পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি এই মুহূর্তে বেগম জিয়াকে দেখেন তাহলে তার মায়া হবে। মানবিকভাবেই তিনি খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি বিবেচনায় নেবেন। বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিজের বিচার-বিবেচনায় বোঝার জন্য সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হাসপাতালের কেবিনে এসে দেখে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সংসদ সদস্যরা।
বুধবার বিকেলে দলের চার সংসদ সদস্য হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়াকে দেখতে এসে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি এ আহ্বান জানান। বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মাদ সিরাজের নেতৃত্বে মোশাররফ হোসেন, জাহিদুর রহমান এবং রুমিন ফারহানা চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা খালেদার পাশে অবস্থান করেন তারা।
পরে সেখান থেকে বের হয়ে গোলাম মোহাম্মাদ সিরাজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সাতজন সংসদ সদস্য সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রীর কাছে বলতে চাই, প্রধানমন্ত্রী আপনি নিজে একবার আসুন, আপনি দেখে যান আমাদের তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে। আমরা নিশ্চিত আপনার মানবিকবোধ জাগ্রত হবে। আমরা নিশ্চিত আপনার মায়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি আমাদের নেত্রী রাজনৈতিক বন্দি। রাজনৈতিক সদিচ্ছা সিদ্ধান্ত দরকার তার জামিনের জন্য। আপনি প্রধানমন্ত্রী আমলাতান্ত্রিক পরামর্শ না নিয়ে দয়া করে রাজনৈতিক দূরদর্শিতায় দয়া করে সিদ্ধান্ত দেন। জামিনের ব্যবস্থা করেন। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছাড়া ম্যাডামের মুক্তি হবে না। আমরা ম্যাডামকে দেখতে আসছিলাম, আপনার (প্রধানমন্ত্রীর) কাছে আমাদের অনুরোধ ম্যাডামের জামিনের ব্যবস্থা করে দেন।’
এদিকে আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, জামিনের বিষয়টি আদালতের ব্যাপার, আপনি কোন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে মানবিক দিকের কথা বলছেন? জবাবে সিরাজ বলেন, ‘রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছাড়া কি জামিন হবে? আজকে আমাদের হাইকোর্ট সুপ্রিম কোর্ট বিব্রতবোধ করেন তার জামিনের বিষয়ে। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত ছাড়া আসলে ম্যাডামের জামিন হবে না।’
এক প্রশ্নের জবাবে সিরাজ বলেন, ‘ম্যাডাম অবশ্যই মুক্তি চান, তিনি বিশ্বাস করেন তিনি কোনো অপরাধ করেননি। চিকিৎসার ব্যাপারে ম্যাডামের বক্তব্য হলো- তিনি বাংলাদেশে চিকিৎসা পাচ্ছেন না। সেখানে বিদেশি ডাক্তার প্রয়োজন হলে যাবেন। সেটা আমাদের সিদ্ধান্ত নয়, সেটা ম্যাডামের নিজস্ব সিদ্ধান্ত হতে হবে। পরিবারের সিদ্ধান্ত হতে হবে। আগে তার মুক্তি দরকার।’
বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন কি না জানতে চাইলে সিরাজ বলেন, ‘বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। ম্যাডামের বক্তব্য হলো আমার চিকিৎসা হচ্ছে না। ম্যাডাম সহসা বিদেশে চিকিৎসা নিতে চান না। বিদেশে লাগলে তিনি যাবেন।’
চেয়ারপারসনের মুক্তির জন্য সরকারের সঙ্গে কোনো নেগোসিয়েশন হচ্ছে কি না-এমন কোনো বার্তা নিয়ে আপনারা আসছেন কিনা জানতে চাইলে সিরাজ বলেন, ‘না’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।