পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখতে মাঠে নেমেছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। কক্সবাজার শহরে জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত এই তদারকিতে নেমেছে। অভিযানে পেঁয়াজের মূল্য বেশি রাখায় একটি দোকানে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে শহরের বড় বাজার ঈসমাইল ট্রেডার্সকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জেলা প্রশাসক জানান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে এ জরিমানা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক এ সময় ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন মুদি দোকান ও মার্কেটে পেঁয়াজ ও অন্যান্য সামগ্রীর বাজারমূল্য যাচাই করেন। কোন ব্যবসায়ি যদি পেঁয়াজসহ কোন পণ্যের দাম বেশি রাখে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি হুশিয়ারি দেন।
জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্য বলেন, বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম সংকটের সুযোগ নিয়ে অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি করলে দেশে নৈরাজ্য ও অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। এ ধরনের ব্যবসায়ীরা কখনো সৎ ও ভাল ব্যবসায়ী হতে পারেনা। অতিরিক্ত লাভ ব্যবসায়ীদের জন্য ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গিতেও সুখকর নয়। তাই ন্যুনতম সীমিত লাভ করে ব্যবসা করার জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা হবে। আদালত পরিচালনাকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (বস্ত্র সেল) তৌফিকুর রহমান, এডিসি (রাজস্ব-উপসচিব) মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার, কক্সবাজার পৌরসভার প্যানেল মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, দোকান মালিক ফেডারেশনের সভাপতি মোস্তাক আহমদ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত ১ অক্টোবর কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জেলা বাজার মনিটরিং কমিটির সভায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৭০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বাজারে ব্যবসায়িরা তা মানছেন না।
এদিকে দেশে পেঁয়াজের চাহিদা বাড়ায় এক দিনেই মিয়ানমার থেকে ৫৮৪ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে টেকনাফ স্থলবন্দরে। এছাড়া শ্রমিকের অভাবে খালাসের অপেক্ষায় নাফনদীতে ভাসছে ২১ হাজার ৭৫ বস্তার (৮৪৩ মেট্রিক টন) পেঁয়াজ নিয়ে কয়েকটি ট্রলার। কক্সবাজারে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসন ৭০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রির নির্দেশনা দিয়ে সার্কুলার জারি করলেও তা মানছে ব্যবসায়িরা। খুচরা বাজার ঘুরে তাই দেখা গেছে। পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক রাখতে টেকনাফ স্থলবন্দরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল। পেঁয়াজ আমদানি ও বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বুধবার বিকেল ৫টার দিকে মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব তৌফিকুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল আমদানিকারকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব বলেন, দেশের চাহিদা ও পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখতে এখানে আসা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের মূল্য নিয়ে কারসাজি করলে তাদের চিহ্নিত করে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা মো. আবছার উদ্দিন বলেন, টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে ৫৮৪ মেট্রিক টন পেঁয়াজভর্তি ৩৭টি ট্রাক দেশের বিভিন্ন এলাকায় রওনা দিয়েছে। এছাড়া মিয়ানমার থেকে আসা ৮৪৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ খালাসের অপক্ষোয় রয়েছে।
বৈঠকে জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (জেনারেল) মাসুদুর রহমান মোল্লা, টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল হাসান, কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা, স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা আবছার উদ্দিন, সহকারি ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন, সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হাসেম, যদুচন্দ্র দাস, এম আফছার সোহেল উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, বাজারদাম সহনশীল করতে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি নির্বিঘœ করা হবে। পাশাপাশি স্থানীয়দেরও সুলভমূল্যে পেঁয়াজ সরবরাহ করতে হবে। ইতোমধ্যে স্থানীয় প্রশাসন কক্সবাজারে ৬৫-৭০ টাকায় পেঁয়াজের খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
মিয়ানমারের আমদানি পেঁয়াজ স্থানীয় বাজারে ৫০ টাকার ঊর্ধ্বে বিক্রি না করারও পরার্মশ দেন তিনি। কিন্তু কক্সবাজারের বিভিন্ন কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে ৭৫-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। ব্যবসায়ীরা জানান, তাদের কেনা দাম পড়েছে ৭২-৭৫ টাকা। তাই এর কম দামে বিক্রি করলে তাদের লোকসান দিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।