পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে বর্তমানে নারী ও নদী বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রখ্যাত সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ। তিনি বলেছেন, নদী দখল ও দূষণকারী কাউকে একবিন্দু ছাড় দেয়া যাবে না। বর্তমানে নদী ও নারী সবচেয়ে বেশি বিপন্ন। তবে সরকারি দলের নেতাকর্মীদের মদদ ছাড়া নদী দখল করা সম্ভব নয়। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, সরকার এবং প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া পরিবেশবাদীদের দ্বারা নদী রক্ষা করা যাবে না। নদী আমাদের জীবনের সাথে গভীরভাবে জড়িত, সবাইকে তা বুঝতে হবে।
বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে নদী রক্ষায় হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন, চিহ্নিত ৪২৪২৩ অবৈধ নদী দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থ্যা গ্রহণ এবং সংগঠনের ১৭ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে ৬৪ জেলায় এক কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচির অংশ হিসাবে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এই মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক মোঃ আনোয়ার সাদত।
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয় এ কর্মসূচির অংশ হিসাবে রাজধানী ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, রাজবাড়ী, লালমনিরহাট, রংপুর, দিনাজপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, কুমিল্লা, ফেনী, সিলেট, হবিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুর, বগুড়া, নাটোর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও জেলায় কর্মসূচি পালন করা হয়।
অধ্যাপক মোঃ আনোয়ার সাদত বলেন, নদী রক্ষায় যাবতীয় নীতিমালা সুস্পষ্টভাবে আমাদের সংগঠনের ১৭ দফায় রয়েছে। কাজেই সরকার যদি আমাদের সুপারিশ গ্রহণ করে, পদক্ষেপ নেয়, তাহলে বাংলাদেশের নদ-নদী রক্ষা করা সম্ভব। সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো: আনোয়ার হোসেন বলেন, নদী দখলদারদের তালিকা প্রকাশ ও হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায় জন আকাঙ্খারই প্রতিফলন। নদীর অধিকার নিশ্চিতকরণের জন্য এখন প্রয়োজন স্বতন্ত্র নদী আইন ও নদী আদালত-ট্রাইব্যুনাল গঠন করে নদী অপরাধীদের দ্রুত শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা।
বাপা’র যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস বলেন, নদী বাঁচাও আন্দোলনের ১৭ দফায় স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়াদী, দীর্ঘমেয়াদী সুপারিশমালা রয়েছে। যা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করলে নদীরক্ষায় ভূমিকা রাখবে।
কর্মসূচিতে আরো বক্তৃতা করেন একেএম সিরাজুল ইসলাম, ডা. বোরহান উদ্দিন অরণ্য, তাজুল ইসলাম, মো: বশির উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার হাছিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট মো. শহীদুল্লাহ, অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির, আব্দুল হালিম সরকার, আজম খান প্রমূখ। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।