পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মাদারীপুর শেখ হাসিনার জন্মদিন পালন নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪০জন আহত হয়েছে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। গতকাল শনিবার বেলা ১২টার দিকে সরকারী নাজিম উদ্দিন কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ৬ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরে দীর্ঘদিন থেকেই ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এক গ্রুপ সাবেক নৌ পরিবহনমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদ শাজাহান খান সমর্থিত অপর গ্রুপ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম গ্রুপ সমর্থিত। শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আনন্দ র্যালি করে বাহাউদ্দিন নাছিম সমর্থিত ছাত্রলীগ। এসময় শাজাহান খান সমর্থিত অপর গ্রুপও আনন্দ র্যালি করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই দুই গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এতে দুই গ্রুপ প্রথমে কথা কাটাকটি পরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
এসময় দুই পক্ষের নেতা কর্মীর মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি বর্ষণ করে। আহত অধিকাংশ ছাত্রনেতাদের গায়ে রাবার বুলেট বিদ্ধ হয়েছে। এ সময় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ হোসেন, রিফাত, সাবেক এজিএস নাহিদ, রাসেদ, শাহপারন, রোমান, নুহিন, আকাশ দে, আরিফ, নাদিম, আমির হাওলাদার, অমিত, তুষার, সজিব হাওলাদারসহ কমপক্ষে ৪০জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে। মাদারীপুর জেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর তুহিন বলেন, আমার ভাই সাবেক এজিএস ও জেলা যুবলীগ নেতা নাহিদকে খুব কাছ থেকে পুলিশ গুলি করে। এতে আমার ভাই গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
মাদারীপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও সাংসদ শাজাহান খানের ছেলে আসিবুর রহমান খান ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও বাহাউদ্দিন নাছিম সমর্থিত ছাত্র নেতা জাহিদ হোসেন অনিক ঘটনার জন্য পরস্পরকে দায়ী করেন।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকলে অফিসার ডা. রিয়াদ মাহমুদ বলেন, গুরুতর আহত বেশ কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বদরুল আলম মোল্লা বলেন, অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে পরিস্থিতি থমথমে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।