পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টির মাধ্যমে লাগামহীনভাবে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। দাম নিয়ন্ত্রণে বরিশাল ও হাটহাজারীসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করেছে প্রশাসন। জব্দ করা হয়েছে অবৈধভাবে মজুদ রাখা পেঁয়াজ। অধিক মূল্যে বিক্রির অপরাধে আড়ৎদার ও ব্যবসায়ীদের জরিমানাও করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের ভাষ্য, সঙ্কট নয়, মসলা সিন্ডিকেটের কালো হাতের ইশারায় পেঁয়াজের বাজারে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। এদিকে, মূল্য নিয়ন্ত্রণে বিভিন্নস্থানে টিসিবি’র মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রি হলেও বরিশালেসহ দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও এখনো বিক্রি শুরু হয়নি।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, বরিশালের অস্থির পেঁয়াজ বাজারে অভিযান চালিয়ে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত তিন ব্যবসায়ীকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করার পর পরই ১শ টাকা থেকে ৭০ টাকায় নেমে আসে পেঁয়াজের দর। তবে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও রাষ্ট্রীয় বাণিজ্য সংস্থা পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেনি। গত সোমবার থেকে বরিশাল মহানগরীরর কয়েকটি স্থানে চিনি, সয়াবিন তেল আর মুসুর ডাল নিয়ে টিসিবি’র মিনি ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকলেও তাতে আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়নি ক্রেতাদের।
জানা গতকাল বুধবার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসমা জাহান সরকার এবং মনীষা আহম্মেদের নেতৃত্বে পেঁয়াজপট্টির আড়তঘরগুলোতে অভিযান শুরু করা হয়। ৮/১০টি দোকানে অভিযান চালানো হলেও মূল্যের অসঙ্গতি ধরা পড়ায় ৩ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়। ব্যেবসায়ীরা দাবী করেন, পাইকারী মোকাম থেকে বেশি দাম দিয়ে কিনতে হওয়ায় তাদেরকে বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে।
সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে জানান, মসলা সিন্ডিকেটের কালো হাতের ইশারায়ই পেঁয়াজের বাজারে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। ভারতীয় পেঁয়াজের দোহাই দিয়ে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি করা হলেও বাজারে এখনো দেশি পেঁয়াজের ব্যাপক ছড়াছড়ি। আড়ত থেকে শুরু করে খুচরা চাটাই পর্যন্ত দেশীয় পিঁয়াজে ভরা। এরপরও ঘণ্টায় ঘণ্টায় দাম ওঠানামা করছে। গতকাল বুধবার সকালে এক কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা আবার দুপুরে বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা। নরসিংদীর বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তুরস্ক, মিসর এবং বার্মিজ পেঁয়াজও নেই। বাজারে আমদানিকৃত পেঁয়াজের বেশিরভাগই গতবছর উৎপাদিু হাইব্রিড জাতের দেশীয় পেঁয়াজ।
খুচরা বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা গত উৎপাদন মৌসুম থেকে এ পর্যন্ত দেশি পেঁয়াজই বিক্রি করে আসছে। ভারতীয় পেঁয়াজের সংখ্যা খুবই কম ছিল। অনান্য বিদেশী পেঁয়াজও খুবই কম ছিল। এখনো আড়ত ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা নরসিংদীর চাটাইগুলোতে দেশি পেঁয়াজই সরবরাহ করছে। এই অবস্থায় পেঁয়াজের দাম কেন বাড়ছে তারা তা ভালো করে বলতে পারেনি।
সাতক্ষীরা থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, দেশে এখনও পর্যাপ্ত পিয়াঁজ মজুদ রয়েছে এবং কৃত্রিমভাবে পিয়াঁজের সঙ্কট সৃষ্টি করে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির কোন সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিম। গতকাল বিকাল ৩টায় পিয়াঁজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে দেশের অন্যতম পিয়াঁজ আমদানিকারী সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দর পরিদর্শন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আব্দুস সামাদ আল আজাদ ও সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল সাংবাদিকদের একথা বলেন।
হাটহাজারী উপজেলা সংবাদদাতা জানান, হাটহাজারীতে রড সিমেন্টের গোডাউন থেকে প্রায় ৫ টন পেঁয়াজ জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল দুপুরের দিকে পৌরসভার মুরগীর হাট এলাকায় আমির হোসেন নামের এক ব্যক্তির মালিকানাধিন আমির ট্রেডার্সের গোডাউনে অভিযান চালিয়ে পেঁয়াজগুলো জব্দ করা হয়।
সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিক্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.রুহুল আমিনের নেতৃত্ব চালানো অভিযানে জব্দকৃত পেঁয়াজগুলো বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে বেশি লাভের আশায় বিক্রির জন্য গত ১১ সেপ্টেম্বর ভারত থেকে ১৪টন পেঁয়াজ ক্রয় করে এনে ঐ রড-সিমেন্টের গোডাউনে অবৈধভাবে মজুদ করে রেখে চড়া দামে বিক্রি করছিলেন ব্যবসায়ী আমির হোসেন। ১৪ টনের মধ্যে ৯ টন চড়া দামে বিক্রয় করতে পারলেও বাকী ৫ টন পেঁয়াজ অভিযানে জব্দ করে ভ্রাম্যমান আদালত।
পটিয়া (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, পটিয়া পৌর সদরে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে পেয়াঁজ বিক্রেতাসহ ৪ দোকানদারকে জরিমানা করা হয়েছে। অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করায় কারণে ২ হাজার টাকা ও একজনকে ৫শ টাকা জরিমানা করা হয়।
গতকাল (বুধবার) সকালে মুন্সেফ বাজার এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট ও পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।