পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কাঁটাতারের বেড়ার প্রশ্নে রাষ্ট্রদূত-প্রতিনিধিরা সন্তুষ্ট
ক্যাম্পের নিরাপত্তায় এপিবিএনের বিশেষ ইউনিট
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলেই রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। একইভাবে রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণসহ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) একটি বিশেষ ইউনিট করা হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে এক আলোচনা শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার, কানাডার রাষ্ট্রদূত বেনোয়েট প্রেফনটেন, জাতিসংঘের প্রতিনিধি ও কয়েকটি এনজিওর প্রতিনিধিরা মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করলে মন্ত্রীর ব্যাখ্যা পেয়ে সন্তুষ্ট হয়েছেন বলেও তিনি জানান।
আলোচনা শেষে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের বাইরে আছেন, তিনি এসে যেভাবে নির্দেশনা দেবেন, সেভাবে কাজ হবে। তবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও এনজিওর প্রতিনিধিদের সাথেও আলোচনার বিষয় রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিন দেশের রাষ্ট্রদূতরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বেড়া দেওয়ার কারণ জানতে চেয়েছেন। আমরা ব্যাখ্যা দিয়েছি। তাদের জানিয়েছিÑ প্রথমে আমরা মনে করেছিলামÑ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি দুই-চার মাসের মধ্যেই সামাধান হয়ে যাবে। কিন্তু এটি খুব শিগগিরই সমাধান হচ্ছে না। এ কারণে ক্যাম্পের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় এনে প্রধানমন্ত্রী ক্যাম্পগুলোতে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা ক্যাম্পগুলোতে বসবাসের পাশাপাশি সন্ত্রাসী কর্মকাÐে জড়িয়ে পড়ছে। ইতোমধ্যে তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একজন সদস্য ও আওয়ামী লীগের একজন নেতাকে খুন করেছে। তারা ইয়াবার বাহক হিসেবেও কাজ করছে। এছাড়া মিয়ানমার সরকারের অভিযোগÑ সে দেশের কিছু সন্ত্রাসী পালিয়ে এসে ক্যাম্পগুলোতে আশ্রয় নিচ্ছে। এসব বিষয় রোধ করতে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সেবা দিতে আসা এনজিওকর্মীদের ভিসা পেতে কোনও সমস্যা হবে না।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের একটি বিশেষ ইউনিট হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে দ্রæত কাজ করছি। এছাড়া, বিজিবি ও র্যাবের সদস্য সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে সবকিছুই করা হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর ভেতরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী টহলে যেতে পারে না। তারা মূল সড়কে টহল দেয়। যার কারণে ক্যাম্পগুলোর ভেতরের কে কী করছে বা রাতের বেলা কি হচ্ছে তা পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা ক্যাম্পগুলোর আশপাশে ওয়াচ টাওয়ার বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রোহিঙ্গাদের জন্য ক্যাম্প করতে জায়গা চেয়েছেন, এ বিষয়ে সরকার কী সিদ্ধান্ত নিয়েছেÑ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, তুরস্কে অনেক জায়গা আছে। তারা সেখানে নিয়ে গেলে আমরা সবসময় স্বাগত জানানো। এছাড়া সৌদিসহ সব দেশেই বিশাল ফাঁকা জায়গা রয়েছে। তারা যদি নিয়ে যায়, আমরা অ্যাপ্রিশিয়েট করবো।
##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।