Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে সবাই

ইয়াছিন রানা | প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

দেশে ফিরেই চলমান দুর্নীতিবিরোধী শুদ্ধি অভিযানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কী কী নির্দেশনা দেবেন, সেই দিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, সরকারের আমলা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সবাই তাকিয়ে আছে। দল ও সরকারে দুর্নীতিবাজ ও ক্ষমতার অপব্যবহারকারীদের পুরো সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ নিয়ে দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, পরিবহন চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, ভ‚মিদস্যু, নদী দখল, ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত এমপি, নেতা; আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকতা, ব্যাংকের ঋণখেলাপি, বিনা জামানতে ব্যাংক থেকে লোন নেয়া মন্ত্রী, সাবেক মন্ত্রী, এমপি ও নেতা; শেয়ারবাজার লুটের মাস্টারমাইন্ড, মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এমপি-নেতা, জিরো থেকে হিরো হওয়া নেতা এবং সরকারের বড় বড় প্রকল্পে দুর্নীতি করা আমলারা খুবই ভয়ে ও টেনশনে রয়েছে।
এছাড়া কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ কয়েক নেতার বিরুদ্ধে ক্যাসিনোতে জড়িত থাকার অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী কী ধরনের ব্যবস্থা বা বক্তব্য দেন তা নিয়ে সবাই ভয়ে রয়েছেন। যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। প্রশাসনে শুদ্ধি অভিযান কবে শুরু হবে তা নিয়েও সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স ঘোষণার পর সবার আগে নিজ দলের ভেতর থেকে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আজ দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোন কোন সেক্টরের দুর্নীতির বিষয়ে কঠোর হয়ে অভিযান চালানোর নির্দেশনা দেন তা নিয়ে হাইপারটেনশনে ভুগছেন রাজনৈতিক নেতা ও আমলারা। যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চলবে। অন্যায়-দুর্নীতির বিচার করতে চাই, তাই ঘর থেকেই শুরু করতে হবে। নিজের দলের লোকদের আগে ধরছি, মিডিয়া এটা একটু বড় করে দেখাবে, এটাই স্বাভাবিক। ঘুষ-দুর্নীতি করবেন আবার ‘হালাল মাংস খুঁজবেন’, এটা কেমন করে হয়? তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কুপ্রভাব যাতে দল বা সমাজে না পড়ে, সেটা আমাকে দেখতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চলছে, অনেকে অখুশি। কিন্তু তাতে আমার কিছু যায়-আসে না।

ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে অভিযান সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্পোর্টসকে প্রমোট করার জন্য আমরা নানা সুযোগ সুবিধা দিয়েছি। কিন্তু এসব সুবিধা ব্যবহার করে এরা যে ক্যাসিনো নিয়ে আসবে, ভাবতেও পারিনি। এসব অবৈধ কর্মকান্ড গ্রহণযোগ্য নয়। তাই পদক্ষেপ নিয়েছি। কেঁচো খুঁড়তে সাপ বের হয়ে এসেছে। আরো কী বের হয়, দেখুন। একবার যখন ধরেছি, অভিযান অব্যাহত থাকবে।’ প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে তাই সারাদেশেই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল সকল পর্যায়ের আওয়ামী লীগ, অঙ্গসংগঠনের নেতা ও সরকারের আমলা তটস্থ অবস্থায় রয়েছে।

গোয়েন্দাদের একটি সূত্র জানায়, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া পুলিশ ও র‌্যাবের রিমান্ডের সময় কোন কোন রাজনৈতিক নেতা, এমপি, মন্ত্রী ক্যাসিনোর টাকার ভাগ পেতেন তা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আজ দেশে ফিরলে গোয়েন্দারা সেই তথ্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দেবেন। শুধু তাই নয় দুর্নীতিবাজ, অপকর্মকারী, অপরাধীদের প্রশ্রয়দাতা নেতাদের তালিকা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর হাতে। সরকারি কোন কোন কাজের টেন্ডার কোন নেতা নিয়ন্ত্রণ করেন, পরিবহনের চাঁদাবাজি কার প্রশ্রয়ে চলছে, কারা এর নিয়ন্ত্রণ করছে, সে বিষয়ে মহাসড়কের বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে টেম্পোস্ট্যান্ডের বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরি করেছেন গোয়েন্দারা। দুর্নীতির মূল উৎপাটন করতেই জিরো টলারেন্সে এগিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা চলছে। মানসিক চাপে রয়েছেন দুর্নীতিবাজ, অপকর্মকারী নেতা ও তাদের প্রশ্রয়দাতারা।

এদিকে প্রশাসনের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের মধ্যে চলছে অস্থিরতা। ঘুষ নিয়ে যারা বিভিন্ন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতেন, তাদের নামের তালিকাও প্রধানমন্ত্রীর কাছে। বিভিন্ন প্রকল্পে যারা সীমাহীন দুর্নীতি করেছেন, এক হাজার কোটি টাকার প্রকল্পে যারা অর্ধেকই মেরে দিয়েছেন, বিভিন্ন কাজের অতিরিক্ত মূল্য দেখিয়ে সরকারের কোটি কোটি টাকা নষ্ট করেছেন, ইচ্ছাকৃত সময় বাড়িয়ে প্রকল্প ব্যয় বাড়িয়ে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধেও অভিযান শুরু হবে শিগগিরই। দুদকের কাছে এসব দুর্নীতিবাজদের বিস্তারিত তথ্য রয়েছে, কোন ফাক ফোকরে এসব দুর্নীতিবাজরা এবার বাঁচতে পারবে না। জিরো থেকে হিরো হওয়া এমপি ও নেতাদের বিবরণও প্রধানমন্ত্রীর কাছে। বরিশাল অঞ্চলের একজন এমপির দুর্নীতি ও অপকর্মের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ার তথ্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে। শিগগিরই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে।

সম্রাটের ভাগ্য নির্ধারণ
কী হবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের ভাগ্যে? তা নিয়ে চলছে জল্পনা কল্পনা। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরলেই তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে দল ও সরকারের উচ্চ পর্যায় সূত্র জানিয়েছে। ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে আলোচনায় রয়েছেন সম্রাট। কখন তাকে গ্রেফতার করা হবে তা ছিল রাজনীতির হট ইস্যু। তবে অভিযান চালানো ক্যাসিনোগুলোর মধ্যে একটিরও মালিকানা বা দায়িত্বশীল কোনো পদে সম্রাটের সম্পৃক্ততা পায়নি পুলিশ। সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। সে যেন বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে সে ব্যাপারেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। কয়েক দিন আগে র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সম্রাটের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই, আবার তাকে গ্রেফতারের ব্যাপারেও বাধা নেই। তার বিষয়ে তথ্য পেলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কাকরাইল ভূঁইয়া ম্যানশনে সম্রাটের অফিসে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সম্পাদকম্ডলীর একাধিক নেতা জানান, সম্রাট গুরুতর অসুস্থ। তার হার্টের সমস্যা বেড়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তার সিঙ্গাপুর যেতে হবে। কিন্তু নেত্রীর অপেক্ষায় আছেন। নেত্রীর সঙ্গে কথা বলেই তিনি চিকিৎসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। যে কোনো সময়ে গ্রেফতার হতে পারে, এমন গুঞ্জন আছে- এমন প্রশ্নের জবাবে মহানগর যুবলীগের নেতারা বলেন, কাউকে আটক করতে হলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকতে হয়। তিনি তো ক্যাসিনোর মালিকও না, কোন ক্লাবের সভাপতি বা পরিচালকও না। এ সময় গণমাধ্যমের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন উপস্থিত নেতারা। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ক্যাসিনো নিয়ে এ পর্যন্ত ১৭টি মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

থেমে নেই চাঁদাবাজি
প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে ক্যাসিনোসহ অনেক দুর্নীতি বন্ধ হলেও পরিবহন সেক্টরের চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। হাইওয়েতে যেকোনো বাসেরই প্রতিদিন চাঁদা দিতে হয় মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠনগুলোকে। এ নিয়ে একজন প্রভাবশালী নেতা, একজন এমপি ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র একজন নেতা প্রধানমন্ত্রীর কালো তালিকায় রয়েছে। বিভিন্ন সময় তাদের প্রত্যক্ষ মদদে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিবহন সেক্টরে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। এলাকার টেম্পো ও রিকশার চাঁদাবাজিও চলছে। আগে প্রকাশ্যে চাঁদা আদায় করা হলেও এখন চাঁদাবাজদের ঘরে যেয়ে চাঁদা পৌঁছে দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তৃণমূলের এসব চাঁদাবাজি বন্ধেও প্রশাসনকে নির্দেশা দেয়া হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর উত্তরার জসিমউদ্দীন থেকে বাউনিয়া ও বাদালদী রোডে প্রতি মাসে লেগুনা ও ইজিবাইক থেকে প্রায় ১৫ লাখ টাকা চাঁদা উঠানো হয়। চলমান অভিযানেও এই চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। লেগুনা থেকে চাঁদা নেয়া হয় ৩৫০ টাকা ও ইজিবাইক নেয়া হয় ১৫০ টাকা। লাইন পরিচালনাকারী যুবলীগ নেতা সোহেল মিয়া ও গিয়াস উদ্দিন সরকার এই টাকা সংগ্রহ করে। সোহেল লেগুনার চাঁদা ও গিয়াস ইজিবাইকের চাঁদা উঠায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেশ কিছু অসাধু সদস্যসহ ক্ষমতাসীন দলের আরো নেতাকর্মীদের যোগসাজশ রয়েছে এই চাঁদাবাজিতে। কয়েকজন লেগুনা ও ইজিবাইকের মালিকরা জানান, লাইনম্যান জাহিদুল এই টাকা সংগ্রহ করে। এছাড়া থানা পুলিশ ও সার্জেন্টদের নিয়মিত বাজেট অনুযায়ী দেয়া হয়। না হয় গাড়ি রেকারে নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়াও যুবলীগ নেতা সোহেলের বিরুদ্ধে রয়েছে মাদক ব্যবসারও অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া সম্প্রতি উত্তরাতে ইকবাল হোসেন নামে স্থানীয় পত্রিকার একজন সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় যুবলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে। ইকবাল জানান, যুবলীগ নেতা সেলিম ও অহিদুজ্জামান রুমন, সাহেল, সাব্বিরসহ কয়েকজন উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টর ১৩ নম্বর ব্রিজের সামনে তাকে স্থানীয় বিরোধের জেরে মারধর করে। এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন তিনি।

এদিকে চলমান অভিযানের মধ্যে দলীয় নেতাদের নানা অপকর্মের তথ্য ফাঁস করছেন দলের নেতারাই। নেতাদের মতে, হাইব্রিড অপরাধীদের কারণে ত্যাগী নেতারা রাজনীতিতে আজ কোণঠাসা। নেত্রী অভিযান শুরু করেছেন কিন্তু তৃণমূলের অনেক নেতার অপকর্মের তথ্য নেত্রীর কাছে পৌঁছায় না। তাই নেত্রীর কাছে তৃণমূলের দুর্নীতিবাজদের নানা অপকর্মের তথ্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চিঠি মারফতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন তারা।
বিভিন্ন জেলা উপজেলা, অঙ্গসংগঠনের সম্মেলন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসংগঠনের কমিটি নিয়েও নানা সমীকরণ চলছে। প্রধানমন্ত্রী আগামী মাসের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ অঙ্গসংগঠনের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করতে পারেন বলে ধারণা করছেন দলের সিনিয়র নেতারা।



 

Show all comments
  • সাইফ ১ অক্টোবর, ২০১৯, ৪:৩২ পিএম says : 0
    আল্লাহ্‌ আমাদের মাননীয়া প্রধান মন্ত্রীকে রক্ষা করুন এবং হিদায়েত নসিব করুন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তার এই অভিজান এ তাকে সফলতা দান করুন। দেরিতে হলেও তিনি এটা করছেন এই জন্যে তাকে অনেক ধন্যবাদ। আসুন সবাই মিলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে তাকে সাহায্য করি, সমর্থন দিয়ে, দোয়া দিয়ে, এবং যাদের কাছে সামর্থ্য আছে তারা তথ্য দিয়ে। আল্লাহ্‌ আমাদের দেশ কে রক্ষা করুন এবং রহমত করুন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ