পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এ সরকার লুটেরা, খুনি ও দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে সংসদ ভেঙ্গে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি দায়িছেন এলডিপি সভাপতি ও জাতীয় মুক্তিমঞ্চের সমন্বয়কারী ডক্টর কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, দেশের বাস্তব অবস্থা হচ্ছে, দুর্নীতিবাজ, লুটেরা এবং খুনিরা সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় পার পেয়ে যাচ্ছে ও পুরস্কৃত হচ্ছে। প্রকৃত অর্থে এ সরকার হচ্ছে লুটেরা, খুনি ও দুর্নীতিবাজ সরকার। জনগণ আর তাদের দেখতে চায় না। তাই অবিলম্বে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন।
কর্ণেল অলি বলেন, ব্যাংকের টাকা লুণ্ঠনকারীদের ধরা হচ্ছে না, শেয়ার মার্কেট কেলেংকারীর সাথে জড়িতদের কোন শাস্তি হয় নাই। হলমার্ক, যুবক, ডেসটিনি এর সাথে জড়িত অনেক দুর্নীতিবাজরা পার পেয়ে যাচ্ছে। কিভাবে অনেক মন্ত্রী, এম.পি এবং তাদের স্ত্রী রাতারাতি ব্যাংক, বীমা, বিশ্ববিদ্যালয় ও বড় বড় হোটেলের মালিক হল, তা খুঁজে বের করা উচিত। আমরা মনে করি, সন্দেহভাজন এসব মন্ত্রী ও এমপি’র স্ত্রীদের আয়কর রিটার্নের ফাইলগুলিও পরীক্ষা করা উচিত।
অলি আহমদ বলেন- আমরা এদেশ স্বাধীন করের্ছি। সুতরাং একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেকের তাড়নায়, চুপ করে বসে থাকতে পারি না। এদেশের জনগণের প্রতি আমাদের দায়িত্ব রয়েছে এবং সে দায়িত্ব পালনে আমরা বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, বিগত কয়েকদিন পূর্বে হঠাৎ সরকার জানতে পারল যে, ঢাকা সহ দেশের সর্বত্র ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও কৃষকলীগের কিছু সদস্যরা জুয়া, মদ এবং অসমাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়েছে। এর সাথে জড়িত ঢাকা মেট্রোপলিটনের কিছু কিছু কর্তা ব্যক্তি ও থানার ওসিসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব এবং প্রধান প্রকৌশলীরা দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত কয়েক লক্ষ হাজার কোটি টাকা ঘুষ হিসাবে গ্রহণ করে বিদেশে পাচার করেছে। জি কে শামীমের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বস্তায় বস্তায় টাকা মন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রতিনিয়ত পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে এবং টিআইবি’র পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে বলা হয়েছে। অনুরূপভাবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে। এখন জনগণের মনে প্রশ্ন হল, তাঁদের কষ্টার্জিত এই টাকা গুটি কয়েক অসাধু রাজনীতিবিদ এবং সরকারি কর্মচারীরা কিভাবে আত্মসাদ করেছে, কিভাবে বিদেশে পাচার করেছে। সরকার কি আদো জানত না। তাহলে গোয়েন্দা বা পুলিশের কি প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আমরা মনে করি, এই ধরণের জঘন্য রাষ্ট্রদ্রোহী অনৈতিক কাজ কখনও সরকারের প্রত্যক্ষ পৃষ্টপোষকতা ছাড়া সম্ভব নয়।
কর্ণেল অলি বলেন, আজ দেশের যুব সমাজ ও ছাত্র সমাজ হতাশ, তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। কারণ প্রায় ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যাঞ্চেলরের পদত্যাগের দাবিতে অথবা অন্যান্য সমস্যা নিয়ে আন্দোলন অব্যাহত আছে। ফলে লেখাপড়ার মানও নিম্নগামী। আমাদের মধ্যে মনুষ্যত্বও বিলোপ পেয়েছে। সামাজিক অবক্ষয় ঘটেছে। ধর্মীয় অনুশাসনকেও কেউ মানছে না। সর্বত্র অরাজকতা এবং অনিশ্চয়তা। ব্যবসা বাণিজ্যে স্থবিরতা। দেশে অনৈতিক ও অসমাজিক কার্যকলাপ শহর-সহ গ্রামাঞ্চলে বিস্তার লাভ করেছে। উত্তরণ প্রয়োজন।
তিনি বলেন, অনেক অবৈধ মন্ত্রী বলছেন জুয়া ও মাদক জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমানের সময় থেকে আরম্ভ হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে বিগত ১১ বছর এইগুলি বন্ধ করার জন্য আপনারা কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য অনেকগুলি আইন বাতিল করা হয়েছে এবং নতুন নতুন আইন পাশ করা হয়েছে অথচ জুয়া ও মাদক বন্ধ করার জন্য কোন আইন পাশ করা হয় নাই। শুধু অন্যকে দোষারোপ করে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে চায়।
এলডিপি সভাপতি বলেন, মনে রাখবেন আল্লাহ্র কোরআন সত্য। জলুমবাজ, দুর্নীতিবাজদের জন্য কঠোর শাস্তি অপেক্ষা করছে। হয়ত সেই দিন আর বেশি দূরে নয়। জনগণ অন্যায়কারী ও জুলুমবাজদের বিচার করবে। বেকার যুবকেরাও বসে থাকবে না। একদিন না একদিন মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে আসবেই। বিবেকের তাড়নায় হয়ত দুর্নীতিবাজরাও সরকারকে সমর্থন দেবে না, অন্যায়কারী এবং জুলুমবাজদের ধ্বংস অনিবার্য। পাপের ভারে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।