পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জননেত্রী থেকে এখন বিশ্বনেত্রীতে পরিণত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর রয়েছে বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন। তাঁর নেতৃত্বে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার পথে দৃপ্ত প্রত্যয়ে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। তাঁর অসা¤প্রদায়িক, উদার, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও বিজ্ঞানমনস্ক দৃষ্টিভঙ্গি তাকে দিয়েছে এক আধুনিক ও অগ্রসর রাষ্ট্রনায়কের স্বীকৃতি। বাঙালির স্বপ্নসারথি, উন্নয়নের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিত্ত বৈভবের প্রতি কোনো মোহ নেই। প্রধানমন্ত্রীর একটাই মোহ দেশের সকল পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য কাজ করা, দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনারবাংলা বিনির্মান করা। একুশ শতকের অভিযাত্রায় দিনবদল ও জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার একজন কান্ডারী যিনি সেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আজ জন্মদিন, দিনটি তাই অত্যন্ত বৈশিষ্ট্যমন্ডিত দিন।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন উপলক্ষে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রীড়া সামগ্রী শিক্ষা উপকরণ বিতরণ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেন। বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার সীমানা পেরিয়ে দেশরতœ শেখ হাসিনা এখন বিশ্ব রাজনীতিতে একজন প্রশংসনীয় এবং অনুকরনীয় রাষ্ট্রনায়ক। গতকালের ঘটনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘চ্যাম্পিয়ন অব স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ শীর্ষক পুরস্কার দিয়েছে ইউনিসেফ। তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এই পুরস্কার তিনি উৎসর্গ করেন বিশ্বের সব শিশু, তরুণসহ বাংলাদেশের জনগণকে। পুরস্কার গ্রহণ করে উচ্ছ¡সিত প্রধানমন্ত্রী বললেন, এই সম্মান আমার একার না। এই সম্মান বাংলাদেশের। প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য আশির্বাদ স্বরুপ। জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি দেয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তার কারণে বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে স্বকীয় বৈশিষ্টে সমুজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। এখন তিনি বিশ্ব নেতা। যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ট ট্রাম্প, ভারতের নরেন্দ মোদি ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী সিনজো অ্যাবেকে যেভাবে মূল্যায়ন করা হয়, প্রধানমন্ত্রীকেও একইভাবে মূল্যায়ন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী দেশে না আসলে আমরা হারিয়ে যেতাম, এই দেশের মানুষ হারিয়ে যেতো।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ২১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর ওপর গ্রেনেড হামলা হলো। ভিডিও চিত্রটি যদি দেখেন তাহলে বুঝবেন স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নিজে হাতে প্রধানমন্ত্রীকে রক্ষা করেছেন। আমার বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী যাতে দেশের মানুষকে আরো বেশি সেবা দিতে পারেন সেই জন্য উনাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন আল্লাহ নিজেই। আমরা সবাই মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করবো আল্লাহ যেন আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে আরো দীর্ঘায়ু করেন। তিনি আরো বেশি বেশি দেশের মানুষকে সেবা দিতে পারেন।
দেশের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক পরিবারে একটা করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন। দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে ২০২৭ সালে বাংলাদেশে বিশ্বের মধ্যে ২৬ তম অর্থনীতির দেশ হবে। ২০৩০ সালে প্রত্যেক পরিবারে একজন করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, দারিদ্রতা শূন্যের কৌঠায় নেমে আসার ক্ষেত্রে আমরা দৃঢ় আশাবাদী। এ সময় মালয়েশিয়া-অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যাবে। আমরা বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে পারবো। এই অর্জনের ভিত তৈরী করে দিয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধু। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সেই ভিত থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে ২১ ভাগ দারিদ্রতা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দারিদ্রতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। আশা করা যায়, ২০৩০ সালে বাংলাদেশে দারিদ্র মানুষ খুঁজে পাবেন না। বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ এখন অনেক দেশের সামনে বাংলাদেশকে উদাহরণ হিসাবে অনুসরন করার জন্য উপস্থাপন করছে। দক্ষিণ এশীয়ায় প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশ এক নম্বর। ২০৪১ সালে ২০টা প্রথম শ্রেণীর দেশের কাতারে থাকবে বাংলাদেশ। বিশ্বের ঋণ নেয়ার দিক থেকেও আমরা যেকোন দেশের তুলনায় পিছিয়ে।
নিজের শিক্ষা জীবনের স্মৃতি চারণ করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের অর্জন ধরে রাখতে তরুণ সমাজকে মন দিয়ে লেখা পড়া করতে হবে। আপনারা আমাকে অনুসরণ করতে পারেন। আমার জীবনের গল্প আপনাদের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হবে। বেতন না দিতে পারার কারণে স্কুলে আমার তিন বার নাম কাটা গেছে। গ্রামের মানুষ আমার বেতন দিয়েছেন। এসএসসি ফর্ম ফিলাপের টাকা ছিলনা, শেষদিন আমার এলাকার একজন আমাকে টাকা দেন। আমি লজিংয়ে থেকে লেখা পড়া করেছি, আমি টিউশনি করিয়েছি। আমি টিউশনি করে ও লজিংয়ে থেকে লেখা পড়া করে যদি অর্থমন্ত্রী হতে পারি, তোমরা কেন পারবেনা। তোমরা আরো বড় বড় দায়িত্ব পালন করতে পারবে। আমরা যেখানে রেখে যাবো তোমরা সেখান থেকে শুরু করবে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তোমরাই দেশের ভবিষ্যত উনন্নয়নের রেলগাড়ি লাইনে চলছে তোমারাই অব্যাহত রাখবে। তোমরা জাতির জনকের স্বপ্ন, শেখ হাসিনার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করবে।
শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. রকিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সংসদ সদস্য মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরী, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।