পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের সব মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের সরকারি বেতন কাঠামোর আওতায় আনার প্রস্তাব করে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, তার বিশ্বাস এটি করা হলে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই সহজ হবে। শুধু আইন প্রয়োগ করে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করা সম্ভব নয়। এটা দূর করতে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত হতে হবে।
গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেল এক অনুষ্ঠানে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ আরো বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। কিন্তু, এ ধর্মের অপব্যাখা করে উগ্রবাদ ছড়িয়ে দেয়া হয়। সন্ত্রাসবাদ এ অঞ্চলের বড় একটি সমস্যা। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে জঙ্গিরা সক্রিয়। বাংলাদেশে জেএমবি সক্রিয়। কিন্তু, সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কারণে জঙ্গিদের অনেকটা নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের চারটি দিক নিয়ে কাজ করেছি। আমরা দেখেছি, কোরআনে জিহাদের আয়াতের অপব্যাখা দিয়ে জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত করা হয়। এদেশের প্রায় আট কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। এখানে জঙ্গিবাদের প্রচুর বিষয় রয়েছে। কিন্তু, এর বিপরীতে পর্যাপ্ত উপাদান নেই। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ইমামদের সোচ্চার হতে হবে। ইসলামে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে জুমআর খুতবায় ইমামরা কিছু বলেন না। আমরা দেখি তারা রাজনৈতিক বক্তব্য দেন। ইমামরা রাজনীতি করতে চাইলে করেন, কিন্তু মসজিদকে ব্যবহার করবেন না।
তিনি বলেন, তবে, সন্তুষ্টির কোনো সুযোগ নেই। বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ নির্মূল না হলে শুধু বাংলাদেশ থেকে তা উচ্ছেদ করা খুবই কঠিন। এক্ষেত্রে ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে হাজির হয়েছে। এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ ও চরমপন্থাকে উৎসাহিত করতে ফেইসবুক, টুইটার ও বøগে লাখ লাখ বিষয়বস্তু ঘুরে বেড়াচ্ছে। অন্যদিকে, নিরুৎসাহিত করার জন্য খুবই আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।