পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভিসি বক্তব্যর শেষে ‘জয় হিন্দ’ স্লোগান স্বীকার করে নিয়ে এর ব্যাখ্যা দিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে এই স্লোগানকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে বলে দাবি করে তারা। অভিযোগ তোলা হয়েছে দেশের সার্বিক উন্নয়ন-অগ্রগতি রোধে বিশৃঙ্খল অবস্থা সৃষ্টির লক্ষ্যে এ ধরনের বিভ্রান্তি ও সা¤প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়ানো হচ্ছে। গতকাল সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব অভিযোগ তোলা হয় । বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে রাবি ইতিহাস বিভাগ ও জন ইতিহাস চর্চাকেন্দ্র আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘কালচার, পিস অ্যান্ড এডুকেশন : ফ্রম দ্য পারস্পেকটিভ অব পিপলস্ হিস্ট্রি’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে ভিসি অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান ‘জয় হিন্দ’ বলেছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে সংবাদটি অত্যন্ত চতুর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিকৃত করে উপস্থাপনের মাধ্যমে দেশে বিরাজমান সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করা হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ মনে করে।
এছাড়াও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘সম্মেলনে ভিসি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সর্বাঙ্গীন সহযোগিতা, বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধকালীন এক কোটি শরণার্থীর খাদ্য-বাসস্থানের জোগান দান, মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সহযোগিতাকরণ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অকুণ্ঠ সমর্থন জ্ঞাপন- সর্বোপরি বিশ্বজনমত সৃষ্টির দ্বারা স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্তানি কারাগার থেকে মুক্তকরণে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী ও তার সরকারসহ সে দেশের জনগণের প্রতি অকৃত্রিম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তাদের এই সহযোগিতার জন্য ভারত রাষ্ট্রের দীর্ঘায়ু কামনা করতে গিয়ে ভিসি মহোদয় অতি প্রাসঙ্গিকভাবেই ‘জয় হিন্দ’ শব্দযুগল ব্যবহার করেন এবং তা তিনি ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ উচ্চারণের পর বলেন। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরাজমান স্থিতিশীল অবস্থা ও দেশের সার্বিক উন্নয়ন-অগ্রগতি রোধে বিশৃঙ্খল অবস্থা সৃষ্টির লক্ষ্যে এ ধরনের বিভ্রান্তি ও সা¤প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়।
তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার সঞ্জীব ভাট্টি, প্রো-ভিসি অধ্যাপক আনন্দকুমার সাহা ও অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভিসি অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান। ভিসি তার বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলার পর ‘জয় হিন্দ’ বলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।