Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশীসহ মারা গেছে কমপক্ষে ১০০০ মানুষ

ইউরোপে পাড়ি দিতে ভূমধ্যসাগরে

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৪ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

ইউরোপে পাড়ি দিতে গিয়ে এ বছর এখন পর্যন্ত ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা গেছেন কমপক্ষে ১০০০ মানুষ। এর মধ্যে রয়েছেন বেশ কয়েকজন বাংলাদেশীও। ৬ষ্ঠ বছরের মতো এবার এই মাইলফলক স্পর্শ করেছে এই সংখ্যা। এমন কথা বলেছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক এজেন্সি ইউএনএইচসিআর। গত মঙ্গলবার এই এজেন্সি এ বছর শেষ হওয়ার তিন মাস আগেই এ নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র চার্লি ইয়াক্সলে বলেছেন, তার এজেন্সি জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধার ও অনুসন্ধান সক্ষমতা বৃদ্ধির আহŸান জানাচ্ছে। একই সঙ্গে উদ্ধার অভিযানে ইউরোপিয় ইউনিয়নের নৌযানকে ফেরত আনার দাবিও জানান। এনজিও বোটগুলোকে সমুদ্রে জীবন রক্ষার জন্য তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে স্বীকার করে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম)-এর মতে, ২০১৪ সাল থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে কমপক্ষে ১৮ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এক বছরের বেশি সময় হলো, সমুদ্রে দুর্বল বোটগুলো থেকে শরণার্থী ও অভিবাসীদের উদ্ধারে যেসব মানবিক দায়িত্বসম্পন্ন জাহাজ কাজ করতো তাদেরকে আর কোনো শরণার্থী অথবা অভিবাসীকে তাদের জাহাজে তুলতে এবং তাদেরকে তীরে নামিয়ে দেয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে ইতালি ও মালটায়। ইতালির অভিবাসন বিরোধী সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তিও সালভিনি পর্যন্ত এমন উদ্ধারকারী জাহাজের ক্রুদের জেলে পাঠানোর হুমকি দিয়েছেন। এই দুই দেশের এমন অনড় অবস্থানে এক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আগে তারা সমুদ্র থেকে উদ্ধার করা শরণার্থীদের ঠাঁই দিত কয়েক সপ্তাহ। তারপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো সেই শরণার্থীদের মধ্য থেকে অন্তত কিছু সংখ্যককে গ্রহণ করতো। তারা ইউরোপে নিরাপদ ও উন্নত জীবন ফিরে পেতেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ