পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রংপুর-৩ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ মনে করেন, লাঙ্গল নয়, তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ধানের শীষের সাথে। কারন, রংপুরের মানুষের আবেগ-ভালোবাসা আগের মত নেই। এ কারণে রংপুর-৩ আসনে এবারের উপ-নির্বাচনে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী এরশাদ পুত্র রাহগীর আল মাহি সাদকে গ্রহন করছে না। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভোটের হিসাব-নিকাশ পাল্টে দিতে চান তারই চাচাতো ভাই হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ। তাই তার জয়ের ব্যাপারেও তিনি দৃঢ় প্রত্যয়ী।
পারিবারিকভাবে রাজনীতিতে আসা সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আসিফের বিশ্বাস এবার রংপুরের মানুষ আর ভুল করবে না। নির্বাচন নিয়ে ইনকিলাবকে তিনি জানান, জাতীয় পার্টির বিভিন্ন সময়ের নাটকীয়তা আর সিদ্ধান্ত অদল-বদলে রংপুরের মানুষ অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। তারা তাদের এমপি হিসেবে স্থানীয় ব্যক্তিকেই চান। কোন বহিরাগত ‘দুধের মাছি’কে তারা আর ভোট দিতে চান না। তিনি আরও বলেন, দলের গুটি কয়েক নেতা স্থানীয় নেতাকর্মি ও সাধারণ মানুষকে কোনো মূল্যায়ন করেন না। বরং রংপুরের মানুষের আবেগ ভালোবাসা নিয়ে একের পর এক সুবিধা ভোগ করছেন। তাদের ভুল সিদ্ধান্ত জাতীয় পার্টিতে বিভাজন তৈরি করেছে। এর খেসারত তাদের দিতে হবে। রংপুরের মানুষ এখন বুঝতে পেরেছে যে, তাদের আবেগ ও ভালোবাসা নিয়ে ঐসব নেতারা খেলা করছে। তাই তারা এবারে নেতা নির্বাচনে আর ভুল করবে না। সুতরাং তার জয় নিশ্চিত।
এরশাদের ছোট ভাইয়ের ছেলে এবং সাবেক সংসদ সদস্য হিসেবে ভোটারদের কাছে বেশ সাড়াও পাচ্ছেন আসিফ শাহরিয়ার। স্থানীয় প্রার্থী এবং এরশাদের ভাতিজা হিসেবে তার প্রতি সাধারণ মানুষ আকৃষ্টও হচ্ছেন। এতে দুই ভাইয়ের ভোটযুদ্ধে তীব্র প্রতিদ্ব›িদ্ধতার আভাস মিলছে। সাধারণ মানুষের মাঝে ভোটের আলোচনায় তৈরি হচ্ছে নানা কৌতূহল।
গুঞ্জন উঠেছে, সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আসিফের পক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও বিএনপির একটি অংশ নীরবে কাজ করছে। যদিও প্রকাশ্যে এখন পর্যন্ত আসিফের সঙ্গে ঐসব দলের বড় নেতাদের কাউকেই দেখা যায়নি। তবে জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কৃত নেতা সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদ নবী মুন্না রয়েছেন আসিফের সঙ্গে। তিনি আসিফের মোটরগাড়ি (কার) প্রতীকে ভোটারদের কাছে ভোটও চাইছেন।
এদিকে ‘লাঙ্গল’ প্রতীক নিয়ে বাবার অসমাপ্ত কাজ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনরাত ছুটে বেড়াচ্ছেন সাদ এরশাদ। প্রতিদিন নগর-সদরের হাটে বাজারে যাচ্ছেন। ভোটারদের মন জয় করতে বুকে টেনে নিচ্ছেন। সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন। তবে সাদ এরশাদের শেষ মুহুর্তের প্রচারণায়ও তার পাশে নেই স্থানীয় জাতীয় পার্টির বড় একটি অংশ। এতে এরশাদভক্ত সাধারণ ভোটাররা রয়েছেন বিভ্রান্তিতে।
দীর্ঘদিন পর আওয়ামী লীগ রংপুরে প্রার্থী মনোনয়ন দিলেও শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রের নির্দেশে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ায় মনোবল ভেঙে গেছে দলের নেতাকর্মি ও সমর্থকদের। এখন এই বড় তিন দলের নেতাকর্মিরা স্থানীয় প্রার্থী না পাওয়ায় মনে মারাত্মক ক্ষোভ পুষছেন। এ পরিস্থিতিতে তাদের মান অভিমান আর ক্ষোভ পুঁজি করে ফুরফুরে মেজাজ নিয়ে ভোটারদের কাছে দিনরাত ছুটে চলেছেন আসিফ শাহরিয়ার।
অন্যদিকে, ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে বিএনপি প্রার্থী রিটা রহমান দিনরাত ছুটে বেড়াচ্ছেন ভোটের মাঠে। তবে তার নির্বাচনী প্রচারণায় এখনও দেখা মেলেনি স্থানীয় বিএনপির সিনিয়র নেতাদের। তবে সাবেক মন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু বেশ কয়েকদিন আগে রংপুরে এসে তার সাথে গণসংযোগ করেছেন। রিটা রহমান গত সংসদ নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্ট থেকে জাপা চেয়ারম্যান এরশাদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রায় ৫৪ হাজার ভোট পেয়েছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে এবারেও তিনি বেশ ভালো অবস্থানে যাবেন। আর তাই স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফের সাথে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
শেষ পর্যন্ত যদি অভিমান ভেঙে জাতীয় পার্টির সিনিয়র নেতারা সবাই সাদ এরশাদের পক্ষে না আসে, আর বিএনপির স্থানীয় নেতারাও যদি রিটা রহমান থেকে বিমুখ থাকেন, আর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মি ও সমর্থকরাও তাদের নিজস্ব প্রার্থী না থাকায় কৌশলগত কারণে আসিফের পক্ষ নেন, তাহলে এরশাদবিহীন রংপুরে এবারের নির্বাচনে হিসাব-নিকাশ পাল্টে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।