পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
টানা দরপতনের ধারা থেকে বেরিয়ে এসেছে দেশের শেয়ারবাজার। ফলে গত সপ্তাহে সবকটি মূল্য সূচক বেড়েছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই)। পাশাপাশি বেড়েছে বাজার মূলধন। সেই সঙ্গে বেড়েছে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে টানা চার সপ্তাহ পতনের পর উর্ধ্বমুখিতা ফিরে এলো শেয়ারবাজারে।
গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৫৩২ কোটি টাকা; যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৭ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা। এর আগে টানা চার সপ্তাহের পতনে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধন হারায় ডিএসই।
বাজার মূলধন বাড়ার পাশাপাশি গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৫৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ২৫২টির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে দাম কমেছে ৭৬টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টির।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার ফলে ডিএসইর সব সূচকও বেড়েছে। গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১১২ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৩২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে দাঁড়ায় ৭৭ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
অপর দুটি সূচকের মধ্যে গত সপ্তাহে ডিএসই-৩০ আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে ৩৩ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৯০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ১ দশমিক ১৩ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ।
আর গত সপ্তাহে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক বেড়েছে ২৫ দশমিক ৩১ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ২৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে দাঁড়ায় ৩৩ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৯০ শতাংশে।
সপ্তাহজুড়ে মূল্য সূচকের উত্থানের পাশাপাশি বেড়েছে গড় লেনদেনের পরিমাণ। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৯১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৩৭৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ১১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা বা ৩ দশমিক ১৬ শতাংশ।
আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯৫৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ১ হাজার ৮৯৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ৫৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
গত সপ্তাহের মোট লেনদেনের মধ্যে ‘এ’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠানের অবদান দাঁড়িয়েছে ৮৬ দশমিক ১৯ শতাংশ। এছাড়া মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ৫৯ শতাংশ ছিল ‘বি’ গ্রুপের দখলে। মোট লেনদেনে ‘জেড’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠানের অবদান দশমিক ৫৬ শতাংশ। আর ‘এন’ গ্রুপের অবদান ২ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে গ্রামীণফোনের শেয়ার। কোম্পানিটির ৯৬ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে; যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ন্যাশনাল টিউবসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬১ কোটি ৬৬ লাখ টাকার, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। ৫৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফরচুন সুজ।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- মুন্নু জুট স্টাফলার্স, ভিএফএস থ্রেড ডাইং, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, বিকন ফার্মাসিউটিক্যাল, মুন্নু সিরামিক এবং জেএমআই সিরিঞ্জ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।