পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অবিশ্বাস্য প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশ মালয়েশিয়া-অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে পেছনে ফেলব জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ২০৩০ সালের পর দেশে টেলিস্কোপ দিয়ে দরিদ্র মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। সেসময় ‘ঘর নেই’ এমন লোক থাকবে না। সবাই থাকবে ক্ষুধামুক্ত। গতকাল রোববার নগরীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন হার্নেসিং ব্লকচেন টেকনোলজি ফর ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। দু’দিনব্যাপী কনফারেন্সের আয়োজন করে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
দেশের উন্নয়ন তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০৩০ সালে প্রত্যেক পরিবারে একটা করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন। জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন। আমি বলতে চাই ২০৩০ সালের পর টেলিস্কোপ দিয়ে দরিদ্র মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমাদের অবিশ্বাস্য প্রবৃদ্ধি হবে। দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, ২০২৭ সালে বাংলাদেশে বিশ্বের মধ্যে ২৬তম অর্থনীতির দেশ হবে। ২০৩০ সালে প্রত্যেক পরিবারে একজন করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। দরিদ্রতা শূন্যের কৌঠায় নেমে আসবে। এ সময় মালয়েশিয়া-অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে পেছনে ফেলব আমরা। আমরা বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে পারব। এ অর্জনের ভীত করে দিয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধু। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সেই ভীত থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন’।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেশের উন্নয়নে কাজ করছি। উনাকে কাছ থেকে দেখা সুযোগ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী টাকা-পয়সা কামানো পছন্দ করেন না। অর্থ ও বৈভবের প্রতি উনার কোনো মোহ নেই। প্রধানমন্ত্রীর একটাই মোহ দেশের সব পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য কাজ করা। অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালে ২০টা প্রথম শ্রেণির দেশের কাতারে থাকবে বাংলাদেশ। ২০৩০ সালে চায়না নম্বর ওয়ান দেশ হবে, অন্যদিকে ভারত হবে তৃতীয় অর্থনীতির দেশ। আমাদের অবস্থান মধ্যখানে। চায়না ও ভারতকে আমাদের সঙ্গে নিয়ে সামনে যেতে হবে। চীন, ভারত ও জাপান এই তিনটি বৃহৎ অর্থনীতির দেশের মাঝে থাকবে বাংলাদেশ এমনটি জানিয়ে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান দেশটিকে আঞ্চলিক যোগাযোগ, বিদেশি বিনিয়োগ এবং প্লোবাল আউট সোর্সিংয়ের একটি কেন্দ্রে পরিণত করেছে। কৌশলগত কারণেই বাংলাদেশকে এড়িয়ে বিশ্বের সার্বিক অগ্রগতি সম্ভব নয়। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে প্রভাবশালী ২০ দেশের তালিকায় আসবে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশীয়ায় বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের শীর্ষে। পদ্মা সেতু বাস্তবায়িত হলে প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশ বাড়বে। তখন প্রবৃদ্ধি ডাবল ডিজিটে চলে যাবে।
অনুষ্ঠানে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ স্বাগত বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নতিতে বাংলাদেশের এখন বিশ্বেও রোল মডেল। স¤প্রতি এডিবির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অগ্রগামী। বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি আট শতাংশ হবে। এছাড়া রেমিট্যান্স প্রবাহ বেশ ভালো। প্রতি বছর শ্রমশক্তিতে ২০ লাখ তরুণ যুক্ত হচ্ছে। জনমিতির সুবিধা নিতে পারলে উন্নতি আরও বেগবান হবে। বৈশ্বিকভাবে ব্লকচেইন বেশ কার্যকর প্রযুক্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এটি কার্যকর করলে সব ক্ষেত্রেই কার্যকর সুশাসন, স্বচ্ছতা এবং পরিচালন খরচ কমিয়ে আনতে পারবে। এ প্রযুক্তি আর্থিক খাত, পুঁজিবাজার, স্বাস্থ্য ও সেবা খাতে বেশি সুবিধা দেবে। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে একবার লেনদেন করলে কেউ সেটি ফেলতে পারবে না। ফলে কারসাজির সুযোগ থাকবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহি চৌধুরী বলেন, ব্লকচেইন টেকনোলজির বাস্তবায়ন হলে এটি আর্থিক খাতে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। ক্রস বাউন্ডারি লেনদেনের ক্ষেত্রে এটি বেশ কার্যকর হতে পারে। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব ফরিদা নাসরিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।