পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশ অর্থনৈতিকভাবে অগ্রসর হচ্ছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, অর্থনৈতিক অগ্রগতি এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি কাম্য। সেটাই আমাদের কাছে এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরে আর্টিলারি সেন্টার ও স্কুলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৪টি গোলন্দাজ ইউনিটকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে একথা বলেন সেনাপ্রধান।
রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনের বদলে বিভিন্ন সময় মিয়ানমারের উসকানিমূলক কর্মকান্ডের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের পলিসি হচ্ছে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। কেউ যদি আমাদের উসকানিও দেয়, আমরা সেটা থেকে যথাসম্ভব সংযত থাকব। কারণ আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতি বেশি জরুরি।
জেনারেল আজিজ আহমেদ আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর যে কোনো চিন্তাকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সমর্থন দেওয়া হবে। সেটাকে সমর্থন দেওয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনাপ্রধান হিসেবে আমার নৈতিক দায়িত্ব। রোহিঙ্গা সঙ্কটে সেনাবাহিনীকে এ পর্যন্ত যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, আমরা চেষ্টা করেছি পেশাদারিত্বের সঙ্গে সেটা সুন্দরভাবে পালন করতে।
তিনি বলেন, স¤প্রতি সেনাবাহিনীকে একটা দায়িত্ব দিয়েছে সরকার। যে ১১ লাখ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আছে, তারা ক্যাম্প থেকে বের হয়ে যখন-তখন, যত্রতত্র চলে যাচ্ছে। ক্যাম্পের বাইরে নানা ঘটনা ঘটছে। সরকার এগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ক্যাম্প ঘিরে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরিকল্পনা তৈরি হচ্ছে। সেনাবাহিনী অবশ্যই কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করবে এবং রোহিঙ্গাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করবে।
এর আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত।
দেশমাতৃকার অখন্ডতা রক্ষার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে যে কোনো দুর্যোগ মুহূর্তে জনগণের সেবায় তাদের পাশে এসে কাজ করেছেন সেনাসদস্যরা। শুধু দেশের অভ্যন্তরে নয়, বিশ্বপরিমন্ডলেও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কাজ করে যাচ্ছে, বয়ে আনছে সুনাম ও মর্যাদা। সেবা ও কর্তব্যপরায়ণতার মাধ্যমে আমাদের সেনানিরা জনগণের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং সমস্ত জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৪, ২৬ ও ৩০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি এবং ২১ এয়ার ডিফেন্স রেজিমেন্ট আর্টিলারি কালার প্যারেডে অংশ নেয় এবং সেনাপ্রধানের কাছ থেকে রেজিমেন্টাল পতাকা গ্রহণ করে। প্যারেডে কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন লে. কর্নেল রুবায়েত মাহমুদ হাসিব। চারটি রেজিমেন্ট আর্টিলারির কন্টিনজেন্টগুলোতে নেতৃত্ব দেন যথাক্রমে ক্যাপ্টেন ফাহিম, ক্যাপ্টেন সাইদুর, ক্যাপ্টেন রিয়াদ ও মেজর আশিক।
আর্টিলারির শহীদ মেজর নজমুল হক প্যারেড গ্রাউন্ডে সকালে ঝিরঝির বৃষ্টিতে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন সেনাবাহিনী প্রধান ও কর্নেল কমান্ড্যান্ট রেজিমেন্ট অব আর্টিলারি আজিজ আহমেদ। এ সময় সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও চট্টগ্রামের এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমানসহ রেজিমেন্ট আর্টিলারির প্রাক্তন কমান্ড্যান্ট ও এরিয়া কমান্ডাররা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের কমান্ডাররা এবং সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।