পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান অভিযান আরো জোরদার হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেছেন, দুর্নীতিবাজ নিজের দলের হলেও ছাড় পাবে না। শেখ হাসিনা বলেন, সরকার যেভাবে উন্নয়ন প্রকল্প নিচ্ছে তার প্রতিটি টাকা সঠিক ব্যবহার হলে এতদিনে দেশ আরো অনেক বেশি উন্নত হতো। গতকাল রোববার রাতে দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার স্থানীয় সময় বিকেলে নিউইয়র্কের হোটেল ম্যারিয়ট মারকুইসে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, একটা কথা স্পষ্ট বলতে চাই, এই অসৎ পথ ধরে কেউ উপার্জন করলে তার অনিয়ম, উচ্ছৃঙ্খলতা বা অসৎ এ উপায় যদি ধরা পড়ে সে যেই হোক না কেন, আমার দলের হলেও ছাড় হবে না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আরেকটা জিনিস আমি দেখতে বলে দিয়েছি- সেটা হলো কার আয়-উপার্জন কত? কিভাবে জীবনযাপন করে? সেগুলো আমাদের বের করতে হবে। তাহলে আমরা সমাজ থেকে এই ব্যাধিটা, একটা অসম প্রতিযোগিতার হাত থেকে আমাদের সমাজকে রক্ষা করতে পারব, আগামী প্রজন্মকে রক্ষা করতে পারব।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান বিভিন্ন অভিযানের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এখন আমাকে খুঁজে বের করতে হবে এখানে কোথায় ফাঁকফোকর, কোথায় ঘাটতিটা, কারা কোথায় কিভাবে এই জায়গাটা ক্ষতিগ্রস্ত করছে। সমাজের এই যে বৈষম্য এটা দূর করার জন্য এরই মধ্যে আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান সেটাও অব্যাহত থাকবে। এই মাদক একটা পরিবার ধ্বংস করে, একটা দেশ ধ্বংস করে। এর সঙ্গে কারা আছে সেটাও আমরা খুঁজে বের করব। বাংলাদেশ থেকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক দূর করে বাংলাদেশের মানুষকে আমরা উন্নত জীবন দিতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে শুধু না আন্তর্জাতিক পর্যায়েও জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস এটা একটা সমস্যা। আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে। যারা সৎভাবে জীবনযাপন করতে চায়, তাদের জন্য বা তাদের ছেলেমেয়েদের জন্য এই সৎভাবে জীবনযাপনটা কঠিন হয়ে যায়, যখন অসৎ উপায়ে উপার্জিত পয়সায় সমাজকে বিকলাঙ্গ করে দেয়।
শেখ হাসিনা বলেন, একজন সৎভাবে চলতে গেলে তাকে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা নিয়ে চলতে হয়, আর অসৎ উপায়ে উপার্জিত অর্থ দিয়ে এই ব্র্যান্ড, ওই ব্র্যান্ড, এটা-সেটা হৈ চৈ,... খুব দেখাতে পারে। ফলাফলটা এই দাঁড়ায় একজন অসৎ মানুষের দৌরাত্মে যারা সৎভাবে জীবনযাপন করতে চায় তাদের জীবনযাত্রাটাই কঠিন হয়ে পড়ে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছেলেমেয়েরা ছোট শিশু তারা তো আর এতটা বোঝে না, ভাবে যে ওরা এভাবে পারে তো আমাদের নাই কেন। এটা স্বাভাবিক, তাদের মনে এই প্রশ্নটা জাগবে। অত ছোট ছোট বাচ্চারা, তারা সৎ-অসতের কী বুঝবে? তিনি বলেন, তারা (শিশুরা) ভাবে আমার বন্ধুদের এত আছে, আমাদের নাই কেন? স্বাভাবিকভাবে মানুষকে অসৎ উপায়ের পথে ঠেলে দেবে। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া প্রবাসীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৭৩তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে স্লোগান দেয়। এর আগে দুপুরে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজের সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) তিনি জাতিসংঘের ৭৪তম অধিবেশনে ভাষণ দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।