পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাবনার রুপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বালিশকান্ড, রেলের ক্লিনারের মাসিক বেতন ৪ লাখ টাকা কান্ড ফরিদপুর হাসপাতালের পর্দাকান্ডের পর এবার চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণে ঘটেছে বালিশের কভারকান্ড। উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনায় ৭৫০ টাকার বালিশ ক্রয়ে ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে ২৭ হাজার ৭২০ টাকা। আর বালিশের কভারের দাম ধরা হয়েছে ২৮ হাজার টাকা।
তবে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনায় (ডিপিপি) বালিশের কভারসহ যন্ত্রপাতি কেনার যে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে সেটি ভুল ছিল বলে স্বীকার করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। গতকাল বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত প্রকল্প নিয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক বিভাগের সদস্য আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় ৭৫০ টাকার বালিশ ক্রয়ে ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে ২৭ হাজার ৭২০ টাকা। আর বালিশের কভারের দাম ধরা হয়েছে ২৮ হাজার টাকা। এছাড়াও অন্যান্য ষড়ঞ্জাম ক্রয় মূল্য একই হারে নির্ধারণ করা হয়। সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার ২৮ দিন পর গত ৩০ সেপ্টেম্বর সভার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। ওই সভায় উপস্থিত একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকারভিত্তিক চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে সম্ভাব্যতা যাচাই না করেই দুই হাজার ৮০০ কোটি টাকার প্রস্তাবিত প্রকল্প প্রণয়ন করে পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ, বাজার মূল্যের চেয়ে শত শত গুণ বেশি দামে চিকিৎসা সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি ক্রয়ের খরচ দেখানো নিয়ে সারা দেশে তোলপাড় শুরু হয়েছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পে বিভিন্ন প্রকারের যন্ত্রপাতি ও চিকিৎসা সরঞ্জাম যেমন-প্রতি পিস ক্যাম্প মাস্ক ৮৪ হাজার টাকা, রেক্সিন ৮৪ হাজার টাকা, টেস্টটিউব ৫৬ হাজার টাকা, স্টেরাইল হ্যান্ড গøাভস ৩৫ হাজার টাকা, বালিশ ২৭ হাজার ৭২০ ও বালিশের কভার ২৮ হাজার টাকা মূল্য ধরা হয়।
জানতে চাইলে গতকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘এ ডিপিপিটি সবেমাত্র প্রস্তাব আকারে গেছে। এ ধরনের একটি প্রস্তাব প্রায় ২ হাজার পেজের হয়। এতে হাজার হাজার আইটেম থাকে। সেখানে যদি কোনো ভুল হয়ে থাকে, পরিকল্পনা কমিশন এগুলোর বিষয়ে আমাদের বলেছে। এগুলো ঠিক করে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এটা এখনো অনুমোদন হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, এসব ভুল যাচাই-বাছাই করে এটি প্রি-একনেকে অনুমোদন হবে। এরও পরে প্রকল্প পাসের জন্য একনেকে উঠবে। এখন প্রি-একনেকেই এটা অনুমোদন হয়নি। যেখানে ভুলভ্রান্তি হয়েছে, সেগুলো অবশ্যই ঠিক করে দেব। এই ডিপিপিতে ভুল হয়েছে। এ ধরনের প্রস্তাবও এক ধরনের দুর্নীতি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে এর পেছনে যারা আছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।