Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পেকুয়া ভূমি অফিসে ঘুষ বাণিজ্য

কক্সবাজার জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৪ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম


কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার ভূমি অফিসে কর্মরত কানুনগো, নাজির, অফিস সহকারিদের ঘুষ বাণিজ্যে ভূমি মালিকরা অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। ভুক্তভোগিরা অভিযোগ করেছেন, কাঙ্খিত চাহিদা অনুযায়ী ঘুষ না দিলে কোন টেবিল থেকেই ফাইল ছাড়েনা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারিরা। অফিস চলাকালিন ঘুষের হাট বসে এ অফিসে। নামজারি, জমাভাগ খতিয়ান সৃজন, ডিসিআর উত্তোলন, বিভিন্ন বিষয়ে আপত্তি, অভিযোগ দাখিল ও শুনানি প্রক্রিয়া শুরু করতে দায়িত্ব প্রাপ্তদের বখশিস না দিলে বাদি-বিবাদি উভয় পক্ষকে হয়রাণির শিকার হতে হয়। এ অভিযোগ নিত্যদিনের।

পেকুয়া সদরের দক্ষিণ মেহেরনামা এলাকার বাসিন্দা হাসান আলী। তাদের পৈত্রিক ১০ শতক জমি নিজের নামীয় খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করে নেন তারই প্রতিবেশি ছৈয়দ আহমদ। বিষয়টি জানতে পেরে তিনি পেকুয়া উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয়ে একটি মিস মামলা দায়ের করেন। ২০১৭ সালে মামলাটি সে সময় তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দিতে বলা হয় পেকুয়া উপজেলা ভূমি অফিসের কানুনগো শান্তি জীবন চাকমাকে। মামলার বিষয়টি সে সময় সরেজমিনে তদন্ত করে আসেন তিনি। কিন্তু দু’বছর পেরিয়ে গেলেও তিনি আজ পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন দেননি। ঘুষ না পাওয়ায় তিনি এমনটি করছেন বলে অভিযোগ মামালার বাদি পক্ষের। একইভাবে শুধু ঘুষ দাবিতে আটকে রাখা হয়েছে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের শেখেরকিল্লা ঘোনা এলাকার মাস্টার নুরুল কাদের, মাতবর পাড়া এলাকার সোনিয়া মোস্তফা চৌধুরী ও মগনামা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মৌলভী নুর মোহাম্মদের মিস মামলার প্রতিবেদন।

কিন্তু ঘুষের অর্থ পেলে মূহুর্তেই করে দেন সব কাজ। ভূমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারি ও চিহ্নিত কিছু দালালের সমন্বয়ে পেকুয়া ভূমি অফিসে তিনি গড়ে তুলেছেন ঘুষের সা¤্রাজ্য। চিহ্নিত দালালদের মাধ্যম ছাড়া ভূমি অফিসের কোন সেবা পান না সেবা প্রার্থীরা। ভূক্তভোগি মাস্টার নুরুল কাদের বলেন, গত মার্চে দায়ের করা আমার একটি মিস মামলার প্রতিবেদন আটকে রেখেছেন কানুনগো শান্তি জীবন চাকমা। তার দাবি অনুযায়ি মোটা অংকের ঘুষ দিতে না পারায় আমি খুব হয়রানির শিকার হচ্ছি। দালালদের মাধ্যমে কাজ না করাতে আমার এ দশা।

এ ব্যাপারে শান্তি জীবন চাকমা বলেন, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়। অভিযোগকারিরা বলেন, ফাইলগুলো উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করলেই অভিযোগের সত্যতা মিলবে। পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাঈকা শাহাদাত বলেন, এ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ