া পেঁয়াজ। এর পরপরই তারা অর্ধেক দামে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেন বলে জানান। এছাড়া অনেক পেঁয়াজ ফেলে দেওয়ার জন্য আড়ৎ থেকে বাইরে রেখেছেন।
শ্যাম বাজারে দেখা গেল অন্য পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও পাইকারি ৩০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে মিয়ানমারের পচা পেঁয়াজ। আর মিসর থেকে আসা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি। অন্যদিকে দেশি পেঁয়াজ যেটা ফরিদপুরের বলেই সবাই কিনছেন, এটা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি। আর ভারতীয় বড় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৮ টাকার মধ্যে।
সূত্র জানায়, মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ পচাসহ নি¤œমানের হলেও অনেক ব্যবসায়ীই নীরব রয়েছেন। আবার অনেকে বলছেন, মানহীন পেঁয়াজ হওয়া সত্ত্বেও সরকারের চাপের কারণে এসব আমদানি করা হয়েছে। যদিও অনেক ব্যবসায়ী এতে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত লোকসানে পড়বে বরে দাবি করেন। পেঁয়াজ ব্যবসায়ী পবিত্র ভা-ারের ম্যানেজার বাপল সাহা বলেন, অনেক আমদানিকারককে সরকার চাপ দিয়েছে পেঁয়াজ আমদানি করতে। এর ফলে তারা কোনো বাছ-বিচার ছাড়াই আমদানি করেছেন এসব পেঁয়াজ। বাজারে পেঁয়াজের সংকট কাটাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। পর্যাপ্ত কোনো সময় ছিল না ভালো করে দেখার। তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের প্রায় সবগুলো থেকেই গাছ বা চারা বের হয়ে গেছে। এছাড়া মোট পেঁয়াজের প্রায় ২৫ শতাংশ এসেছে পচা। আলী ট্রেডার্সের ম্যানেজার শামসুর রহমান বলেন, মিসর থেকে ফ্রেশ পেঁয়াজ এলেও মিয়ানমারের গুলোর মান খুবই খারাপ। এসব পেঁয়াজে গাছ বের হওয়ার পাশাপাশি পচার মিশ্রণও রয়েছে। ফলে লোকসানেই পেঁয়াজ ছাড়তে হচ্ছে। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।