Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বাংলাদেশে উদার বিনিয়োগ পরিবেশ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৪০ এএম

দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য সবচেয়ে উত্তম পরিবেশ বিরাজ করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের বিনিয়োগকারী বিশেষ করে ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের প্রতি শিক্ষা, অটোমোটিভ শিল্প ও হাল্কা প্রকৌশল শিল্পে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

গতকাল নয়াদিল্লীর হোটেল তাজ প্যালেসে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের ইন্ডিয়া ইকোনোমিক সামিটে বাংলাদেশের উপর কৌশলগত আলোচনাকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারী বিশেষ করে ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশের শিক্ষা, হাল্কা প্রকৌশল শিল্প, ইলেক্ট্রনিক শিল্প, অটোমোটিভ শিল্প, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা শিল্পের মতো ক্ষেত্রগুলোতে বিনিয়োগ করার সময়। তিনি আরো বলেন, আজ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি স্বাধীন ও উদার বিনিয়োগের পরিবেশ বিরাজ করছে। বিনিয়াগ বান্ধব বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগকারীরদের জন্য আইনী সুরক্ষা, উদার রাজস্ব ব্যবস্থা, মেশিনপত্র আমদানীর ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড়, আনরেস্ট্রিকটেড এক্সিট পলিসি, সম্পূর্ণ বিনিয়োগ ও পুঁজি নিয়ে চলে যাবার সুবিধাসহ নানাবিধ সুবিধা রয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে নিরবিচ্ছিন্ন সুবিধা ও সেবা নিশ্চিত করে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করেছি। এদের মধ্যে ১২টি অঞ্চল ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে। দুটি অঞ্চলকে ভারতের বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। প্রযুক্তি ও উদ্ভাবণী প্রতিষ্ঠানের জন্য বেশ কয়েকটি হাই-টেক পার্ক প্রস্তুত করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশর এই ব্যাপক উন্নয়নের জন্য সামাজিক মূল্যবোধ ও বাংলাদেশের মানুষের আস্থার প্রশংসা করে বলেন, অনেকেই বাংলাদেশকে ‘৩ কোটি মধ্য ও উচ্চবিত্ত মানুষের একটি বাজার’ ও ‘অলৌকিক উন্নয়নের’ হিসেব দেখে থাকেন। তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি, আমাদের প্রধান শক্তি হচ্ছে সামাজিক মূল্যবোধ ও বাংলাদেশের প্রতি মানুষের আস্থা। সাম্যতা, সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলার আকাক্সক্ষার পাশাপাশি আমাদের নেতৃত্বের প্রতি তাদের আস্থা। ৪০টি দেশের ৮শ’ প্রতিনিধি দুই দিনের এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। আগামীকাল সম্মেলনটি শেষ হবে। সমাপনী অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বক্তৃতা দিবেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) ইন্ডিয়া ইকোনোমিক সামিটে যোগ দিতে চারদিনের সরকারি সফরে সকালে দিল্লিতে পৌঁছালে লাল গালিচা বিছিয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট (বিজি-২০৩০) প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে পালাম এয়ার ফোর্স স্টেশনে অবতরণ করে।

ভারতের নারী ও শিশু কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী এবং বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি বিমান বন্দরে ফুলে তোড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। বিমান বন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রীকে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে হোটেল তাজ মহলে নিয়ে যাওয়া হয়। সফরকালে তিনি সেখানেই অবস্থান করবেন। এর আগে বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে সকাল সোয়া ৮টায় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ত্যাগ করে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে বিদায় জানাতে অন্যান্যের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, চীপ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী লিটন, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, মন্ত্রী পরিষদ সচিব এবং তিন বাহিনীর প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর শেখ হাসিনা তার প্রথম ভারত সফরে ৫ অক্টোবর নয়াদিল্লীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে বৈঠক করবেন। তিনি একই দিন ভারতের প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দের সাথে প্রেসিডেন্ট ভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী ৬ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার সফরকালীন আবাসে সাক্ষাৎ করবেন। প্রধানমন্ত্রী আগামী ৬ অক্টোবর দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।###

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ