পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করার প্রতি গুরুত্বারোপ করে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সম্ভাবনাময়ী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখছে। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের দেশের অর্থনীতির মেরুদন্ড হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রেখে চলেছে। তারাই কৃষিকে লাভবান খাতে রূপান্তর করবে। গতকাল রাজধনীর হোটেল ইন্টারকন্টিন্যান্টালে সিটি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত ১৪ তম সিটি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
আরলিংকস লিমিটেডের চেয়ারপার্সন রোকেয়া আফজাল রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিডিএফ’র নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুল আওয়াল। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিটি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এন রাজশেকারান, শক্তি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ড. হুমায়রা ইসলাম।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, উদ্যোক্তা তৈরি হলে বিনিয়োগ বাড়বে, যা দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে। পণ্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাত ও বাজারজাত কীভাবে করতে হবে সে বিষয়ে কারিগরি সহায়তা প্রয়োজন। ক্ষুদ্র ঋণের সুদের হার কমাতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ যে অবস্থানে এসেছে তার জন্য এরকম উদ্যোক্তাদের ভূমিকা রয়েছে। সরকারের নানামুখী পদক্ষেপে যেখানে একসময় আমাদের বাজেটের ৪০শতাংশ ছিল বিদেশ নির্ভর,এখন মাত্র ২ শতাংশে নেমে এসেছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অনস্বীকার্য। এ খাত শ্রমঘন এবং উৎপাদন সময়কাল স্বল্প হওয়ায় জাতীয় আয় বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে দ্রুত অবদান রাখতে সক্ষম।
তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যগুলো বিশেষ করে চরম দারিদ্র্য ও ক্ষুধা নির্মূল করা এবং নারী-পুরুষের সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নে এ খাত ব্যাপক ভূমিকা রাখতে সক্ষম। ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী সংস্থাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, এ প্রতিষ্ঠানগুলোর এমন কাজ করা দরকার যা মানুষ শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ রাখবে।
তিনি বলেন, ক্যাসিনো ও মাদক ব্যবসা করে যারা অর্থ উপার্জন করছে তারা বিপথে পরিচালিত হচ্ছে। তারা রাষ্ট্র ও সমাজের কাছে দৃষ্কৃতকারী। তাদের উচিৎ আজ যারা পুরস্কার পেলো তাদের অনুসরণ করে পথ চলা।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উন্নত বাংলাদেশ বির্নিমাণে গর্বিত অংশিদার হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান তিনি। কৃষিমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন, আয়বৈষম্য কমিয়ে আনা, দারিদ্র্য বিমোচন প্রভৃতি লক্ষ্য অর্জনের হাতিয়ার হলো এসএমই। বর্তমান সরকারও এসএমই খাতের উন্নয়নকে শিল্পায়নের চালিকা শক্তি হিসেবে গ্রহণ করে এ খাতকে অগ্রাধিকার খাত হিসেবে চিহ্নিত করেছে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে মোট ৫টি ক্যাটাগরিতে ৯ ব্যক্তি ও ৩ টি প্রতিষ্ঠানকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। বছরের শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তা, তরুণ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, কৃষি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পেয়েছেন ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে এবং বছরের শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পেয়েছেন ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।