পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ক্যাসিনোর সহযোগিতাকারীদের তালিকা প্রকাশ করার দাবি জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, শুধু নিচের দিকে এই অভিযান করে লাভ হবে না। উপরের দিক থেকে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেন। তাহলেই শুদ্ধি অভিযান সফল হবে। তা না হলে মানুষ আপনাদের এসব নাটককে লোক দেখানো বলবে, এই বিষয়কে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য আপনাদের একটা কূটকৌশল হিসেবে মানুষ মনে করবে।
গতকাল (শনিবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য আ স ম হান্নান শাহের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন। এই আলোচনা সভার আয়োজন করে আসম হান্নান শাহ স্মৃতি সংসদ।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, যখন মানুষ বালিশ, পর্দা নিয়ে কথা তুলল তখন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বললেন, এইগুলো তো ছিঁচকে চোর। তারপরই দেখা গেলো- না আরো বড় চোর বেরিয়ে গেছে। এখনো মনে করি, এটা এখনো ছিঁচকে পর্যায়েই আছে। আমরা মনে করি, বড় চোরদের সহযোগিতা ছাড়া এই ছিঁচকে চোর হতে পারে না। অতত্রব বড়দের কারা এর সাথে-পেছনে জড়িত তাদের তালিকা জনগণ জানতে চায়। তাদেরকে গ্রেফতার করে আপনারা প্রমাণ করুন আপনারা আন্তরিক।
যুব লীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর বক্তব্যের সাথে একমত পোষণ করে ড. মোশাররফ বলেন, উনি বলেছেন, ৬০ জায়গায় ক্যাসিনো চলেছে, ৬০ থানার পুলিশ কি করেছে? ৬০ এলাকার র্যাব কি করেছে- তারা কী আঙ্গুল চুষেছে? আমরা তার কথাই বলতে চাই যে এটা উনি সঠিক বলেছেন। সেখানে এসব প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া, সমর্থন ছাড়া, পাহারা ছাড়া এই ধরনের অনৈতিক কাজ চলতে পারে না। অতত্রব আমরাও দাবি করছি, তারা যেহেতু আঙ্গুল চুষেন নাই, সহযোগিতা করেছেন তাদেরকে চিহ্নিত করুন। এই অবস্থার পরিবর্তনে ‘গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা’ এবং ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি’র জন্য নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তিনি।
আ স ম হান্নান শাহের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তিনি বলেন, উনি জাতীয়তাবাদের রাজনীতিতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পেছনের একজন অত্যন্ত বিশ্বস্ত সৈনিক হিসেবে কাজ করেছেন। ১/১১ তে আমরা তখন গ্রেফতারের পর জেলের অভ্যন্তরে অপেক্ষা করতাম পরদিন হান্নান শাহ’র কথা শুনা যায় কিনা। যখন এমন অবস্থা ছিলো আমাদের সাবেক মহাসচিব (মান্নান ভুঁইয়া) সংস্কারের নামে দলকে বিভক্ত করছেন, বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। বিগ্রেডিয়ার হান্নান শাহ, গয়েশ্বর বাবু তারা তখন বিরোচিত ও সাহসী ভূমিকা নিয়েছিলেন। তারপর আমাদের দলের মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের (মরহুম) নেতৃত্বে-এই তিনজন যেভাবে সেই দুর্দিনে বিএনপির পতাকা সমুন্নত রেখেছিলেন, সেজন্য সেদিন বিএনপির বিরুদ্ধে সংস্কার নামক ষড়যন্ত্র টিকে থাকতে পারেনি। হান্নান শাহ দেশের জন্য ও বিএনপির জন্য বিরাট ভূমিকা রেখেছেন।
স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, শেষ সময়ে আ স ম হান্নান শাহ টাকার অভাবে ভুগছিলেন। হসপিটালের বিল দেয়ার মতো অবস্থা তার ছিলো না। বিএনপির একজন বড় নেতা, যার হসপিটালের বিল দেয়ার টাকা ছিলো না- এটাই বাস্তব। সেই টাকা আমাদের বিএনপিকে পরিশোধ করতে হয়েছে। অবৈধ টাকা তিনি আয় করেননি। বিএনপির নেতারাও অবৈধ কোনো টাকা কামান নাই। আজকে দেখেন, টোকাইদের পকেটে কত টাকা? আওয়ামী লীগের টোকাইদের পকেটে কত টাকা? চোর যখন ধরা খায় গরীবের নাম কয়, রামের নাম কয়, সাপের নাম কয়। এই চোররা ধরা পড়ছে আর একেকদিন একেক জনের কথা কয়। আর বড় চোরাগুলো মাইকের সামনে বড় বড় কইরা বিএনপি নেতাদের কথা বলে। কোনো চোরা বলে অমুকের লোক, কোন চোরা বলে তমুকের লোক। তিনি বলেন, যাদের কাছে টাকা ছিলো তারা ধরা খেয়েছে। এখন ধরা খাওয়ার অপেক্ষায় যারা আছেন পুলিশ কিংবা র্যাব উনাদেরকে না ধরলে সময় বেশি দূরে নাই- দেশের জনগণ তাদেরকে চিহ্নিত করেছে। জনগণই তাদেরকে ধরবে। সেদিন মাফ পাওয়া যাবে না।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিলম্বে হলেও আমরা এখন উপলব্ধি করছি, আদালত পাড়ায় ঘুরাঘুরি করে আমাদের ফয়সালা হবে না, আমরা আমাদের নেত্রীকে (খালেদা জিয়া) মুক্ত করতে পারবো না। রাজনীতির ঐতিহাসিক শর্ত হলো- আন্দোলন সংগ্রামের বিকল্প নাই। এখন বোধহয় আমাদের দায়িত্ব- সবার ব্যবধান কমানোর। আদালত নির্ভর না হয়ে আমাদের রাজপথ নির্ভর হতে হবে। রাজনৈতিক নেতা বিশেষ করে বেগম খালেদা জিয়ার মতো মানুষের কোনো ঘটনার সিদ্ধান্ত কোনো আদালত নির্ভর হয় না। জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে- উনি ভালো না মন্দ, দোষী না নির্দোষী। ২ কোটি টাকা, একটাকা খরচ হলো না, পকেটে নিলো না, টাকা টাকার জায়গায় আছে। টাকার অঙ্ক যদি এক টাকাও না কমে তাহলে সেই টাকা আত্মসাৎ করার কাহিনী নিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করে খালেদা জিয়ার মতো একজন গণতন্ত্র নেত্রীকে কলুষিত করা গণতন্ত্রকে কলুষিত করার শামিল।
গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে ও জেলা যুগ্ম সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সবুজের পরিচালনায় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, গাজীপুর জেলার নেতা আজিজুর রহমান পেয়ারা, শামীম, মরহুম নেতার ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।