Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের উদ্বেগ

সরকারি চাকরিজীবীদের ছাড়ে ক্ষমতার অপব্যবহার বাড়বে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

ফৌজদারি মামলায় সরকারি চাকরিজীবীদের ‘বিশেষ ছাড়’র বিধান সম্বরিত ‘সরকারি চাকরি আইন’ এ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র-আসক। গতকাল রোববার পাঠানো এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করে সংস্থাটি। প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, ফৌজদারি মামলায় সরকারি চাকরিজীবীদের গ্রেফতারের আগে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়ার বিধান কার্যকর হলে ক্ষমতার অপব্যবহার বাড়বে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্র সংকুচিত হবে। বিবৃতিতে আরো জানানো হয়, আগামি ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হতে যাওয়া সরকারি চাকরি আইন অনুযায়ী, কোনও সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে দায়ের করা ফৌজদারি মামলায় আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণের আগে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ওই কর্মচারিকে গ্রেফতার করতে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে। আসক মনে করে, আইনের এ ধারাটি বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। যেখানে কোনও বিভাজন বা বৈষম্য ছাড়াই প্রত্যেক নাগরিককে সমান অধিকার দেয়া হয়েছে। শীপা হাফিজা বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে প্রায়ই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কিংবা সরকারের বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতর-অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠছে। এমন প্রেক্ষাপটে আইনটিতে সন্নিবেশিত এ ধরণের সুযোগ সরকারি চাকরিজীবীদের দায়মুক্তি দেয়ার প্রচেষ্টা বলে প্রতীয়মান হতে পারে। আইনটি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনার জন্য আবারও দাবি জানায় আসক।
উল্লেখ্য, সরকারি কর্মচারী আইন অনুযায়ী ফৌজধারি অপরাধের মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেয়ার আগে যেকোনও সরকারি কর্মচারিকে গ্রেফতারে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে। আগামি ১ অক্টোবর থেকে এ আইন কার্যকর হবে বলে গত ২৬ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপন করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ